![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ ব্যাংককে বিশ্বমানে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ব্যাংকিং খাতের স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী ৫ বছরের (২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত) জন্য একটি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে সঠিক নির্দেশনার মাধ্যমে মানব সম্পদকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চায়, যাতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বিশ্বমানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রুপান্তরিত করার পথ সুগম হয়। আগামীতে লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করছে। চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব জায়গায় লিডারশিপ এক্সেলেন্ট সেন্টার তৈরির কাজ চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে ডিজিটালাইজড প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অংশগ্রহণমূলক মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার নিয়ামক হিসেবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিকে অন্যতম প্রধান কৌশল হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রিন ব্যাংকিং ধারণা প্রবর্তন করা ও সামাজিক দায়বদ্ধ কর্মকান্ডকে মূল ব্যাংকিং কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ন কার্যক্রম জোরদার করতে সুপারভিশনে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিজিটালাইজড সুপারভিশনের অংশ হিসেবে ড্যাশবোর্ড স্থাপন ও উন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের রেগুলেটরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরের অর্জনগুলোকে ভবিষ্যতে আরও সমন্বিত করে সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও অধিক কার্যকর ভূমিকা রাখার প্রত্যয়েই আগামী পাঁচ বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এ জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার, অটোমেশন করা হচ্ছে। ভারসাম্য ও সমন্বিত মুদ্রানীতি প্রণয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিদেশী মুদ্রার লেনদেন আরও সহজ করা হবে। ব্যাংকগুলোকে আরও মানবিক করা হবে। যার সুফল দেশের প্রতিটি নাগরিক বছরের পর বছর ধরে পেতে থাকবে।
©somewhere in net ltd.