নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ বাঁচে আশায়, শূন্যে বাঁধি আশা।

আমার ব্লগ http://dokhinabatas.blogspot.com/

দক্ষিনা বাতাস

আর পড়া নয়, এখন শুধুই ঘোরা। কয়েকদিন শুধু ঘুরব আর ঘুরব।দূর পাহাড়ে যাব, চাকমাদের ব্যাং ভাজা খাওয়া দেখব, মগ মেয়ের ঝরণা থেকে কলস ভরে পানি নেওয়া দেখব। সাগরে যাব, ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটব, সুটকি ভরতা আর রূপচাঁদা ফ্রাই দিয়ে ভাত খেয়ে রৌদ্রে গা ড্রাই করে নেব। ভরা নদীতে মাঝিদের সাথে নৌকায় শুয়ে কাঁটাব রুপালী রাত্রি।

দক্ষিনা বাতাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

হৃদয় ছুয়ে যাওয়া কিছু ছবি

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

ছবি তুলতে অনেকেই ভালোবাসেন। মোবাইল ক্যামেরার গুনে আমরা প্রায় সবায়ই ফটোগ্রাফার। মেসের বুয়া, রিকশাওয়ালা, ছাত্র, শিক্ষক, আদালতের বিচারক, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সবাই এখন সেলফি তোলেন। আমিও সুযোগ পেলে মোবাইল ফটোগ্রাফীতে মেতে উঠি। না আজ আমি নিজের তোলা কোন ছবি দেখাবো না। ইন্টারনেট ঘেঁটে পৃথিবীর মানুষের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়া ছবি হাজির করেছি আপনার সামনে। আশা করি ভালো লাগবে।



ছবিঃ লয়ালিস্ট মিলিশিয়াম্যান এট দ্যা মোমেন্ট অফ ডেথ। ফটোগ্রাফারঃ রবার্ট কাপা

১৯৩৬ সালে ৫ সেপ্টেম্বর রবার্ট ক্যাপা ছবিটি তোলেন। ছবির ব্যক্তিটির নাম ফেদেরিকো বোরেল গারসিয়া।







ছবিঃ অভিবাসী মা। ফটোগ্রাফার ডরোথিয়া ল্যাঞ্জ।





ছবিঃ শিশুর হামাগুড়ি। ফটোগ্রাফারঃ কেভিন কার্টার।

সুদান থেকে ছবিটি তুলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পুরষ্কার বিজয়ী সাংবাদিক কেভিন কার্টার। কার্টার এই শিশুটিকে সাহায্য না করার কারণে বিশ্বব্যাপী নিন্দার সম্মুখীন হন। তিনি শেষপর্যন্ত সুইসাইড করেন। সুইসাইড নোটে লিখে যানঃ ” I am depressed … without phone … money for rent … money for child support … money for debts … money!!! … I am haunted by the vivid memories of killings and corpses and anger and pain … of starving or wounded children, of trigger-happy madmen, often police, of killer executioners … I have gone to join Ken [recently deceased colleague Ken Oosterbroek] if I am that lucky.”









ছবিঃ নাপালামের মেয়ে। আলোকচিত্রীঃ নিক উট

১৯৭২ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনাম আক্রমনের সময়কার ছবি। এই ছবিটির জন্য নিক পুলিৎজার পুরষ্কার অর্জন করেন। ক্যামেরার দিকে দৌঁড়ে আসা মেয়েটি বেঁচে আছে।







ছবিঃ সেইগন হত্যা। আলোকচিত্রীঃ এডি এড্যামস।

ভিয়েতনাম যুদ্ধের ছবি।





ছবিঃ ৯/১১ দ্যা ফলিং ম্যান। আলোকচিত্রীঃ রিচার্ড ড্রিউ।

সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দেয়া এক হতভাগ্য ব্যক্তি। ধোঁইয়া এবং আগুনের কারণে অনেক মানুষ জানালা দিয়ে সেদিন এভাবে লাফিয়ে পড়ে।







ছবিঃ ব্যারিকেড প্রতিরোধ। আলোকচিত্রী ওডেড ব্যালিটি।

মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াকু এক মহিলা। ছবিটি পুলিৎজার পুরষ্কার অর্জন করে।



