![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যায়ে দুর্নীতির সবচেয়ে বড় আখড়ায় পরিণত হয়েছে ভূমি অফিস। কিন্তু দিন বদলের সাথে সাথে এসব দুর্নীতির চিত্র ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। স্বল্প খরচে ও দ্রুত গতিতে জমি সংক্রান্ত কাগজ-পত্র প্রাপ্তি এবং ভূমি অফিস ডিজিটালাইজেশনের কাজে তুলনা নেই বর্তমান সরকারের। ডিজিটাল ভূমি অফিসের ডিজিটালাইজেশনে সরকারের অবদানের কিছু তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
ভূমি অফিসে ডিজিটাল রেকর্ড রুম: আগের দিনে একটি জমির খতিয়ান পেতে অনেক টাকা ঘুসের মাধ্যমে আবেদন করলেও ৬ মাস এমনকি এক বছর লেগে যেত। এখন তা পেতে সময় লাগে মাত্র তিনদিন। যে কেউ জমির খতিয়ান পেতে এখন আর অফিসেও যেতে হচ্ছে না। ডাক যোগে বা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র থেকে আবেদন করলেই হচ্ছে। সাথে ফিরতি খামের সাথে ডাক টিকিট লাগিয়ে দিলেই সব কাজ শেষ।
হাজার টাকার কাজ এখন ২৭ টাকায়: ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল হওয়ায় বেড়েছে গ্রাহক সেবার মান। কমেছে দুর্নীতি আর গ্রাহকদের ভোগান্তি। ভলিউম, রেকর্ডপত্র ও পর্চা, নকশাসহ প্রয়োজনীয় নথি এখন যথাযথভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে। আগে একটি পর্চা তুলতে এক হাজার থেকে পনেরশ’ টাকা লাগতো। সেখানে এখন মাত্র ২৭ টাকায় পর্চা ও নকশা উত্তোলন করা যাচ্ছে।
দেশের প্রথম ডিজিটাল ভূমি অফিস এখন ফটিকছড়িতে: দেশের প্রথম ডিজিটাল (স্বয়ংক্রিয়) ভূমি কার্যালয় চালু হয়েছে ফটিকছড়িতে। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি কার্যালয়টির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এটি চালুর ফলে নিখুঁত ও নির্ভুল ভূমি ব্যবস্থাপনা, কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া, নামজারি, নথি হালনাগাদ করা এবং কম সময়ে ভূমি সম্পর্কে সঠিক তথ্য ও খতিয়ান পাওয়া যাচ্ছে। ফটিকছড়ি উপজেলার সাড়ে ৬ লাখ মানুষ ছয়টি ইউনিয়ন উপকেন্দ্রের মাধ্যমে এর সুবিধা ভোগ করছে।
যেসব জেলায় কার্যক্রমের প্রস্তুতি চলছে: ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮টি জেলা, সিলেট বিভাগের ৪টি জেলা, ৬টি জেলা, রাজশাহী বিভাগরে ৭টি জেলা, রংপুর বিভাগের ৭টিজেলা, এছাড়া খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় ভূমি অফিসের ডিজিটালাইজেশনে সরকারের অবদান অপরিসীম।
২০১৬ সালে ৬৪ জেলার ভূমি অফিস ডিজিটাল হবে: পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলার ভূমি অফিসকে ডিজিটালাইজড করবে সরকার। এ লক্ষ্যে ভূমি জরিপ, রেকর্ড প্রণয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভূমি রেকর্ড ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের অধীনে ঢাকা মহানগর জরিপে ১৯১টি মৌজার ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫০৬টি খতিয়ান এবং ৪ হাজার ৮০৯টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটালাইজেশনের কাজ শেষ করে তা ভূমি রেকর্ড জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় ডিজিটালাইজড ভূমি অফিস স্থাপন করা হবে।
পরিশেষে বলা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভূমি জরিপের প্রাচীন ও জটিল পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল জরিপ প্রবর্তনের ফলে জাল-জালিয়াতি ও জনদুর্ভোগ বহুলাংশে কমে আসবে।
©somewhere in net ltd.