![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে মামলা করেছেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি, ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট জবানবন্দী গ্রহণ করে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে শাহবাগ থানার ওসিকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়া গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোন ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে। খালেদা জিয়ার এ সকল বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণীগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে, যা দণ্ডবিধির ১৫৩(ক) ও ২৯৫(ক) ধারার অপরাধ। মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনও করা হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৮ দলের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে বিকেল ৪টার দিকে গুলশানের নিজ বাসভবন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন খালেদা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে বাধা দিলে খালেদা জিয়া কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক সদস্যের দেশ কোথায় জানতে চেয়ে বলেন, দেশ কোথায়, গোপালী? গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জের নামই থাকবে না। যাঁরা এসব করছেন, আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে। বেগম জিয়ার এই ধরণের বক্তব্য নুতন নয়, বিএনপির আদর্শ যেহেতু ধর্ম ভিত্তিক তাই তারা প্রতিনিয়ত ধর্মীয় আকিদা বিকৃত করে, ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতির মাঠ গরম করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বেগম জিয়া বললেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে দেশের সকল মসজিদ এ উলু ধ্বনি শুনা যাবে। দেশের মানুষ তার মিথ্যা কথা শুনেনি, বিপুল ভোটে ক্ষমতায় এসেছে বর্তমান সরকার। আমাদের সংবিধানে চার মূলনীতির একটি হচ্ছে ধর্ম ‘নিরপেক্ষতা’। বিএনপি তা মানে না, বিশ্বাস করে না। তাই প্রতিনিয়ত তারা ধর্মীয় উস্কানি মূলক বক্তব্য দিয়ে সংবিধান লংঘন করছেন। বাংলাদেশে সংবিধান বিরোধী রাজনীতির কোন সুযোগ নেই। কেউ করলে তাকে আইনের আওতায় আনার ব্যাবস্থা রয়েছে এবং জনগণও চাচ্ছে খালেদা জিয়াকেও সেই আইনের আওতায় আনা হোক।
©somewhere in net ltd.