![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি সুস্থ সবল নাগরিক জীবনই পারে সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ উপহার দিতে। বাংলাদেশ একটি নিম্ন আয়ের দেশ হওয়া সত্বেও একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে বেশকিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ক্রমোন্নতি সারা বিশ্বকে জানান দিতে সক্ষম হয়েছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পরিকাঠামোতে বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়সীমার এক বত্সর পূর্বেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। শিশু মৃত্যুর হার, মাতৃ মৃত্যুহার এখন তলানিতে ঠেকেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মারাত্মক পোলিও হইতে মুক্ত হয়েছে। হাসপাতালে পোলিও রোগীর অনুপস্থিতি হইতে আরও স্পষ্ট প্রমাণ দিতেছে। এছাড়া ডায়রিয়া, কলেরা, জলবসন্তের মত রোগে মৃত্যু এখন বিরল। সাম্প্রতিক বত্সরগুলিতে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে জায়গায় এসে পৌছেছে বিশ্বসমাজেরও মুগ্ধদৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
শিশু ও প্রসূতি মৃত্যুহার কমিয়ে আনা এবং অপুষ্টির সমস্যা দূরীকরণে বাংলাদেশের অর্জন সার্কভুক্ত অন্যসব দেশের চাইতে বেশি। শিশু স্বাস্থ্যখাতের কর্মসূচির অংশ হিসাবে আগামী ২৫ জানুয়ারি হইতে রুবেলা নামক ভাইরাসের প্রতিরোধক টীকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তহবিল প্রদান করছে গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন এন্ড ইম্যুলাইজেশন (গ্যাডি), ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা। আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশের সর্বোচ্চসংখ্যক ৫ কোটি ২০ লক্ষ শিশু-কিশোরকে কর্মসূচির আওতায় প্রতিষেধক ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। কেউ যেন বাদ না পড়ে সেজন্য সরকারী উদ্যোগে কয়েক সপ্তাহব্যাপী এই কার্যক্রম বিশেষভাবে চালু রাখার ব্যবস্থা রাখা হবে।
©somewhere in net ltd.