নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ বাঁচে আশায়, শূন্যে বাঁধি আশা।

আমার ব্লগ http://dokhinabatas.blogspot.com/

দক্ষিনা বাতাস

আর পড়া নয়, এখন শুধুই ঘোরা। কয়েকদিন শুধু ঘুরব আর ঘুরব।দূর পাহাড়ে যাব, চাকমাদের ব্যাং ভাজা খাওয়া দেখব, মগ মেয়ের ঝরণা থেকে কলস ভরে পানি নেওয়া দেখব। সাগরে যাব, ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটব, সুটকি ভরতা আর রূপচাঁদা ফ্রাই দিয়ে ভাত খেয়ে রৌদ্রে গা ড্রাই করে নেব। ভরা নদীতে মাঝিদের সাথে নৌকায় শুয়ে কাঁটাব রুপালী রাত্রি।

দক্ষিনা বাতাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অগ্নি - একটি বঙ্গীয় চলচিত্র

২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৬

অনেকদিন পর বাংলা সিনেমা দেখতে বসলাম। বাংলাদেশী বাংলা সিনেমা। ছোট বেলায় রাজ্জাক শাবানার সিনেমা প্রচুর দেখেছি। সালমান শাহ পেরিয়ে রিয়াজদের কিছু চলচিত্র মন কেড়েছে। কিন্তু কিং শাকিব খান আমাকে টানে না। যদিও কলকাতার বাংলা সিনেমাগুলো হচ্ছে তেলেগু তামিল ছবির রিমেক তবুও মাঝে মাঝে ভালো লেগে যায়। অবশ্য তারা ফড়িং, ব্যোমকেশ বক্সী, মিশর রহস্যের মত চমৎকার মৌলিক ছবি বানাচ্ছে এখনো। তাই বলে কি বাংলাদেশে কিছুই হচ্ছে না। আমি মনে করতাম হচ্ছে না। চোরাবালি, টেলিভিশন এগুলোকে পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটক মনে হয়। আজ আরেফিন শুভর অভিনীত অগ্নি ম্যুভিটা দেখছি। ছেলেটা চমৎকার অভিনয় করছে। খুবই সাবলীল। বাংলা সিনেমায় পছন্দের নায়ক বলার মত কেউ একজন হলো। একটা সিনেমা দেখে তাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছি বলে তোমরা আবার আদিখ্যেতা মনে করো না। সিনেমাটিতে সবাই বেশ সাবলীল অভিনয় করার চেষ্টা করছে। মিশা সওদাগর, আলীরাজ, কাবিলা নিজেদের ইমেজটাই নতুন করে ফুটিয়ে তুলেছে। নায়িকা প্রধান চলচিত্র। নায়িকা মাহির অভিনয় ভালোই, চেহারাও মনকাড়া। কিন্তু চোখ মুখ একটু বেশী নড়েছে। চোখ মুখ না নাড়িয়ে এক্সপ্রশান দেয়া যায় এটা সে শুভ’র কাছ থেকে শিখে নিতে পারত। আর চুলগুলো পুরো সিনেমাতে এক স্টাইলে আচড়েছে। সে সুইমিং কস্টিমে হোক আর বারে হোক। এটা রুপসজ্জাকারীর দোষ। আর সব থেকে বড় দোষ পরিচালকের। তিনি অনেক সুন্দর একটা প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করেন নি। ডায়ালগগুলো লেখার আগে অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত বাংলাদেশের মাস পিপল কিভাবে কথা বলে।



একটা দৃশ্যে আছে আরেফিন শুভ তথা ড্রাগন তথা শিশির মামা কাবিলাকে জিজ্ঞেস করছে, তুমি থাই ভাষা বোঝ না, মামী বাংলা ভাষা বোঝে না তাহলে দুজন দুজনের ভাষা কিভাবে বোঝো। মামা বলে মনের টান থেকে বোঝে। এর দুটি দৃশ্য পরে দেখা যায় সেই মামী গড়গড় করে বাংলা বলছে। হা হা হা। বাংলাদেশের পরিচালকদের বোঝা উচিত শুধুমাত্র রিকশাওয়ালাদের জন্য চলচিত্র বানানোর দিন পিছে পড়ে যাচ্ছে। আজকাল রিকশাওয়ালারাও শিক্ষিত। তারাও মানসম্মত সিনেমা বোঝে।



সব শেষে আমার সকল বন্ধুকে অগ্নি সিনেমাটি দেখতে বলবো। বর্তমান বাংলা সিনেমার যুগে এটি বাংলা চলচিত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমরা যদি উৎসাহ দেই তবে পরিচালক, শিল্পী, কুশলীরা আরো ভালো কিছু করার উৎসাহ পাবে। এবং আরেফিন শুভ ও মাহীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.