নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর পড়া নয়, এখন শুধুই ঘোরা। কয়েকদিন শুধু ঘুরব আর ঘুরব।দূর পাহাড়ে যাব, চাকমাদের ব্যাং ভাজা খাওয়া দেখব, মগ মেয়ের ঝরণা থেকে কলস ভরে পানি নেওয়া দেখব। সাগরে যাব, ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটব, সুটকি ভরতা আর রূপচাঁদা ফ্রাই দিয়ে ভাত খেয়ে রৌদ্রে গা ড্রাই করে নেব। ভরা নদীতে মাঝিদের সাথে নৌকায় শুয়ে কাঁটাব রুপালী রাত্রি।
বাঙালী জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত পাউডারের সাথে বসবাস করি। দাঁত ব্রাশ করা, কাপড় ধোয়া, সৌন্দর্য্য চর্চা সব খানেই পাউডারের ছড়াছড়ি। আজকাল আমরা এক নতুন ধরনের পাউডারের নাম শুনি। গান পাউডার্। হরতালের আগের দিন সন্ধ্যায় বিরোধীদল যে দুই চারখান গাড়ী আগুনে পোড়াবে এটা স্বীকৃত একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছ। সরকারের পুক্ষ থেকে দাবী করা হয় নাশকতার কাজে গান পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। পেট্রোল কেরোসিনের চেয়ে কি গান পাউডার ভালো আগুন জ্বালায়? তাহলে যারা চুলায় রান্না করেন তাদের চুলা ধরাতে এক মুঠ গান পাউডার দেয়া হোক।
গান পাউডারের রং কালো। কালো হলেও রসায়ন শাস্ত্রে এই কালো পাউডারের আছে ব্যাপক গুরুত্ব। এটা অল্পতেই বিষ্ফোরিত হয়। প্রোপেলেন্ট হিসেবে এটি প্রধানত ব্যবহৃত হয়। নবম শতকে চীনের বিজ্ঞানীরা গান পাউডার আবিষ্কার করেন।
গন্ধক বা সালফার , কাঠকয়লা এবং সল্ট পিটার এর মিশ্রণ থেকে গান পাউডার তৈরী করা হয়। বিজ্ঞানের ছাত্র যারা তারা অবশ্যই জানো সল্ট পিটার হচ্ছে পটাশিয়াম নাইট্রেট। চীনের আলকেমিস্ট গন উইলো গাছ থেকে কয়লা বানাতেন ।
প্রথমে এই উপাদান গুলো উত্তমরুপে চূর্ণ করা হয়। যে মিশ্রণটা তৈরী হয় তাকে বলা হয় সার্পেনটাইন। তোমাদের কাছে গান পাউডার তৈরীর ফর্মুলা খুব সহজ মনে হলেও এটা কিন্তু আসলে বিপদজনক।
গান পাউডার কিভাবে কাজ করে:
গান পাউডারে থাকে জ্বালানী (কাঠকয়লা), অক্সিডাইজার (সল্টপিটার) এবং সালফার্। চারকোলের কার্বন অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই অক্সাইড ও শক্তি উৎপন্ন করে। আগুন জ্বালালে কার্বন বাতাস থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করে। সল্টপিটার অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ করে। পটাশিয়াম নাইট্রেট, সালফার এবং কার্বন পরষ্পর বিক্রিয়া করে নাইট্রোজেন , কার্বন ডাই অক্সাইড এবং পটাশিয়াম সালফাইড তৈরী করে। নাইট্রোজেন কে বিষ্ফোরক গ্যাস বলা হয়। ডিনামাইট তৈরীতে নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহৃত হয়।
গান পাউডার ব্যবহার করে বিপুল ধোঁয়া উৎপাদন করা যায়। গান পাউডার আগুনের দহন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। উপাদান তিনটির পরিমান কম বেশী করে ধোঁয়া বা দাহ্য ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুকে ধোঁকা দিতে গান পাউডারের ধোঁয়া তৈরী করা হত।
গান পাউডারকে নিয়ে বাংলা সিনেমায় সুন্দর একটা গান আছে। সিনেমায় সুশ্রী দেখতে একটা বঙ্গীয় বাস গান পাউডারের উদ্দেশ্যে গান গাইছে, আগুন জ্বালাস না আমার গায়..................
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: পরবর্তী কোন ব্লগে অবশ্যই বলার চেষ্টা করব। আর হরতালের আগের সন্ধ্যায় আমরা তো স্বচক্ষে গান পাউডারের ক্ষতিকর দিক দেখতে পাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৪
আরমিন বলেছেন: গান পাউডারের ক্ষতিকর দিকগুলি নিয়ে বললে ভালো লাগত!