নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর পড়া নয়, এখন শুধুই ঘোরা। কয়েকদিন শুধু ঘুরব আর ঘুরব।দূর পাহাড়ে যাব, চাকমাদের ব্যাং ভাজা খাওয়া দেখব, মগ মেয়ের ঝরণা থেকে কলস ভরে পানি নেওয়া দেখব। সাগরে যাব, ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটব, সুটকি ভরতা আর রূপচাঁদা ফ্রাই দিয়ে ভাত খেয়ে রৌদ্রে গা ড্রাই করে নেব। ভরা নদীতে মাঝিদের সাথে নৌকায় শুয়ে কাঁটাব রুপালী রাত্রি।
গোল্ডেন ফাইবার বা সোনালী আঁশ বাংলার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছিলো। নানাবিধ প্রতিকূলতায় পাটের চাষ বাংলাদেশে এখন বিলুপ্তপ্রায়। নিন্দুকেরা বলে থাকে বিদেশে রপ্তানীর সময় ওজন বাড়ানোর জন্য পাটের বান্ডিলে ইট ভরে দেয়া হত। কথাটার সত্য মিথ্যা জানিনা। কিন্তু বাংলাদেশের পাট যে বাজার হারিয়েছে একথা সত্য। বাংলাদেশের অর্থনীতির হাল ধরেছিলো সাদা সোনা বাগদা চিংড়ী। দক্ষিণ বঙ্গের ছেলে হিসেবে আমার তো গর্ব হওয়ার কথা। কিন্তু আমি গর্বিত নই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিংড়ী ঘের গুলো মাঝারী ধনিক শ্রেনীকে সাহায্য করেছে। চিংড়ী ঘের পুরো দক্ষিন বঙ্গকে করেছে বিদ্ধস্ত। আইলা সিডার এখন খুব সহজেই কাবু করতে পারে এই এলাকাকে। নিজের চোখে দেখেছি ওজন বাড়াতে ইনজেকশানের সিরিঞ্জ দিয়ে বাগদায় পুশ করতে। এই খাতও মার খাওয়ার পথে প্রায়। এখন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রেখে চলেছে তৈরী পোশাক খাত। সারি সারি সেলাই মেশিনে বসে গার্মেন্টস কর্মী ভাই বোনেরা দিন রাত জেগে বাংলার চাকাকে সচল রেখেছে। অথচ তাজরীন ফ্যাশান হাউসে আমরা তাদের পুড়িয়ে মারছি, রানা প্লাজার কংক্রিটে চাপা দিয়ে মারছি। নেতারা সংসদে এসির বাতাসে বসে গলাবাজি করছো। মনে রেখো অর্থনীতি পঙ্গু হলে তোমাদের আর নেতাগিরি ফলাতে হবে না। শাড়ী লুঙ্গি কাঁছা মেরে মাঠে গিয়ে পাটের বীজ বুনতে হবে তখন, ঘেরে গিয়ে সকাল বিকাল চিংড়ীর খাবার ছিটাতে হবে। ওভার টাইমের আশায় আরো বেশী সময় সেলাই মেশিন চালাতে হবে। সময় থাকতে সাধু সাবধান হও।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: আপনার কথাটা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয় নাই।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
সানফ্লাওয়ার বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভাল লাগল। কিন্তু যাদের সাবধান হবার দরকার, তারা কি তাদের লোভ সামলিয়ে সাবধান হবে, মনে হয় না। তবু এমন একটা সময় উপযোগী লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। সময়ে যদি তাদের বোধদয় না হয় তাহলে কাছা খুলে দৌড় মারা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় থাকবে বলে মনে করিনা।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলেই ব্যাপারটা ভাবার মত।তৈরি পোশাক বাজার হারালে দেশের অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্ত হবে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩১
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: ব্যাপারটা নিয়ে যারা ভাবলে কাজ হবে তারা কিন্তু কেউ ভাবছে না।
৪| ০১ লা মে, ২০১৩ রাত ৮:০৬
এরিস বলেছেন: নেতারা সংসদে এসির বাতাসে বসে গলাবাজি করছো। মনে রেখো অর্থনীতি পঙ্গু হলে তোমাদের আর নেতাগিরি ফলাতে হবে না সহমত।
০১ লা মে, ২০১৩ রাত ৯:১১
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: ধন্যবাদ এরিস।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
ব্যাপার না, পাট পইড়া গেছে। গার্মেন্টস পইড়া গেলে এর পর কম্পিউটার সফটোয়্যায় ইন্ড্রাষ্ট্রি খাড়ায় যাইবো। গত কয়েক বছরে এই সেক্টরে অবিশ্বাস্য উন্নতি হয়েছে। এক্সপোনেনশিয়াল আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই খাতের আয়। আগামী ২/৩ বছরেই হয়তো সফটওয়্যার নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোই হবে আমাদের অর্থনীতির চালিকা শক্তি।