নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর পড়া নয়, এখন শুধুই ঘোরা। কয়েকদিন শুধু ঘুরব আর ঘুরব।দূর পাহাড়ে যাব, চাকমাদের ব্যাং ভাজা খাওয়া দেখব, মগ মেয়ের ঝরণা থেকে কলস ভরে পানি নেওয়া দেখব। সাগরে যাব, ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটব, সুটকি ভরতা আর রূপচাঁদা ফ্রাই দিয়ে ভাত খেয়ে রৌদ্রে গা ড্রাই করে নেব। ভরা নদীতে মাঝিদের সাথে নৌকায় শুয়ে কাঁটাব রুপালী রাত্রি।
দীর্ঘক্ষণ ক্যানটা হাতে নিয়ে বসে আছি। ওপেনার খুঁজে পাচ্ছি না বলে খোলা যাচ্ছেনা। হাতের কাছে একটা ছুরি টুরি থাকলে না হয় খোলা যেত। কিন্তু টেবিলের উপর একটা কলম ছাড়া কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। কলম দিয়ে কি মেটাল ক্যান ছিদ্র করা সম্ভব। জীবনের চলার পথে সামান্য ক্যান ওপেনার গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠবে জানলে তো আলমারিতে তুলে রাখতাম। তার থেকে গালে হাত দিয়ে বসে কিছুক্ষন ক্যান ওপেনারের কথা ভাবা যাক। ধাতব ক্যান আবিষ্কারের পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর ক্যান ওপেনার আবিষ্কৃত হয়। তবে কি এই পঞ্চাশ বছর ক্যান গুলো আটকানোই ছিলো? কি মনে হয় আপনার? ভাবতে থাকুন।
ব্রিটিশ নৌবাহিনীর জন্য ক্যান উদ্ভাবিত হয়। সাধারনত খোলা খাবার কিছুদিন বাদে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু নৌবাহিনীকে সাগরে দীর্ঘ অবস্থান করতে হয়। ১৮১৩ সালে পিটার ডুরান্ড নৌবাহিনীর সৈন্যদের জন্য কৌটাজাত খাবার সংরক্ষন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। আদ্রতামুক্ত কৌটাজাত খাবার অনেকদিন সংরক্ষন করা যেত। পিটার কৌটাতে খাবার ঢুকানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন ঠিকই কিন্তু বের করার জন্য কোন গ্রহনযোগ্য পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন নাই। ক্যান থেকে খাবার বের করা হত উপরের টিন কেটে। হাতুড়ি বাটাল পিটিয়ে উপরের টিন গোল করে কাটা হত। ক্যানের গায়ে নির্দেশয়ায় লেখা থাকতো , “Cut round the top near the outer edge with a chisel and hammer”।
১৮৬০ সালের দিকে পাতলা স্টিলের ক্যান তৈরী হতে শুরু করলো। কানেকটিকাটের ওয়াটারবারি এলাকার এজরা ওয়ার্নার প্রথম ক্যান ওপেনার আবিষ্কার করেন। ১৮৫৮ সালে তিনি এটার প্যাটেন্ট পান। কিন্তু বাজারে এটার খুব বেশী প্রচলন ঘটেনি। ১৮৭০ সালে আধুনিক ধাঁচের ক্যান ওপেনার উদ্ভাবন করেন আমেরিকার উইলিয়াম লাইম্যান। প্রথম বৈদ্যুতিক ক্যান ওপেনার বাজারে আসে ১৯৩১ সালে ডিসেম্বর। ১৯৬৬ সালে ওহিও’র আরম্যাল ফ্রেজ বাজারের আনেন পুল-ওপেন ক্যানস।
নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের অধিবাসী হওয়ার কারণে আমাদের কৌটাজাত খাবারের খুব বেশী প্রয়োজন হয় না। তবে বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রার মিছিলে ছোট বড় সবারই সমান অবদান আছে।
০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: আমার লেখায় মন্তব্য খুব কম পড়ে। এটা আমার কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ভাইজান, নির্বাচিত পাতায় পোস্ট ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না। আমার লেখা নির্বাচিত পাতায় যাবে কেন?
২| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ৩:৪৩
স্বপনবাজ বলেছেন: ৩য় টা আমার ! শুভকামনা !
০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: তৃতীয় ধন্যবাদটা আপনার।
৩| ০৩ রা মে, ২০১৩ ভোর ৬:৩৭
কালোপরী বলেছেন:
০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: ধন্যবাদ কালোপরি।
৪| ০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
এরিস বলেছেন: প্লাস দিতে চাইলেও দেয়া যায়না। ইন্টারনেটের দোষ না সামুর সার্ভার ডাউন, জানিনা। অপশনগুলো দেখাই যায়না। আপনার লেখা কেউ পড়ে, না পড়ে, মন্তব্য করে, আর না করে, আমি আছি, সবসময়। এরকম শিক্ষামূলক ব্লগিং আমি এখনো দেখিনি। অনেক কিছু জানতে পারি আপনার লেখা পড়ে। নতুন কিছু জানবার অপেক্ষায় থাকলাম।
০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪১
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: একনিষ্ঠ পাঠক পেতে কার না ভালো লাগে। আমি অবশ্যই লিখব। আপনার জন্য লিখব। আর এই ধরনের লেখাগুলো আমি প্রথমে টেকটিউনসে পোস্ট করি।
৫| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৭
বোকামন বলেছেন:
বিজ্ঞানের খাতায় ভালোলাগা রেখে গেলাম ....
শুভকামনা জানবেন
১১ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: শুভ কামনা জানলাম। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ২:৩৮
ঘর কুনো বলেছেন: শূন্য কমেন্ট। ৪০ হিট। একটাই প্লাস। নির্বাচিত পাতায় পোস্ট।
প্লাস টা কে দিল জানতে মনে চায়। ২য় প্লাস +