![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ১৮ তারিখে ইনকিলাবে একটি উস্কানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছিল, যে সংবাদে একই সাথে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো এবং পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার প্রচেষ্টা ছিল। পরে যে পুলিশ অফিসারের নাম দিয়ে পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছিল, তিনি ইনকিলাবের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং সেই মামলায় ইককিলাবের বার্তা সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়। আমরা এমন হলুদ সাংবাদিকতার প্রতিবাদ করেছিলাম তখনই। কিন্তু অমরা অবাক হয়ে দেখলাম, পরদিন গণমাধ্যমের সম্পাদক বৃন্দ ‘সম্পাদক পরিষদ’ ইনকিলাবের বার্তা সম্পাদককে গ্রেফতার করার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিলেন এবং বিবৃতিতে সম্প্রচার নীতিমালারও সমালোচনা করা হলো। একজন সাংবাদিক গ্রেফতার হলেই যাচাই বাছাই ছাড়া সম্পাদকবৃন্দ উনাকে সতীর্থ ভেবে বিবৃতি দেবেন, সেটা কতোটা যুক্তিযুক্ত সেটা বিবেচনা করা প্রয়োজন। অবশ্য সম্পাদক পরিষদ সেই বিবেচনা করেন বলে মনে হয়না। কারণ তারা মাহমুদুর রহমানের মতো নিকৃষ্ঠ একজন মানুষের গ্রেফতারের পরেও নিন্দা জানিয়েছেন। গণমাধ্যমের সম্পাদকবৃন্দ যদি অন্ধ হয়ে যান, তবে অস্বচ্ছ হয়ে যায় সমাজের দর্পন, যে দর্পনে আমরা দেখি প্রতিদিন আমাদের অস্বচ্ছ্ব প্রতিচ্ছবি। যে প্রতিচ্ছবি আমাদের নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যায়। সম্পাদকবৃন্দকে এসব ভেবে দেখতে হবে বৈকি? ইনকিলাব তাদের ভুলের (দুরভিসন্ধি) জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সংবাদটি প্রত্যাহার করেছে, যদিও দুঃখ প্রকাশই যথেষ্ঠ নয়। ক্ষতি যা হবার তা হয়ে গেছে। আবার ইনকিলাব যে এমন ঘটনা প্রথম ঘটিয়েছে, সেটাও নয়। তারা সাতক্ষীরা নিয়ে দুরভিসন্ধিমূলক সংবাদ ছেপে পরে আবার ক্ষমা চেয়েছে। চক্রান্তমূলক সংবাদ ছাপা এবং পরে সেটার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয়া, এসব কি চলতে দেয়া উচিত? এগুলোকে কি সাংবাদিকতা বলা চলে? প্রশ্নগুলো স্বাভাবিকভাবেই আসে। আর এই প্রশ্নের জবাব পেতে হলে নীতিমালারও কথা চলে আসে, যা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরাই দীর্ঘদিন থেকে বলে এসেছেন, কিন্তু নীতিমালাটি প্রণীত হলে সেটাকে বিতর্কিত করতে চাইছেন। একই অঙ্গে বহুরূপের আবির্ভাব ঘটিয়ে যারা গণমাধ্যমকে দুরভিসন্ধির হাতিয়ার হিসাবে রেখে দিতে চাইছেন, তারা যে গণমাধ্যমের সুষ্ঠ বিকাশের চেয়ে কায়েমী স্বার্থকেই প্রাধান্য দেন, সেটা স্পষ্টতঃই বোঝা যায়।
©somewhere in net ltd.