নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর পড়া নয়, এখন শুধুই ঘোরা। কয়েকদিন শুধু ঘুরব আর ঘুরব।দূর পাহাড়ে যাব, চাকমাদের ব্যাং ভাজা খাওয়া দেখব, মগ মেয়ের ঝরণা থেকে কলস ভরে পানি নেওয়া দেখব। সাগরে যাব, ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটব, সুটকি ভরতা আর রূপচাঁদা ফ্রাই দিয়ে ভাত খেয়ে রৌদ্রে গা ড্রাই করে নেব। ভরা নদীতে মাঝিদের সাথে নৌকায় শুয়ে কাঁটাব রুপালী রাত্রি।
বিশেষ জনের জীবনী পড়ে বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত হই। আসুন সংক্ষেপে কয়েকজন জগদ্বিখ্যাত জনের কথা জেনে নেই। বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন ছেলেবেলায় বেশ বোকাসোকা ছিলেন। এডিসনের স্কুল শিক্ষক বলেছি্লেন, তাকে দিয়ে কিছু হবেনা। ও আহাম্মক। শেখেনা কিছু।
সেই কথা শুনে জেদ চাপা এডিসন একদিন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী হয়েছে। তার আবিষ্কৃত বিদ্যুৎ এখন ঘরের অন্ধকার দূর করতে সক্ষম। আশা করি এই আলোয় মনের অন্ধকার দূর হয়ে যাবে।
ছেলেবেলায় কার্টুন ছবি বলতে বিটিভিতে প্রচারিত টম এন্ড জেরী, ক্যাপ্টেন প্লানেট পর্যন্ত আমার দৌড় ছিলো। ডিজনি ওয়ার্ল্ডের নাম এখনকার বাচ্চারাও জানে। ওয়াল্ট ডিজনীকে তার সম্পাদক বলেছিল, তোমাকে দিয়ে কার্টুন হবেনা। কল্পনা শক্তি কম।
ডিজনি চেষ্টায় পৃথিবী বিখ্যাত কার্টুনিষ্ট হয়েছেন।
স্পিলবার্গকে সিনেমাটিক আর্টস বিশ্ববিদ্যালয় একাধিকবার রিজেক্ট করেছে। তিনি এখন বিখ্যাত পরিচালক। স্পিলবার্গের পরিচালিত একটি চলচিত্রের নাম বলেন? আমি জানি আপনি পারবেন।
আসুন বাড়ির কাছের বলিউড থেকে ঘুরে আসি। বিগ বি কে নিশ্চয় চেনেন। অমিতাভ বচ্চনকে রেডিও থেকে বলা হয়েছিল, এই কন্ঠে শো করতে চাও। ঝালমুড়ি বেচো গিয়ে।
অমিতাভ হতাশ হয়ে ঝাল মুড়ি বিক্রি শুরু করেন নি, জেদ নিয়ে বের হয়ে এসেছিল। আজ তার কন্ঠ এখন যে কোন জায়গায় অমূল্য সম্পদ।
এবার নিজের দিকে ফিরে তাকাই। ছোটবেলা থেকে অনেক শিক্ষক, অনেক পরিচিতজন আমাকে শুনিয়ে গেছে তুই/তুমি এটা হতে পারবি/পারবে না কখনো, ওটা হতে পারবে না কখনো। গালে হাত দিয়ে ভাবছি। আসলেই তো তাই। আমি তো হাতি ঘোড়া কিছুই হতে পারিনি। স্বপ্ন দেখেছি, কিন্তু স্বপ্নকে প্রাণ দিতে পারিনি। মন্দিরে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকা মৃৎ প্রতিমার মত স্বপ্নগুলোও আমার ভিতর নিস্তব্ধ হয়ে আছে। নাকি আমার পরিচিত জন, এই শিক্ষকরা ছিলেন পৃথিবীর সব থেকে জ্ঞানী দার্শনিক, যাদের ভবিষ্যৎবাণী এরকম অব্যয় অক্ষয়রূপে ফলে যায়!
প্রিয় পাঠক, যদি মনে হয় আমি আপনার জীবনের কথা লিখে ফেলেছি তবে কিন্তু কপিরাইট আইনে মামলা ঠুকে দেবেন না প্লিজ। আপনার জন্য আমি জিলিপি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতেছি।
আমার ব্লগে আপনাকে জিলিপি খাওয়ার দাওয়াত দিচ্ছি। লজ্জা করবেন না কিন্তু এখনি চলে আসুন। সপরিবারে আসতে পারেন। বাচ্চাগুলোকে বাড়ি রেখে আসলে ভালো হয়। কারণ জিজ্ঞেস করে লজ্জা দেবেন না! http://www.dokhinabatas.blogspot.com
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০
আমি নী বলেছেন: বেশ ভালো লিখেছেন। আপনার জন্য রইল রসগোল্লা।