নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ওপর গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে এবং এ সেবাকে আরও জনপ্রিয় করতে বিটিআরসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে ব্যাংকিং নীতিমালা তৈরি করছে

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

যৌথভাবে স্বতন্ত্র মোবাইল ব্যাংকিং নীতিমালা তৈরি করছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালা চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে ইতিমধ্যে একটি বৈঠকও করেছে বিটিআরসি। নীতিমালায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে কমিশনের হার এবং এ সংক্রান্ত নানা শর্ত যেমন উল্লেখ থাকবে তেমনি নিবন্ধিত সিম থেকে যেন লেনদেন নিরাপদ হয় সে জন্য বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। বিশেষ করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সম্প্রতি বেসরকারী একটি ব্যাংকের কয়েকটি এ্যাকাউন্ট থেকে ২০ লাখ টাকা খোয়া যাওয়ার প্রেক্ষিতে বিটিআরসি মোবাইল ব্যাংকিং নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসসংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী এক দিনে একজন ২৫ হাজার টাকার বেশি মোবাইল ফোনে লেনদেনের সুযোগ থাকবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংঘটিত জালিয়াতি ও প্রতারণা রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস নীতিমালায় বেশ কিছু সংশোধনী এনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গ্রাহকের মোবাইল হিসাব থাকার বিষয়টি নিশ্চিত না হয়ে কোন ধরনের লেনদেন না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্ট কিংবা এজেন্টশিপ তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হবে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোরভাবে নজরদারিত্বে রাখবে বলেও জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এখন থেকে একজন গ্রাহক দৈনিক সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা নগদ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন। তবে মাসিক ভিত্তিতে নগদ জমা কিংবা উত্তোলনের পরিমাণ সর্বমোট দেড় লাখের বেশি হবে না। গ্রাহকের অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত সীমা প্রতিদিন সর্বোচ্চ দশ হাজার এবং মাসিক ভিত্তিতে ২৫ হাজার টাকা বলবত রয়েছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ওপর গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখার পাশাপাশি বিশেষ এ সেবাকে আরও জনপ্রিয় করতে নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। পূর্বে গ্রামে-গঞ্জে টাকা একস্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠাতে গেলে শুধু সময় এবং অর্থের অপচয় হতোনা, ভোগান্তিরও শেষ ছিলনা। এখন মোবাইল ব্যাংকিং চালু হওয়াতে এ সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.