ছবিঃ উগান্ডা। আলোকচিত্রীঃ মাইক ওয়েলস।

একজন মিশনারীর হাতে উগান্ডার এক বালকের হাত।





ছবিঃ কসোভো শরনার্থীদের পলায়ন। আলোকচিত্রীঃ ক্যারল গুজি।

দুই বছর বয়সী শরনার্থী আজিম শালা। কসোভোর কাটা তাঁর পেরিয়ে আলবেনিয়া সীমান্তের ক্যাম্পে তার দাদাজানের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে।





ছবিঃ কেন্ট স্টেট ম্যাসাকার। আলোকচিত্রীঃ জন ফিলো।

১৯৭০ সালের ১ মে তোলা পুলিৎজার পুরষ্কার জয়ী ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে জেফরি মুলারের মৃতদেহের সামনে বসে চৌদ্দ বছর বয়সী এক মেয়ে কাঁদছে। ন্যাশনাল গার্ড জেফরি ম্যুলারকে গুলি করে হত্যা করে।





ছবিঃ হ্যান্স কনরাড স্কুম্যান লাফিয়ে পশ্চিম বার্লিনে প্রবেশ করছেন। আলোকচিত্রীঃ পিটার লেইবিং।

বার্লিন প্রাচীর ধ্বংসের স্মারক হিসেবে ছবিটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রামে যুক্ত করা হয়।





ছবিঃ রুয়ান্ডার গনহত্যার প্রতিচ্ছবি। আলোকচিত্রীঃ জেমস ন্যাচটওয়ে।

রুয়ান্ডার গনহত্যার সময়ে 'কনসেনট্রেশান ক্যাম্পে' নির্যাতিত হওয়া হুতু সম্প্রদায়ের এক ব্যাক্তি।





ছবিঃ এলেন্দে'স লাস্ট স্ট্যান্ড। আলোকচিত্রীঃ অজ্ঞাত।





ছবিঃ সাদা কালো। আলোকচিত্রীঃ এলিয়ট এরউট।

বর্নবাদ আন্দোলনের যুগে আফ্রিকায় সাদা কালোর বৈষম্য তুলে ধরে ছবিটি।







ছবিঃ ভূপাল গ্যাস ট্রাজেডী। আলোকচিত্রীঃ রঘু রায়।

১৯৮৪ সালে ভারতের ভূপালে রাসায়নিক বিপর্যয়ের সময় ছবিটি তোলেন রঘু রায়।







ছবিঃ বিয়াফ্রা ১৯৬৯। আলোকচিত্রীঃ ডন ম্যাকুলিন।

আলোকচিত্রী বিয়াফ্রার একটি ক্যাম্পে ৯০০ এর বেশী শিশুকে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে দেখেন।





ছবিঃ আবু গারিব কারাগারে বন্দি নির্যাতন।

ইরাকের আবু গারিব কারাগারে মার্কিন সৈন্যের হাতে নির্যাতিত এক বন্দী।





ছবিঃ জ্বলন্ত সাধু, আলোকচিত্রীঃ ম্যালকম ডব্লিউ ব্রাউনি।

ভিয়েতনামে ক্যাথলিক এবং বৌদ্ধদের মধ্যে সংঘাতের সময় মঙ্ক, থিচ কুইং দুক গায়ে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করেন। তিনি যখন জ্বলছিলেন তখনও একবারের জন্য নড়েননি।





ছবিঃ লিঞ্চিং অফ ইয়ং ব্লাকস। আলোকচিত্রীঃ লরেন্স এইচ. বেইটলার।

একজন শেতাঙ্গ মেয়েকে ধর্ষনের মিথ্যা অভিযোগে দুজন নিগ্রো যুবককে ১৯৩০ সালে গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেয়া হয়।





ছবিঃ Federal Dead on the Field of Battle of First Day আলোকচিত্রীঃ ম্যাথু ব্রাডি।

১৮৬০ এর দশকে পেনসিলভানিয়ার গেটিসবার্গ যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত সৈনিকেরা।





