![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন আর আসামী খুঁজতে হয়রানি হতে হবে না। আগে যেমন আসামি কোন থানায় তা জানতে হলে থানায় থানায় ঘুরতে হত। কোর্টে কোর্টে চক্কর কাটতে হত। ঘুরে-ঘুরে, খুঁজে- খুঁজেও যে পাওয়া যাবে তারও নিশ্চয়তা ছিলনা। কিংবা এক দাগী আসামির নামে কোন থানায় কয়টি মামলা আছে তা জানতে হলে থানায় থানায় নথিপত্র ঘেঁটে হয়রান হতে হত। কিন্তু না, দিন বদলে গেছে। প্রযুক্তির ব্যবহারে এক ক্লিকেই এখন সব তথ্য চলে আসছে কম্পিউটারের মনিটরে। দরকার শুধু সংশ্লিষ্ট আদালতের কম্পিউটার শাখায় যোগাযোগের। সেখানে তারাই আপনাকে এক ক্লিকে কার নামে কত নম্বর মামলাটি আছে এবং তা কোন কোর্টে চলমান, মামলার তারিখ কত, কোন পর্যায়ে আছে মামলাটি আর আগের তারিখে তা কোন অবস্থায় ছিল তা বের করে দিতে পারবেন। গত ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এভাবেই শুরু হলো ডিজিটালাইজড যুগের। তবে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে সফলতার মুখ দেখার পর এখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির প্রতিটি আদালতের কজলিস্ট এখন ডিজিটাল ল্যান নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তির আওতায়। ল্যান প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রতিদিন কোন কোর্টে কয়টি মামলার কাজ হচ্ছে, প্রতিদিন মামলার নিস্পত্তি কয়টি তা একটি কম্পিউটারের সামনে বসেই জানা সম্ভব। প্রতিটি আদালতের কজলিস্ট এখন প্রতিটি কোর্টের সামনে প্রতিদিন বিকেলে টানিয়ে দেয়া হয়। ফলে তারিখ নেয়ার জন্য কোনো পক্ষকে আর আইনজীবীর সহকারীর পেছনে পেছনে ঘুরতে হয় না কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে প্রতারিত হতে হয় না। কজলিস্ট নোটিশ বোর্ডে আসার পাশাপাশি ল্যান প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে তা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টা ও উদ্যোগে বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার করার এই পদ্ধতি চালু করার ফলে বিচারপ্রার্থী দিনের পর দিন হয়রানি হওয়া, প্রতারিত হওয়ার পথগুলো অনেকাংশেই বন্ধ হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.