![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার সংখ্যাগত বিস্ফোরণ ঘটলেও গুণগতমানের বিচারে এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। এ জন্য সরকারের এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা। শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই তা করতে হবে। সরকারকে তাই প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষকদেরও শিক্ষক। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষার মানোন্নয়নে সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হবে। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিশেষ সেল শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। জ্ঞান ও দক্ষতা ছাড়া আজকের পৃথিবীতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে তোলা আবশ্যক। গুণগতমান অর্জনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেল গঠনের উদ্যোগ একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে সেল গঠন করা হবে। ঐ সেলের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করা হবে এবং মানোন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তা মনিটরিং করা হবে। আগামী দিনের আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা কেমন হবে, তা প্রণয়ন করতে হবে। আর এক্ষেত্রে গুণগতমান নিশ্চিতকরণের কোন বিকল্প নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং অর্জিত মান সব সময় ধরে রাখতে হবে। তবেই শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন সম্ভব হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষা নিয়ে ঘোষিত লক্ষ্য আগামী ২০২১ সালের মধ্যেই নিশ্চিত পূরণ করা হবে। তবে শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারী বা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের আলাদাভাবে বিচার করা যাবে না। বিচার হবে যোগ্যতা দিয়ে। শিক্ষার মান উন্নয়ন না করা হলে দুর্নীতিবাজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বন্ধ করে দেয়া হবে। তাছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
©somewhere in net ltd.