![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধাপরাধের বিচার ও নির্বাচন প্রতিহত করার সংকল্প নিয়ে রাজনীতিতে ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়া সত্ত্বেও সংবিধান সমুন্নত রাখতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। দেশে নতুন সরকার অধিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে শক্ত সমালোচনা হওয়া সত্ত্বেও নতুন সরকার আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ করেছে। সম্প্রতি খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রহসনের নির্বাচন, গায়ের জোরে সরকার ক্ষমতায় আছে, এ সরকার অবৈধ, গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারের পতন ঘটানো হবে ইত্যাদি উক্তি করেছেন। এটিও বলেছেন, এ সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ অতিক্ষীণ। সেখানে ১৮ দলীয় জোটের শরিক নেতারা উপস্থিত থাকলেও বিএনপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকে মঞ্চে দেখা যায়নি। সাতক্ষীরা ও গাইবান্ধায় যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে বিএনপি নেত্রী যে প্রশ্ন তুলেছেন বা যে ইঙ্গিত করেছেন, তা সুবিবেচক সব মানুষকেই হতাশ করেছে, হতবাক করেছে। সবচেয়ে ভয়ংকর যা, তা হচ্ছে, এই জেলার অভিযান পরিচালনায় পড়শি দেশ ভারতের সৈন্য ছিল বা আছে এমনটাই প্রকারান্তরে বলতে চেয়েছেন বিএনপি নেত্রী। তিনি বলেছেন, সাতক্ষীরায় অভিযানে আদৌ যৌথবাহিনী ছিল কি না, তা সঠিক করে কেউ বলতে পারে না, মানুষের মনে অনেক সন্দেহ। কিন্তু সাতক্ষীরায় জামায়াত-শিবিরের মদদে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে, তা সর্বজনবিদিত। সে সহিংসতার বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর যে অভিযানটি চলছে, সেটিও স্বাধীন গণমাধ্যমের সুবাদে দেশবাসীর সবিস্তারে জানা। সুতরাং বিএনপি নেত্রী যতই গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলুক না কেন দেশবাসী তা বিশ্বাস কখনো করবে না।
©somewhere in net ltd.