নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেতৃত্ব সংকটে বিএনপি। কার্যক্রম নেই, নেতারা নিষ্ক্রিয়। নতুন কমিটি নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

ঝিমিয়ে পড়েছে ঢাকা মহানগর বিএনপি। নতুন কমিটি গঠনের পর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বিভিন্নভাবে হাক-ডাক দিলেও রাজধানীতে এখন বিএনপির কার্যক্রম নেই বললেই চলে। একদিকে সাদেক হোসেন খোকাকে দূরে ঠেলে দেয়া এবং অপরদিকে নতুন কমিটির দুই নেতার রশি টানাটানিতে বিরক্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট থানা ও ওয়ার্ড কমিটির নেতারাও এখন কার্যত নিষ্ক্রিয়। দেশের রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র দলীয় কর্মকান্ড চাঙ্গা করতে গতবছর ১৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আব্বাস-সোহেলের নেতৃত্বাধীন ৫৩ সদস্যের ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে এক মাসের মধ্যে প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সময়সীমা বেধে দিলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ মাসে একটি কমিটিও গঠন করতে পারেননি তারা। আরও ৩ মাস সময় দেয়া হলেও এই কমিটি সকল থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের পর ঢাকা মহানগর বিএনপির একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারবে এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আর থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় করা যাচ্ছে না। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্দোলনে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে সাদেক হোসেন খোকা ও আবদুস সালামের নেতৃত্বাধীন কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে মির্জা আব্বাস ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। কিন্তু এভাবে নতুন কমিটি করায় খোকা-সালামের অনুসারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তবে সাদেক হোসেন খোকা বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকায় তারা প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ না করলেও চুপে চুপে নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এদিকে মির্জা আব্বাস ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের দ্বন্দ্বের কারণে খোকা-সালাম বিরোধী ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরাও এখন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। আর এসব কারণেই এখন ঢাকা মহানগর বিএনপি কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। জানা যায়, সাড়ে ৩ বছর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার পর থেকেই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তার অনুসারীদের নিয়ে এ কমিটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করেন। মির্জা আব্বাসদের অসহযোগিতার কারণেই খোকার নেতৃত্বাধীন কমিটি সংশ্লিষ্ট থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো পুনর্গঠন করে মহানগরীর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। যেখানেই থানা বা ওয়ার্ডের কাউন্সিল করার চেষ্টা চালানো হয়েছে সেখানেই গ্রুপিং-কোন্দল সৃষ্টি করে অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্দোলন কর্মসূচী পালনকালেও মির্জা আব্বাস ও তার অনুসারীরা মাঠে নামেননি। আবার তারাই নির্বাচনের পর আন্দোলনে ব্যর্থতার দায় খোকা-সালাম নেতৃত্বাধীন কমিটির ওপর চাপিয়েছেন। তাদের নানামুখী প্রপাগাণ্ডর কারণেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এ বছর ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তবে যাদের নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের সঙ্গে এখন মহানগরের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সম্পর্ক নেই বললেই চলে। তাই তারা থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের আস্থায় এনে কমিটি গঠন করতে পারছেন না। আবার কমিটি গঠন করতে গিয়ে মির্জা আব্বাস তার নিজের পছন্দের লোককে প্রাধান্য দিতে গিয়েও বাধার সম্মুখীন হন। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি করতে গিয়ে খালেদা জিয়া নিজেও বিব্রত হন। যারা তাদের নেতা নির্বাচিত করতে পারেনা তারা কিভাবে একটা দেশ পরিচালোনার দায়িত্ব নিতে চায় এটাই এখন ভাবার বিষয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.