![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলতি বছর রাজধানী ঢাকায় ডিজিটাল বাস ওয়াইফাই চালু করার পর এবার এ সেবা ঢাকার বাইরেও চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিআরটিসি। এতে বরাবরের মতোই কারিগরি সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)। প্রাথমিক অবস্থায় আগামী বছর থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ঢাকা-কক্সবাজার এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলরত এসি বাসের যাত্রীরা। এর আগে ঢাকার ৫টি রুটে এ সেবা চালুর কাজ করছে বিআরটিসি। আর নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ সেবা নিশ্চিত করতে টেলিটক নেটওয়ার্কের বাইরে আরও দুটি ওয়াইম্যাক্স নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভাগীয় জেলা রুটে চলাচলকারী বাসেও এ সুবিধা চালু করা হবে। পাশাপাশি ভিইকল ট্যার্কিং সিস্টেমও চালু করা হবে। ঢাকার মধ্যে সেবা নিশ্চিতের পরই প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত এসি বাসে ইন্টারনেট সেবা চালুর পর দূরপাল্লার বাসে ইন্টারনেট সংযোগ চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দ্রুতগতির ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করে চলতি পথে বাসে বসে ইন্টারনেট ব্রাউজ, মেইল পড়া ও পাঠানো এবং গেম খেলার সুবিধা চালু করা হবে। নতুন ধরনের আধুনিক সেবা দেয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। সবার আশা পূরণ হলেই সরকারের এ চেষ্টা সফল হবে বলে আশা করা যায়। প্রতিটি বাসে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের চারটি থ্রিজি ওয়াইফাই রাউটার থাকবে। একটি বাসে অন্তত ৪০ জন যাত্রী স্মার্ট ডিভাইস দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এসব বাস ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে চললেও যাত্রীদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা হবে না। বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করেন। বিষয়টি মাথায় রেখেই বাসে ওয়াইফাই যুক্ত করা হচ্ছে। ১০ এপ্রিল ঢাকার রাস্তায় প্রথম নামে ওয়াইফাইযুক্ত ডিজিটাল বাস। ওয়াইফাইয়ের পাশাপাশি বাসগুলোতে আছে ভিইকল ট্যার্কিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে ঘরে বসেই জানা যাবে বাসটি বর্তমানে কোথায় আছে। তাই এসব বাসকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল বাস। সরকারের এ প্রচেষ্টা দেশকে ডিজিটালের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
©somewhere in net ltd.