![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য 'ইকোনমিক করিডোর' গঠনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এতে থাকছে বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমার। সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে ১৫টি মন্ত্রণালয় নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এশিয়ান, সার্ক, জিএমসি, বিমেসটেক থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের ইকোনমিক করিডোর গঠনের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে এশিয়াভিত্তিক ফোরামগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য সহযোগিতা ছাড়াও অন্য বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত এ করিডর হবে আরও বিস্তৃত। চার দেশের বিভিন্ন বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইসহ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ, আর্থিক সহযোগিতা, জ্বালানি, পর্যটন, সংস্কৃতি, শিক্ষা, যোগাযোগ ইত্যাদি। এছাড়াও স্থানীয় সরকার, দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতাও থাকছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এ দেশগুলোর জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন। এজন্য প্রয়োজন হবে সড়ক, নৌ ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা। ইকোনমিক করিডোর হলে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলো শুধু লাভবান হবে না, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হবে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও আঞ্চলিক গ্রিড তৈরি করে বিতরণ ব্যবস্থার প্রসার ঘটানো সম্ভব হবে। ইকোনমিক করিডরের মাধ্যমে এশিয়ান হাইওয়েকে সুদূরপ্রসারি কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশকিছু রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। বহুমাত্রিক পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ছাড়াও পর্যটন, পানিসম্পদ ও কৃষিকে অগ্রাধিকারভাবে কাজে লাগানো হবে। ইকোনমিক করিডোর হলে চার দেশের জনগণ শুধু বিভিন্ন বিষয়ে লাভবান হবে না। এর সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ হবে পারস্পরিক দেশের জনগণের মতবিনিময়। এতে একদিকে যেমন বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হবে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়বে।
©somewhere in net ltd.