![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা আদায় করতে চায় বর্তমান সরকার। এ লক্ষ্যে কর্মকৌশল নির্ধারণসহ একটি পরিপূর্ণ রোডম্যাপ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রশাসনের কাছে পোশাক রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা চাওয়া হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে চিঠি দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। টিকফা ফোরামের প্রথম বৈঠকেই এ সুবিধা চাওয়া হবে। পোশাকে জিএসপি সুবিধা পাওয়া গেলে অতিরিক্ত আরও ৬ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি আয় বাড়বে। বর্তমান সরকার জিএসপি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারসহ পোশাক রপ্তানিতেও যাতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাওয়া যায় সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত এক বছরে বাংলাদেশ গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি বাবদ যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক প্রদান করেছে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ইউএসটিআরের দেয়া ১৬টি শর্ত বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ১৩টি শর্ত পূরণ করা হয়েছে। বাকি তিনটি শর্তও পূরণ হওয়ার পথে। এ লক্ষ্যে কর্মকৌশল নির্ধারণসহ একটি পরিপূর্ণ রোডম্যাপ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রোডম্যাপটি তৈরির পর তা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে তুলে ধরা হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বালি প্যাকেজ ঘোষণা কার্যকর হলে যে কোন পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জিএসপি সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এ বাস্তবতায় বর্তমান সরকার জিএসপি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারসহ পোশাক রপ্তানিতেও শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা আদায়ে জোর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। শর্তগুলো পূরণ হলে আগামী জুন মাস নাগাদ আমেরিকা জিএসপি সুবিধা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এবার পোশাক রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা আদায়ে সরকার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.