নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্টতার কারণে র্যা বের সফলতার বিরোধিতা করে চলেছে স্বার্থান্বেষী একটি মহল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর র্যা ব বিলুপ্তির সুপারিশ পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মানবতা-মানবাধিকারের কথা বলে চিৎকার-চেঁচামেচিতে গলা ফাটায়, তারা গাজায় শত শত শিশুর মৃত্যুতে একেবারে অন্ধের ভূমিকায় অবতীর্ণ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, শিশু আর শিশুদের ভাই-বোন, মা-বাবাকে মেরে যে গাজাকে ইসরাইলি সেনারা বধ্যভূমি বানিয়ে ফেলেছে, সে বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একেবারে নির্বিকার। ভাবখানা এমন, যে শিশু গাজায় জন্ম নেয়, তার জন্মই হয় ইসরাইলি কিংবা তাদের দোষরদের হাতে মরার জন্য। সে মৃত্যুতে মানবতা লঙ্ঘিত হয় না। অথচ পান থেকে চুন খসলেই মানবতা লঙ্ঘিত হয়ে যায় বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহে। গাজায় যখন শিশুদের কচুকাটা চলছে ঠিক সে সময়েই সেদিকে অন্ধ সেজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে এইচআরডব্লিউ। চিঠিতে তারা আবারো র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যা ব) ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। র্যা ব গঠনের পর থেকেই এইচআরডব্লিউ-এর পেছনে লেগে আছে। তারা কোন জায়গা থেকে তথ্য পায়, সেই তথ্যের সত্যতাই বা কি? আর র্যা ব ভেঙে দেওয়ার এ ধরনের আহ্বান এবারই প্রথম নয়, কিছুদিন পরপরই তারা এ ধরনের আহ্বান জানায়। ষড়যন্ত্রমূলকভাবেই পরিকল্পিত উপায়ে এটা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ এই বাহিনীকে ধ্বংস করার জন্য তাদের চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সরকার র্যা ব গঠন করেছে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য বাহিনীটি কাজ করে। বাংলাদেশের মানুষ ভালো করেই জানে র্যা ব সৃষ্টির আগে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিল, আর পরে কেমন আছে। এদেশের প্রতিটি মানুষ একবাক্যে স্বীকার করে কোনো সাধারণ মানুষের জীবনহানির কারণ র্যা ব নয়। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্টতার কারণে র্যা বের বিরোধিতা করেন। এখনও এ দেশের সাধারণ মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও র্যা ব। বাস্তবতা হলো, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনী যখন ব্যর্থ হচ্ছিল, ঠিক সেরকম পরিস্থিতিতেই র্যা ব নামক এলিট ফোর্স গঠন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে অভাবনীয় সাফল্য দেখাতেও সক্ষম হয়েছে বিশেষ এ বাহিনী। অথচ ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্টতার কারণে র্যা বের এ সফলতার বিরোধিতা করে চলেছেন স্বার্থান্বেষী ওই বিশেষ মহল। এই বাহিনী বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাকান্ড কখনও ঘটায়নি। র্যা ব ভেঙে দেওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থাটির এই মুহূর্তে গাজায় ফিলিস্তিনি হত্যাকান্ড প্রতিহত করতে মনোযোগী হওয়া উচিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.