নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর পড়া নয়, এখন শুধুই ঘোরা। কয়েকদিন শুধু ঘুরব আর ঘুরব।দূর পাহাড়ে যাব, চাকমাদের ব্যাং ভাজা খাওয়া দেখব, মগ মেয়ের ঝরণা থেকে কলস ভরে পানি নেওয়া দেখব। সাগরে যাব, ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটব, সুটকি ভরতা আর রূপচাঁদা ফ্রাই দিয়ে ভাত খেয়ে রৌদ্রে গা ড্রাই করে নেব। ভরা নদীতে মাঝিদের সাথে নৌকায় শুয়ে কাঁটাব রুপালী রাত্রি।
ছ্যাকা শব্দটার সাথে সবসময় একটা বেদনা মেশানো থাকে। যে ছ্যাকা খায় তার জন্য একটা করুনা কাজ করে মনের ভেতর। বাংলা সাহিত্যে ছ্যাকামাইছিন বলে একটা শব্দ আছে। তবে ছাকারিন টা কি? যে ছ্যাকা দিয়ে বেড়ায় সেই তবে কি ছ্যাকারিন? আসলে ছ্যাকার সাথে সম্পর্ক না থাকলেও জিনিসটার নাম ছ্যাকারিন।
ডায়াবেটিক রোগীর জন্য বিষের চেয়ে ভয়ংকর জিনিস হলো মিষ্টি। আজকের দিনে ডায়াবেটিকস রোগীর হাতে মিষ্টির প্লেট দেখলে কেউই অবাক হবেন না। কারণ সবাই জানেন তাদের জন্য আছে ডায়াবেটিক চিনি। ডায়াবেটিক চিনি টা আসলে কি? চিনির বিকল্প কি? অবশ্যই স্যাকারিন। স্যাকারিন আবিষ্কারের গল্পটাও মজার। বিজ্ঞানীর অজান্তেই আবিষ্কার হয়ে গেল স্যাকারিন। কিন্তু কিভাবে?
১৮৭৯ সালের কথা। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরস রেমসেনের সাথে ল্যাবে কিছু রাসায়নিক পদার্থের সংশ্লেষণের উপর গবেষণা করছেন কনস্টাইন ফাহলবার্গ। কাজের প্রচুর চাপ। আর বিজ্ঞানীরা সাধারণত পাগলা কিছিমের হন। তারা গবেষণার বাইরে বাকী সব কিছুকে ফাঁকি দিয়ে ভূলে থাকতে পারেন। ফাহলবার্গ হাতে করে কিছু সামগ্রী বাসায় নিয়ে এলেন। অবসরটুকু কাজে লাগাবেন এমনি কোন ফন্দি কাজ করছিলো মাথায়। সব কিছু ভূলে থাকা গেলেও ক্ষুধাকে ভোলা অত সহজ নয়। ফাহলবার্গ এর পেট জানান দিলো ক্ষুধা লেগেছে। কিচেন থেকে কিছু খাবার নিয়ে চটপট খেতে বসে গেলো ফাহলবার্গ।
খাওয়ার সময় ফাহলবার্গ থমকে গেলো। সে তার খাবার গুলোতে চোখ বুলিয়ে নিলো। নাহ চিনিজাতীয় কিছুই তো এখানে নেই। তাহলে তার হাতের রুটিটাকে মিষ্টি লাগছে কেন! কিছুটা ভাবনা চিন্তার পরে ফাহলবার্গ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলো যে এই মিষ্টতার উৎস তার হাতের আঙ্গুল। আর আঙ্গুলের মিষ্টতার উৎস গবেষণাগারে যে রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করছেন সেগুলো। তিনি এই চিনিজাতীয় পদার্থের উপর আরো বেশী গবেষণা চালাতে লাগলেন। একস্ময় তিনি ফলাফল পেয়ে গেলেন। নিজে নামে প্যাটেন্ট নাম স্যাকারিন হিসেবে নিবন্ধন করলে্ন। এই কারণে ইরা রেমেনসেনের খুব রাগ হলো। হবেই না বা কেনো! দুইজন মিলে কাজ করলাম। খোঁহাখুজি করলাম অন্ধকারে। সোনার ডেলা তুই খুঁজে পাইছিস বলে তোর একার হয়ে গেলো! কে বলেছে পাগলা বিজ্ঞানীদের দুনিয়ার জ্ঞান নেই। তারে ধরে নিয়ে আসো। ইট মেরে তার থোতা নাক ভোঁতা করে দিছি তবে আমার নাম............
