![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একসময় বাংলাদেশের পাট ও চা শিল্প ছিল রপ্তানির মূল উৎস। পাটের পাশাপাশি চা আমাদের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল হিসেবে বিশ্ববাজারে সমাদৃত। চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি এবং অনেক কারণে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় রপ্তানি ধীরে ধীরে কমে আসছে। যার কারনে এই খাতে দেশের রপ্তানি আয় দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। চায়ের চাহিদা দিনদিন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশের চা শিল্প উন্নয়নে আরো অধিক পরিমাণে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এজন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বর্তমান সরকার। একদিকে যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা বাড়ছে অন্যদিকে রপ্তানির হারও বাড়ছে দ্বিগুণ । অতীতে দেখা গিয়েছে অর্থের অভাবে চা উৎপাদনকারীরা নতুন এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের চা গাছ রোপন করতে পারত না চা বাগানগুলোতে। তাই বর্তমান সরকার চা শিল্প খাতে দীর্ঘমেয়াদি ও চলতি ঋণের মাধ্যমে বছরে ৪শ’ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে চা বাগানের মালিকদের। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ লাখ হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ চা বাগানের গাছই পুরনো। এ কারণে চা বাগানগুলোর উৎপাদন কমে গেছে অনেকাংশে। আর এ কারণেই চা বাগান মালিকদের বাগানে নতুন গাছ লাগাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়া প্রয়োজনবোধ করছে সরকার। দেশবাসী মনে করছে এটা সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর ফলে চা শিল্প অভ্যন্তরিন চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
©somewhere in net ltd.