![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষমতাসীন সরকার শিল্পের বিকাশে প্রত্যেক জেলায় শিল্পাঞ্চলের জন্য স্থান নির্ধারণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য এই পরিকল্পনা স্থানীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবহার করে ব্যবসা করতে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে। শিল্প প্রবৃদ্ধির জন্য বেসরকারী খাতের গুরুত্বও অনেক। শিল্পনীতির যথাযথ বাস্তবায়ন ও অন্যান্য বিষয় মনিটরিংয়ে সরকারের ভূমিকা অতুলনীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। যেখানে সেখানে শিল্প-কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেয়া যাবে না। তবে সুচিন্তিত পরিকল্পনার মাধ্যমে মূল্যবান জমি ও পরিবেশ ধ্বংস না করে শিল্পের জন্য নির্ধারিত স্থান গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ তার কৃষি, শিল্প ও জনশক্তির ভিত্তিতে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। এসব সম্পদ পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে পারলে কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না। বর্তমানে সরকারী খাতের শিল্প-কারখানা পুনর্গঠনের পাশাপাশি বেসরকারী খাতের বিকাশেও খুবই উদার নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। সরকার বিশাল জনসংখ্যার এই দেশে শ্রমঘন শিল্প স্থাপন করতে চায়। এ জন্য শ্রমিকদের আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশের ৭ অঞ্চলে বিশেষ শিল্পাঞ্চল স্থাপনে বর্তমান সরকার চমৎকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার আর কোন পাটকল বিক্রি করবে না। বরং এসব স্থপনাকে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য শিল্প প্লটে রূপান্তর করা হবে। সারের উৎপাদন শুরু করতে সাফকোতে গ্যাস সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাভারে চামড়া শিল্পের জন্য ইটিপি স্থাপন করে হাজারীভাগ থেকে অপরিকল্পিত শিল্প সরিয়ে দ্রুত শিল্পনগরী বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়েও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। এই সরকার তার সুচিন্তিত সুদূর প্রসারী চিন্তা-ভাবনা দ্বারা একটি সুখী- সমৃদ্ধি বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। শিল্পায়নে সরকারের পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ও সুদূরপ্রসারী।
©somewhere in net ltd.