নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে শিক্ষা বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে সরকার ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ড’ গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের সাধারণ, কারিগরি এবং মাদ্রাসা বোর্ডের পাশাপাশি কাজ করবে নতুন এই বোর্ড। বয়স চৌদ্দ পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ড’ এর অধীনে শিক্ষা নিতে পারবে। এখন দেশে আটটি সাধারণ, একটি করে মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড রয়েছে।

এতদিন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হতো। এখন একাডেমিক কাজ করার জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইনের আওতায় এই বোর্ড গঠন করা হবে। যাতে এ ধরনের শিক্ষা ব্যাপকতা পাবে। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠবে। প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং বয়স্কদের জন্য একটি স্থায়ী কাঠামো দিতে এই আইন করা হচ্ছে। ভোকেশনাল ও অন্য শিক্ষার সঙ্গে যাতে অপ্রাসঙ্গিক কিছু না হয় এবং শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি, সার্টিফিকেট দেয়াসহ অন্য বিষয় দেখার জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হবে। যেসব শিক্ষার্থী মূল ধারার শিক্ষা নিতে পারে না তাদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেয়া হয়। এই শিক্ষা পদ্ধতিকে আইনী কাঠামোয় আনতে আইনটি করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত ৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত নারী-পুরুষ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার আওতায় আসবে। এ ছাড়া উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা হবে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমমানের। উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক স্তরের শিক্ষায় ভর্তি হওয়ার বয়স ৮ থেকে ১৪ বছর ও বয়স্ক শিক্ষার ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৪৫ বছর করা হয়েছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে স্বাক্ষরতা ছাড়াও কৃষি, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, বন ও পরিবেশ, মৎস্য ও পশু পালন, কুটির শিল্প, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক কাজ ইত্যাদি বিষয় পর্যায়ক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে ঝরে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করা এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করা হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.