![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বা সংহতির প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা হতে বেরিয়ে আসল। আমরা অসুবিধায় ছিলাম, এটা দূর হয়েছে। আমরা গ্রে-লিস্টে ছিলাম। এর থেকে ব্লাক-লিস্টে আসতে পরতাম। অনেক দেশ ব্লাক-লিস্টে আছে। আমরা এগিয়েছি। এখান থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। গত কয়েক বছরে সরকার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে যেসব বিধি-বিধান তৈরি করেছে, সেই প্রেক্ষিতেই আজকের এই অর্জন। ধূসর তালিকা যেটা ছিল, তা থেকে যদি আমরা কালো তালিকায় ঢুকে যেতাম তাহলে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের মানমর্যাদা প্রশ্নের মুখে পড়ত। অনেক কষ্ট করে সরকার ধূসর তালিকা থেকে ঘন ধূসর তালিকায় যাওয়া ঠেকিয়ে রেখেছিল। বিভিন্ন তৎপরতার মাধ্যমে বর্তমানে ধূসর তালিকা থেকেই বেরিয়ে এসেছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল অর্জন। অর্থনীতি সম্পর্কে এতদিন যে হুমকি ছিল তা দূর হয়েছে। আমরা যদি সফল না হতাম তাহলে আমরা একটা ঝুঁকিপূর্ণ দেশে পরিণত হতাম। কেউ আমাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চাইত না। এর থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। এখন ঋণপত্র (এলসি) খোলায় খরচ কম হবে। ধূসর বা কালো তালিকাভুক্ত থাকলে বৈদেশিক সাহায্য পেতেও সমস্যা হয়। বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তায় এবং বিধিমালা জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট কনভেনশন ও রেজুলেশনের আলোকে প্রণীত হয়েছে। মানি লন্ডারিং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গিকার, উচ্চ পর্যায়ের সচেতনতার ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার। ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা হতে বেরিয়ে আসার ফলে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যয় হ্রাস পাবে।
©somewhere in net ltd.