![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্ধারিত পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে আরও দু-একটি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। এজন্য সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণের কাজ এগিয়ে চলছে। শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সরকার এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। দেশে শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে যে কোনো সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেয়া হবে। শিল্প খাতে পরনির্ভরশীলতা কমাতে জাতীয় স্বার্থে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার দেশীয় শিল্প কারখানায় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পর্যটন শিল্পসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় শিল্পের প্রসারে সরকারের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দেশে ভারসাম্যপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি শিল্পায়নের স্বার্থে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে মূল শক্তি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তারা শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এসএমই ফাউন্ডেশন ও ঢাকা চেম্বারের যৌথ উদ্যোগে এ খাতের উন্নয়নে একটি চাহিদাভিত্তিক গবেষণা পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দেন। জাহাজভাঙ্গা শিল্পের প্রসারে দ্রুত জাহাজ নির্মাণ শিল্প নীতিমালা অনুমোদন, ওষুধ শিল্পনগরী বাস্তবায়ন, শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ইউটিলিটি সংযোগ প্রদান, দেশীয় শিল্পবান্ধব শুল্ক ও করকাঠামো নির্ধারণ, মেধা সম্পদের অধিকার সুরক্ষায় আইপিআর নামে পৃথক উইং স্থাপন ও অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। অ্যামব্রয়ডারি শিল্প খাতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন। এ শিল্পের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। এতে সংশ্লিষ্ট মহলসহ উদ্যোক্তাদের মধ্যে আশা সঞ্চার হয়েছে এবং বাস্তবায়িত হলে দেশের উন্নয়ন উর্দ্ধমুখী হবে।
©somewhere in net ltd.