ছবিঃ তিয়েনয়ানমেন স্কয়ার ১৯৮৯, আলোকচিত্রীঃ স্টুয়ার্ট ফ্রাঙ্কলিন।

ট্যাংকারের সামনে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি নৃত্য করছেন।







ছবিঃ সিভিল রাইটস মুভমেন্ট ফায়ারহাউজ। আলোকচিত্রীঃ চার্লস ম্যুর।

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এর সময়কার আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার দৃশ্য।





ছবিঃ ব্রেকার বয়েস। আলোকচিত্রীঃ লুইস ডব্লিউ. হাইন।

দক্ষিন পিটসন পেনসিলভানিয়ার কয়লা খনির শিশু শ্রমিকেরা।





ছবিঃ দ্যা কর্পস অফ দ্যা চে গুয়েভারা। আলোকচিত্রীঃ ফ্রেডি আলবোর্তা।

মৃত্যু শয্যায় শায়িত চে গুয়েভারা।





ছবিঃ লা জুনে ফাইল এ লা ফ্লাউর। আলোকচিত্রীঃ মার্ক রাইবুড।

ভিয়েতনাম যুদ্ধে এক প্রতিবাদী নারী যে অস্ত্র হাতে উদ্যত সৈনিকদের ফুল হাতে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।





ছবিঃ সিচুয়ানের ভূমিকম্প। আলোকচিত্রীঃ ম্যাডস নিসেন।

চীনের সিচুয়ানে ৮.০ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।





ছবিঃ আমার জন্য অপেক্ষা করো বাবা। আলোকচিত্রীঃ ক্লাউডি পি. ডেডলফ

বাবা যুদ্ধে যাচ্ছেন। মায়ের হাত ছাড়িয়ে শিশুটি বাবার কাছে ছুটে গেলো।





ছবিঃ ওমেন ভেটার্যাননস।

ছবিটিতে মা এবং শিশুর পূনর্মিলন দৃশ্য ধরা পড়েছে।





ছবিঃ ফলেন সোলজার ইন উটেন বাসেত।





ছবিঃ Dr Fritz Klein is standing in a mass grave





স্বত্বঃ প্রতিটি ছবি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। তাই প্রিন্টিং মিডিয়ায় ব্যবহারের আগে স্বত্বাধিকারীর অনুমতি নিবেন।



বিঃদ্রঃ আমরা সাধারনত কম্পিউটারে খুব দ্রুত একটি ছবি দেখে অন্যটিতে চলে যাই। এভাবে আপনার ছবি দেখা হবে ঠিক কিন্তু ফটোগ্রাফীকে মূল্যায়ন করা হবে না। মাউস থেকে হাত সরিয়ে একটি ছবির দিকে তাকান। ভালো করে লক্ষ্য করুন। দেখবেন ছবিটি আপনাকে ঠিক সেই সময়ে নিয়ে গেছে।



কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। অনুপ্রাণিত হলে এরকম আরো লেখা লিখতে উৎসাহিত হবো।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৫

আছিফুর রহমান বলেছেন: অসাধারণ, তবে বর্ননা আরেকটু বেশি হলে ভাল লাগতো

২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: আসলে ছবি ব্লগে খুব কম লোকই চোখ বুলায়। তাই বেশী বর্ণনা লিখিনি।

২| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৯

পাগলামৃদুল বলেছেন: war takes away so much.......made me very emotional.....great post. please keep it up. ++++++

৩| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: ভাল লাগছে।

৪| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

স্বপ্নবাজ (অতি ক্ষুদ্র একজন) বলেছেন: অসাধারন কিছু মুহুর্ত দেখার সৌভাগ্য করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই..


যথারীতি প্রিয়তে..। :)

৫| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৮

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ভালো লাগলো। কিছু ছবি আগে দেখেছি, আবার দেখলাম। বর্ণনা একটু
কম হয়ে গেছে।

আমারো এমন একটা পোষ্ট আছে। ঘুরে আসলে খুশী হব।
অন্য সুর
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

৬| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০১

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভালো লেগেছে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.