![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে জিএসপি নিয়ে শুরু হয়েছে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র। জিএসপি ফিরিয়ে না দিতে যুক্তরাষ্ট্রে জোর লবিং করছে সরকারবিরোধীরা। এই ইস্যুতে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি মার্কিন চাপ অব্যাহত রাখতে কূটনৈতিক অপকৌশলের আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বাংলাদেশ এ্যাকশন প্ল্যানের ১৬টি শর্ত পূরণ করতে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে ১৩টি শর্ত পূরণ করা হয়েছে। বাকি ৩টি শর্তও পূরণ হওয়ার পথে। কিন্তু এর বাইরেও এখন অলিখিতভাবে নতুন শর্ত জুড়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআর। তাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে গ্রামীণব্যাংক ফিরিয়ে দেয়া, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যু এবং দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের তাগিদ দিচ্ছে আমেরিকান প্রশাসন। বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের পেছনে শুরু থেকেই কাজ করেছে রাজনীতি। যার মূলে রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, নির্বাচন কমিশনকর্তৃক জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল, দীর্ঘদিন টিকফা চুক্তি না করা, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা, গার্মেন্টস শ্রমিক আমিনুল হত্যাকাণ্ডের বিচার ইস্যু, জিএসপি বাতিলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অনুরোধ সংবলিত ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধ এবং সর্বোপরি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণব্যাংক। তবে বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিতের পেছনে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে ড. ইউনূস ইস্যু। জিএসপি স্থগিতাদেশ যাতে প্রত্যাহার না হয় সে লক্ষ্যে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র কাজ করছে। একটি রাজনৈতিক দল এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত নতুন সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে বিষিয়ে তুলতে এরা প্রতিনিয়ত কারসাজির আশ্রয় নিচ্ছে।
©somewhere in net ltd.