![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের আইন শৃঙ্খলা এবং জরুরি প্রয়োজনে অতিদ্রুত ঘটনাস্তলে পৌঁছে পরিস্থিতি মোকাবেলায় গঠন করা হয়েছিল র্যা্পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, রাহাজানি, চরমপন্থী রজনীতি, ধর্মীয় উগ্রজঙ্গিবাদ মোকাবেলায় এই বাহিনীর অসামান্য অবদান রয়েছে। ২০০৪ সালে এই বাহিনী গঠনের পর দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে গড়ে উঠা উগ্র চরমপন্থী বিশেষ করে পূর্ববাংলার সর্বহারাপার্টি, বিপ্লবী কম্যুনিস্ট পার্টি, বাংলার কম্যুনিস্টপার্টি,কম্যুনিস্টপার্টি(লালপতাকা), কম্যুনিস্টপার্টি(হকগ্রুপ), গনবাহিনী(সিরাজ), সর্বহারাপার্টি(কামরুল) এই সমস্ত দল, গোষ্ঠী দমনে বিশেষ ভুমকা পালন করে। ঐ সমস্ত জেলায় এখন জনজীবনে শান্তি বিরাজ করছে। একই ভাবে সুন্দরবন এলাকায় বনদুস্য দমন করে জেলে, মৌয়াল, বনজীবীদের মাঝে নিরাপদ জীবনের আশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে এই বাহিনী। ২০০৫ সালে রাজশাহীর বাগমারা, আত্রাই, রানী নগর, বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম এলাকায় জেএমবি নেতা বাংলা ভাই, শায়ক আব্দুর রহমান তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সরকার ঐ বাহিনীর নেতা শায়ক ভাই, বাংলা ভাইকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করে। তখন র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ঐ পলাতক নেতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে। এই গ্রেপ্তারির মধ্য দিয়ে ধর্মীয় জঙ্গিবাদীদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যায়। তাদের কর্মকাণ্ড আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। বলা চলে দেশের মানুষ যে নিরাপদে ঘুমাতে পারছে তা র্যা ব বাহিনীর কল্যাণে। নির্যাতিত মানুষ এই বাহিনীর জন্য দোয়া মানত করে থাকে। যেখানেই নির্যাতন সেখানেই শান্তির দূত হিসাবে পৌঁছে যায় র্যাহব। এ জন্য এই বাহিনীকে অনেকে শান্তির দূত বলে অভিহিত করে থাকেন। অতিসম্প্রতি হবিগঞ্জ জেলার সাতছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমান গোলা বারুদ, রকেট লাঞ্চার। অনুমান করা যায় এই সব গোলাবারুদ উলফা, টিএনভি, বিচ্ছিন্নতা বাদীদের। চার দলীয় জোট আমলে তারা এখানে ঘাঁটি গেড়েছিল। মহাজোট সরকারের তাড়া খেয়ে তারা পালিয়ে যায়। দেশের উন্নয়ন, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে র্যা ব বাহিনীর গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
©somewhere in net ltd.