![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। স্বাধীনতার ৪২ বছরে আমাদের জাতীয় নেতৃত্বে অনেক ছন্দপতন হয়েছে, দেখেছি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক উত্থান-পতন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যুদ্ধ করেছিল, আমরা কি পেরেছি তা পুরোপুরি অর্জন করতে? আমরা কি পেরেছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে? যদি তা অর্জন করে থাকি তাহলে কেন রাজনীতিতে গণতন্ত্রের জন্য বলি হবে সাধারণ জনগণ? কেন হরতাল নামক গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে ছিনিয়ে নেয়া হবে দিন-মজুরের মুখের খাবার, অচল করে দেয়া হয় অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি? বিরোধীদের সহিংসতার কারনে আজ সাধারণ জনগণ নিরাপদে রাজপথে চলতে পারছে না। এর জন্য আমাদের সন্ত্রাসের রাজনীতিই দায়ী। বিরোধীদের অবরোধ, হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও, সব মিলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে। রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে সর্বত্র, কায়েম হয়েছে সন্ত্রাসের রাজনীতি। নির্বিচারে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে শত শত গাড়ি, মানুষ, ঘর-বাড়ি, স্কুল ঘর। জাতীয় সম্পদের ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে। দেশের পোল্ট্রি ও দুগ্ধ শিল্প আজ হুমকির মুখে। কোমলমতি শিশু যারা রাজনীতি বোঝে না, তারাও সন্ত্রাসের রাজনীতির শিকার। শ্রমজীবী মানুষ কাজ না পেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। বিরোধীদের সহিংসতায় গত তিন মাসে প্রায় ১২২ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই ছিল তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কে এসব পরিবারের দায়িত্ব নেবে, কে এদের পাশে দাঁড়াবে? এর জবাব সহিংসতার মদদদাতা বিরোধী রাজনীতিবিদদেরই দিতে হবে। তাদের সন্ত্রাসের রাজনীতিই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান বাধা।
©somewhere in net ltd.