![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পশু বাণিজ্যের পাশাপাশি চলে অন্যান্য কারবারও। কিন্তু হরতালের কারণে সবাই উদ্বিগ্ন। ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যের একটি বড় অংশ অর্জিত হয় ঈদের সময়। বিশেষ করে রোজার ঈদ, ঈদ-উল-আযহা, পহেলা বৈশাখ এবং শারদীয় দুর্গা পুজোর জন্য ব্যবসায়ীরা সারা বছর মুখিয়ে থাকেন। এবার কোরবানির ঈদ ও দুর্গা পুজো প্রায় একই সময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল এ বছর এই ঈদ ও পুজোয় বাণিজ্য ভালই হবে। কিন্তু হরতালের কারণে তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ার পথে। হরতালে দোকানপাট খোলা রাখা হলেও ক্রেতারা আসে না। তাই তাদের ক্ষতি যা হওয়ার হবেই। ব্যবসায়ীরা এই দুই দলের রাজনীতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। হরতাল বন্ধ না হলে দেশের অর্থনীতি টিকবে না।
ঈদ-উল-আযহার সময় সারাদেশে প্রায় ৭০-৮০ লাখ পশু কোরবানি হয়ে থাকে। গ্রাম থেকেই এসব পশু সারাদেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরবরাহ করা হয়। কোরবানির দুই সপ্তাহ আগে থেকে পশু আনা-নেয়ার কাজ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া কোরবানি কেন্দ্রিক অন্যান্য শিল্পের ব্যবসায়ীরাও এই সময় ব্যস্ত সময় পার করেন। দেশে শুরু হয় ব্যস্তময় অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর এই হরতাল ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। অর্থনীতি ধ্বংসকারী এই হরতালের বিরুদ্ধে জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে। মানুষের জন্য যদি রাজনীতি নয়, তাহলে অর্থনীতির জন্য হরতাল বন্ধ করতে হবে। উৎসবের মধ্যে জামায়াত ইসলামী হরতাল আহ্বান করেছে। অথচ কোর্টের রায়ে এই দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। জামায়াত ইসলামী দেশের কোর্ট-কাছারি ও আইন আদালতে বিশ্বাস করে না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোন রাজনৈতিক দল কোর্টের রায় অবজ্ঞা করে হরতাল ডাকতে পারে না। দেশের অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব ফিরে আসছে। বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও আমাদের রপ্তানি ভাল। মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমেছে দারিদ্র্য। মূল্যস্ফীতি এক ঘরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় শুধু ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচীর কারণে দেশের অর্থনীতিতে নতুন চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। বিএনপি-জামাতের উচিত ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচী পরিহার করে অর্থনীতির চাকাকে আরও বেগবান করতে সাহায্য করা।
©somewhere in net ltd.