![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজুড়ে শিপিং বাণিজ্য ও সমুদ্রবন্দর কার্যক্রম বর্তমানে বহুলাংশে কন্টেইনার নির্ভর হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরমুখী ও বহির্মুখী আমদানি ও রপ্তানি পণ্যসামগ্রী সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও কলম্বো বন্দরে ট্রান্সশিপমেন্ট পরিবহন করা হয় কন্টেইনারযোগে। বর্তমানে কন্টেইনার ওঠানামা (হ্যান্ডলিং) ১৫ লাখ টিইইউএস ছাড়িয়ে গেছে। পরিমাণগত হিসাবে মোট কার্গো ওঠানামা হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি মেট্রিক টন। সমগ্র দেশের আমদানি-রপ্তানি, শিপিং পণ্য প্রবাহের শতকরা ৮৭ ভাগই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রধান সমুদ্রবন্দর ও শিপিং, কাস্টমস কার্যক্রমের মাধ্যমে বার্ষিক রাজস্ব আহরিত হয় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এ বন্দরের কর্মকাণ্ড বহুমুখী, ভূমিকা ও পরিধি ব্যাপক বিস্তৃত। এর মধ্যদিয়ে দেশ ও জাতীয় অগ্রগতির সূচক বহন করে বন্দর। বর্তমানে সত্যিকার অর্থেই চট্টগ্রাম হচ্ছে আজ বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত কন্টেইনার পোর্ট। শিল্পের কাঁচামাল থেকে শুরু করে আদা, হলুদ, মসুর ডাল, মসলাসহ নিত্যপণ্য, বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্য এমনকি যন্ত্রপাতি, নামিদামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি কন্টেইনারে করে আমদানি করা হচ্ছে। তৈরি পোশাক ছাড়াও বিভিন্ন রপ্তানিসামগ্রী কন্টেইনারে শিপমেন্ট করা হচ্ছে। সাধারণ খোলা পণ্যের তুলনায় কন্টেইনারযোগে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে গড়ে প্রতি মেট্রিক টনে খরচ সাশ্রয় হয়ে থাকে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত। সারাবছর এ বন্দরে গমণাগমণকারী দেশি ও বিদেশি জাহাজ বহরের মধ্যে বর্তমানে শতকরা প্রায় ৮০ ভাগই কন্টেইনার জাহাজ বা কন্টেইনার ফিডার জাহাজ। চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে কন্টেইনারের প্রধান স্থাপনা হলো সিসিটি (চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনাল), এনসিটি (নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল) এবং জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) ৬টি কন্টেইনার জেটি-বার্থ। ইতিমধ্যে বন্দরে ৪টি কন্টেইনার স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। দেশের রাজস্ব আয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের যে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
©somewhere in net ltd.