![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নতিকল্পে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরবর্তী এযাবৎ কাল পর্যন্ত যত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুইয়া সেসমস্ত উন্নয়নের সিংহ ভাগেরই দাবিদার। সেনাবাহিনীর উন্নয়নের লক্ষ্যে যথা সম্ভব সকল বাস্তবমূখী কার্যক্রম তিনি হাতে নিয়েছেন এবং তা বাস্তবে রূপদান করার চেষ্টা করেছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা হিসেবে বলা যায়, সৈনিক মেসে খাবারের মান উন্নয়ন, মেসের কিচেন ও ডাইনিং সুবিধাদির আধুনিকায়ন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের রেশন স্কেল বৃদ্ধি করে নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমপর্যায়ে উন্নীত করণ, সেনাসদস্যদেরকে পাস্ত্তরিত দুধ, সুষম খাদ্য এবং সিএমএইচের রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৫টি ডায়েটের পরিবর্তে ৯টি ডায়েট প্রবর্তন এবং সেনাবাহিনীর সকল পদবীর সদস্যদের সাধারণ পারিবারিক পেনশনের হার ২৫% হতে উন্নীত করে ৩০% এ নির্ধারণ, নির্ভরশীল পেনশনের হার যথাক্রমে অফিসারদের জন্য ১৫% এবং জেসিও ও ওআর-গণের জন্য ২০% এ পুনঃ নির্ধারণ। কর্মস্পৃহা বাড়াতে বীরত্বপূর্ণ-সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য পদক, এককালীন অনুদান ও ভাতা প্রচলনের মত কঠিন ও অসম্ভবপ্রায় সকল পদক্ষেপ নিতে সামান্য পিছুপা হননি বাংলাদেশের এই সফল সেনা নায়ক। এছাড়া, সেনাবাহিনীর এভিয়েশন ইউনিটের বৈমানিকদের উড্ডয়ন বেতন বৃদ্ধি, কমান্ডো-প্যারাকমান্ডো সদস্যদেরকে উড্ডয়ন ঝুঁকি বীমার আওতায় আনা হয়েছে। সর্বোপরি জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে পে কমিশন-২০০৯ এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদের মাসিক বেতন-ভাতা পুনঃ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জেসিও এবং তদ্নিম্ন পদবির সৈনিকদের এলপিআর ০৪ মাস হতে ০৬ মাসে উন্নীত করা হয়েছে। কর্মরত সকল পদবির জন্য নতুন ওয়ার্কিং ড্রেস, শান্তি কালীন পদক প্রবর্তন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বরিশাল ও পটুয়াখালীতে সেনাপল্লী প্লট এবং সাভারে সেনাপল্লী ফ্ল্যাট প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে। বিভিন্ন সেনানিবাসে যথাক্রমে ১৬০টি জেসিও, ১৬৮টি ওআর এবং ১০৪টি ফলোয়ার বাসস্থানসহ ১২৮০ জনের জন্য এসএম ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া সামরিক হাসপাতাল সমূহে প্রয়োজনীয় ভবনবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন আউটডোর, ডিপার্টমেন্ট, ওয়ার্ড ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একইসাথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোপরি সেনাবাহিনীর জেসিওগণকে দ্বিতীয় শ্রেণী হতে প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদায় এবং সার্জেন্টকে তৃতীয় শ্রেণী হতে দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদায় উন্নীত করণের মত কঠিন কাজটি সম্ভব হয়েছে বর্তমান সেনাপ্রধান এবং বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার ফলে। এছাড়া, সেনাবাহিনীর মেজর ও তদনিম্ন পদবির অফিসারগণের বিভিন্ন পদবিতে চাকুরীর সময়সীমা ০২ বছর এবং একই সাথে পদোন্নতির ধারাবাহিকতা ও সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য লেঃ কর্নেল ও তদুর্ধ বিভিন্ন পদবীর অফিসারদের চাকুরীর সময়সীমা প্রাথমিকভাবে এক বছর এবং পরবর্তীতে আরও এক বছর বৃদ্ধি করার মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারে নীতিগত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছেন বর্তমান সেনাপ্রধান।
©somewhere in net ltd.