![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের গভীর সম্পর্ক বহু বছরের। স্বাধীনতার পর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। শুরু থেকেই বাংলাদেশের প্রায় শর্তহীন উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে জাপান। ১৯৭১ সালের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাপানের অবদান ভোলার নয়। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে দেশটি সব সময় সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে আসছে। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে পরস্পরের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। দুই দেশের নাগরিকদের যোগাযোগ বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চায়। এই লক্ষ্য অর্জনে জাপান সব সময় পাশে থেকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে অংশীদারিত্ব সন্তোষজনক। সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ প্রতি বছরই বাড়ছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশটি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৬ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছিল। এর মধ্যে ঋণ ছিল ৩৪ কোটি ডলার আর বাকি ২ কোটি ডলার ছিল অনুদান। এর আগের বছর জাপান থেকে ৩৫ কোটি ডলার পেয়েছিল সরকার। তারও আগের বছর পাওয়া গেছে ২৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রতি বছরই সহায়তার পরিমাণ বাড়ছে। অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ থেকে যেসব ঋণ নেওয়া হয়, তার সঙ্গে জাপানের ঋণের কোনো মিল নেই। কারণ এ ঋণে সুদের হার খুবই কম। শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। দেশটি প্রতি বছর ঋণের একটা অংশ মওকুফ করে দেয়, যেটা অন্য কোনো দেশ বা সংস্থা করে না। এ জন্য জাপানের ঋণে বাংলাদেশ আলাদা গুরুত্ব দেয়। দেশটির সহযোগিতার পরিমাণ আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। জাপান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু কখনো কোনো বিনিময় চায়নি। জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য পদে ত্যাগ স্বীকার করে বাংলাদেশ নজিরবিহীন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। দুই দেশের ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রায় এটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.