![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে ওজন পরিমাপক যন্ত্রে। কমছে মান্ধাতা আমলের দাঁড়িপাল্লা ও বাটখারার ব্যবহার। এসবের স্থান দখন করছে ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র। শহরের সঙ্গে সঙ্গে পাড়া-মহল্লার মুদি-মনোহরি দোকানেও এখন ক্রেতাদের মালামাল দেয়া হচ্ছে ডিজিটাল ওয়েট মেশিনে ওজন করে। এর ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই খুশি। দুই থেকে তিন হাজার টাকায় পাওয়া ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঠিক ওজন ও নির্ধারিত মূল্য পরিশোধের পথ প্রশস্ত হয়েছে। বড় দোকান থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, মুরগির দোকান, এমনকি ভ্যানগুলোতেও ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র। ডিজিটাল মেশিন ব্যবহারের ফলে ক্রেতাদের সঙ্গে পণ্যের ওজন ও দাম নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় না। পণ্য মেশিনের ওপর রাখলেই ওজন ও মূল্য একসঙ্গে চলে আসে। ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্রের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এই যন্ত্রের ব্যবহার সহজ হওয়ায় দোকানদাররা এটি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ক্রেতারা যাতে এই যন্ত্রে প্রতারিত না হতে পারে এজন্য ওজন পরিমাপক যন্ত্র আমদানি ও ব্যবহারকারীদের বিএসটিআই কর্তৃক নির্ধারিত কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। যারা ডিজিটাল ওজন পরিমাপক আমদানি করবে তাদের প্রথমে বিএসটিআইতে দরখাস্ত করতে হয়। আমদানির পর বিএসটিআই ওই যন্ত্রগুলো সঠিক ওজন দেয় কিনা তা পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়ার ছাড়পত্র দেয়। আর যারা ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করে তাদের প্রতি এক বছর পর পর এই যন্ত্র বিএসটিআই থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা জানার জন্য। তা না হলে বিএসটিআই বাজার পরিদর্শন করে ওই যন্ত্রে কোনো ত্রুটি পেলে তা সংশোধন ও জরিমানা করে থাকে। ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্রের পাশাপাশি বিএসটিআই বাজারে উন্নতমানের নতুন মেটালের বাটখারা নিয়ে আসছে। এসব বাটখারা সহজে ক্ষয় হবে না এবং প্রতিটি বাটখারা বিএসটিআই’র লোগো সংবলিত থাকবে। এই নতুন বাটখারা বাজারে সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন বাটখারা তুলে নেয়া হবে। জনগন যাতে অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রতারিত না হয় সে লক্ষ্যেই বর্তমান সরকারের এ প্রয়াস।
©somewhere in net ltd.