ফাহলবার্গের আবিষ্কার খাদ্য শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পেরেছে। বছর না ঘুরতেই বাজারে স্যাকারিন যুক্ত খাবার পাওয়া যেতে লাগলো। স্যাকারিনে ক্যালরি পাওয়া যায় না। তাই এটা শরীরের জন্য পুষ্টিকর নয়। আমেরিকার খাদ্য ও ওষুধ অধিদপ্তরের মানদণ্ড অনুসারে একটি সাধারণ মিষ্টিতে কমপক্ষে ক ক্যালরি থাকে কিন্তু স্যাকারিনে থাকে শুন্য ক্যালরি। পুষ্টিকর না হলেও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য স্যাকারিন আশীর্বাদ স্বরূপ। জিভে মিষ্টির স্বাদ কে না পেতে ভালবাসে। রক্তে উচ্চমাত্রায় চিনির উপস্থিতিকে বলে ডায়াবেটিক্স।
পরের তথ্যগুলো রসায়নে আগ্রহীদের জন্যঃ
অন্য নামঃ o-Sulfobenzimide, o-Benzoic sulfimide, Saccharine, Benzosulfimide, Saccharimide, o-Benzosulfimide, Benzoic sulfimide, Benzosulphimide
আনবিক সংকেতঃ C7H5NO3S
আনবিক ভরঃ ।১৮৩.১৮৪৫
IUPAC নামঃ ১,১- ডাই অক্সো- ১,২- বেঞ্জোথায়োজোল- ৩- ওল
মেল্টিং পয়েন্টঃ ২২৬-২২৯ ডিগ্রি সে.
ঘনত্বঃ ০.৮২৮
সংরক্ষণ তাপমাত্রাঃ রেফ্রিজারেটর
পানিতে দ্রাব্যতাঃ ৩.৩ গ্রা./লি. (২০’সে.)
স্ট্যাবিলিটিঃ স্ট্যাবল।
স্যাকারিন দেখেছেন কখনো?
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৩
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: লাল মিয়া সবুজ মিয়া দুজনকেই খাইছেন ঠিকাছে মাগার বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা খাইতে চাইয়েন না আবার। ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার করলে ক্ষতি নাই আর না করলে গতি নাই। বুইঝা লন মিয়া ভাই।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
শিব্বির আহমেদ বলেছেন: সেকারিন দেখেছি । কোথায় পাওয়া যায় জানাবেন ?
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৬
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: ভাই আমার বাক্যের শেষ অংশে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) আছে। সো এটা প্রশ্নবোধক বাক্য। আমি দেখেছেন কিনা সেটা বলা হয় নাই, দেখেছেন কিনা সেটা জিজ্ঞেস করা হয়েছে।
আর দেখে না থাকলে ময়রার দোকানে গিয়ে দেখে আসুন।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
বোকামন বলেছেন: ১+
পোস্টে কৃতজ্ঞতা ....
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৭
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: যাক অবশেষে একটা প্লাস পেলাম। ধন্যবাদ।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
বইয়ের পোকা বলেছেন: এখনতো স্যাকারিন ছাড়াও অন্যান্য আরো এইরকম উপাদান পাওয়া যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
সপ্তম ইন্দ্রিয় বলেছেন: চার আনা দামের লাল চকলেট কত খাইসি! এখন নাম বদলে সবুজ হইয়া তাহা ১টাকা দামে বিক্রি হই।
এইটার ক্ষতিকারক দিক নাই?