![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝিমিয়ে পড়েছে ঢাকা মহানগর বিএনপি। নতুন কমিটি গঠনের পর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বিভিন্নভাবে হাক-ডাক দিলেও রাজধানীতে এখন বিএনপির কার্যক্রম নেই বললেই চলে। একদিকে সাদেক হোসেন খোকাকে দূরে ঠেলে দেয়া এবং অপরদিকে নতুন কমিটির দুই নেতার রশি টানাটানিতে বিরক্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট থানা ও ওয়ার্ড কমিটির নেতারাও এখন কার্যত নিষ্ক্রিয়। দেশের রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র দলীয় কর্মকান্ড চাঙ্গা করতে গতবছর ১৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আব্বাস-সোহেলের নেতৃত্বাধীন ৫৩ সদস্যের ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে এক মাসের মধ্যে প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সময়সীমা বেধে দিলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ মাসে একটি কমিটিও গঠন করতে পারেননি তারা। আরও ৩ মাস সময় দেয়া হলেও এই কমিটি সকল থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের পর ঢাকা মহানগর বিএনপির একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারবে এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আর থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় করা যাচ্ছে না। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্দোলনে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে সাদেক হোসেন খোকা ও আবদুস সালামের নেতৃত্বাধীন কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে মির্জা আব্বাস ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। কিন্তু এভাবে নতুন কমিটি করায় খোকা-সালামের অনুসারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তবে সাদেক হোসেন খোকা বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকায় তারা প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ না করলেও চুপে চুপে নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এদিকে মির্জা আব্বাস ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের দ্বন্দ্বের কারণে খোকা-সালাম বিরোধী ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরাও এখন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। আর এসব কারণেই এখন ঢাকা মহানগর বিএনপি কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। জানা যায়, সাড়ে ৩ বছর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার পর থেকেই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তার অনুসারীদের নিয়ে এ কমিটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করেন। মির্জা আব্বাসদের অসহযোগিতার কারণেই খোকার নেতৃত্বাধীন কমিটি সংশ্লিষ্ট থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো পুনর্গঠন করে মহানগরীর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। যেখানেই থানা বা ওয়ার্ডের কাউন্সিল করার চেষ্টা চালানো হয়েছে সেখানেই গ্রুপিং-কোন্দল সৃষ্টি করে অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্দোলন কর্মসূচী পালনকালেও মির্জা আব্বাস ও তার অনুসারীরা মাঠে নামেননি। আবার তারাই নির্বাচনের পর আন্দোলনে ব্যর্থতার দায় খোকা-সালাম নেতৃত্বাধীন কমিটির ওপর চাপিয়েছেন। তাদের নানামুখী প্রপাগাণ্ডর কারণেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এ বছর ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তবে যাদের নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের সঙ্গে এখন মহানগরের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সম্পর্ক নেই বললেই চলে। তাই তারা থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের আস্থায় এনে কমিটি গঠন করতে পারছেন না। আবার কমিটি গঠন করতে গিয়ে মির্জা আব্বাস তার নিজের পছন্দের লোককে প্রাধান্য দিতে গিয়েও বাধার সম্মুখীন হন। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি করতে গিয়ে খালেদা জিয়া নিজেও বিব্রত হন। যারা তাদের নেতা নির্বাচিত করতে পারেনা তারা কিভাবে একটা দেশ পরিচালোনার দায়িত্ব নিতে চায় এটাই এখন ভাবার বিষয়।
©somewhere in net ltd.