![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান বিশ্বে সশস্ত্র বাহিনীর বহুমাত্রিক ভূমিকার কথা বিবেচনা করে এ বাহিনীকে বাস্তবসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর মাধ্যমে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বর্তমান সরকার। বর্তমানে বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন নতুন পরিবর্তনের ফলে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা ও দায়িত্বে এসেছে বহুমাত্রিকতা। সশস্ত্র বাহিনীর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমেও পরিবর্তিত সময়ের এ চাহিদার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের সব দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিশ্ব শান্তি রক্ষা এবং সকল প্রকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের অবস্থান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। এই আদর্শ সামনে রেখে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সশস্ত্র বাহিনী আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূর্ত প্রতীক। প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর ন্যস্ত। এ পবিত্র দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়ও প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন। শুধু দেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে প্রশংসা ও সুনাম অর্জন করেছেন। তাদের সাফল্যে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অফিসারদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্টাফ কলেজ আজ এক অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত। সশস্ত্র বাহিনী আমাদের দেশের গৌরব। দিনে দিনে এ বাহিনী আরও উত্তরোত্তর উন্নতি করুক এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের সুনাম আরও বৃদ্ধি পাক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.