নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প বিকাশে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানঃ (পর্ব-৩)

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

বঙ্গবন্ধু সরকার এভাবে অনেক ক্ষতিকর ঔষধ, অপ্রয়োজনীয় ঔষধ ও মদ-নির্ভর ঔষধের বা টনিকের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঔষধ আমদানি খাতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় বন্ধ হয়। বঙ্গবন্ধুর এ পদক্ষেপের সুফলও পাওয়া যায় দ্রুত। জনগণ অপ্রয়োজনীয় ঔষধের পেছনে কষ্টার্জিত পয়সা খরচ না করে জীবন রক্ষাকারী ও অত্যাবশ্যকীয় ঔষধের পেছনে তা খরচ করতে সক্ষম হয় এবং গরিব জনগণের জন্য সাশ্রয়ী খরচে চিকিৎসা সম্ভবপর হয়। যেহেতু দেশে তখন মাত্র কয়েকটি দেশী-বিদেশী ঔষধ কারখানা ছিল এবং তারা দেশের মোট চাহিদার মাত্র ২২% ঔষধ উৎপাদন করত, সেহেতু ঔষধের আমদানি কমিয়ে দেশে মানসম্মত ঔষধের উৎপাদন বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। সে জন্য প্রয়োজন ছিল আরও ঔষধ কোম্পানির, সেই সঙ্গে এই কোম্পানিগুলোকে সহযোগিতা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন ছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বদলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি নিয়ন্ত্রক অফিস। এজন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে ‘ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর’ গঠন করেন। (পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু-কন্যা ২০০৯ সালে একে অধিদফতরে রূপান্তরিত করেন।) বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন যে ঔষধের যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গঠিত এই পরিদপ্তরের কার্যক্রম হবে স্বচ্ছ এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক। তাই তিনি নিয়ম করেন যে এর প্রধান হবেন দেশের ঔষধ বিশেষজ্ঞদের মধ্য থেকে সরকার কর্তৃক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মনোনীত, অর্থাৎ তিনি জনগণের মধ্য থেকে এর প্রধান নিয়োগের বিধান করেছিলেন। তিনি আশা করেছিলেন যে এই পরিদপ্তরের প্রধান যেহেতু জনগণের মধ্য থেকে ঔষধ-বিশেষজ্ঞ হিসেবে আসবেন তাই আমলাতান্ত্রিক জটিলতামুক্ত থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে এই পরিদপ্তর কাজ করবে এবং এ পরিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের মানুষ সুলভ মূল্যে মানসম্পন্ন ঔষধ পাবে, ঔষধের ক্ষেত্রে বিদেশ-নির্ভরতা ক্রমান্বয়ে কমে একসময় প্রয়োজনীয় সব ঔষধ দেশেই উৎপাদিত হবে এবং দেশের ঔষধ শিল্প ভবিষ্যতে একদিন উঠে দাঁড়াবে। (চলবে...............।)।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.