![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃহৎ পরিসরে সারাদেশে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হচ্ছে। চলতি বছর জুলাই থেকে মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহককে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার দেয়া হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে সব পোস্ট-পেইড মিটার তুলে নেয়া হবে। এতে একদিকে বিলিং প্রথায় হয়রানি বন্ধ হবে, অন্যদিকে বিতরণ ব্যবস্থারও উন্নয়ন হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে ২২ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যমাত্রার আওতায় বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে প্রথমে শুরু হবে মিটার স্থাপনের কাজ। এক লাখ ৩৯ হাজার মিটার স্থাপন করা হবে এখানে। এর পর কুমিল্লা-ময়মনসিংহের জন্য এক লাখ সাড়ে ৩৮ হাজার মিটার স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া রাজশাহী-পাবনা-ঈশ্বরদীর জন্য পর্যায়ক্রমে পিডিবি মিটার স্থাপন করবে। সব বিতরণ কোম্পানির জন্য নির্মাণ করা সফটওয়্যার ১০ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তর হবে। প্রি-পেইড মিটারে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হলে অগ্রিম ক্রয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করতে হবে। এতে গ্রাহক একদিকে সাশ্রয়ী হবে, অন্যদিকে বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিল আদায়ের কোন ঝামেলা এবং বকেয়া থাকবে না। বিতরণ কোম্পানি এখন বিদ্যুৎ ব্যবহারের এক থেকে দেড় মাস পরে বিল পায়। তাতে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়। এ ছাড়াও প্রি-পেইড মিটারিং প্রথায় সিস্টেম লস হ্রাস পাবে। লোড নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে লোড ব্যবস্থাপনা সহজ হবে। গ্রাহক কোনক্রমেই অনুমোদিত লোডের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে না। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুতের পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটবে না। সরকারের এ পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুতের সিস্টেম লস যেমন কমবে তেমনি গ্রাহকরাও বিভিন্ন হয়রানি থেকে রেহাই পাবে।
©somewhere in net ltd.