![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মৈত্রী এক্সপ্রেস থেকে ৪ কোটি টাকা লাভের নজির গড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দিনের পর দিন লোকসান গুনতে থাকা রেলে এমন অভাবনীয় মুনাফার ঘটনায় মৈত্রীর ট্রিপ সংখ্যাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এখন সপ্তাহে দু'টি ট্রেন চলছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে। মৈত্রীর তৃতীয় ট্রেনটি কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে ডিসেম্বর মাসের কোন এক রোববার ঢাকায় আসবে। আর ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে পরদিন সোমবার। এখন ৬টি বগি নিয়ে মৈত্রী চলে। তৃতীয় মৈত্রীতে ৭টি বগি দেওয়া হবে। বাংলাদেশের বর্তমান ৬ বগিতে ২১০ জন যাত্রী বহন করা যায়। তবে ভারতীয় বগি বড়সড় হওয়ায় ২৮৬ জন যাত্রী বহন করা হয়। এবার মৈত্রীতে সপ্তাহে আরও একটি ট্রেন যুক্ত হলে বাংলাদেশের বার্ষিক আয় দু'কোটি বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে ছয় কোটি টাকায়। মৈত্রীর আয়ের ৭৫ শতাংশ পায় বাংলাদেশ আর ২৫ শতাংশ আয় ভারতের। কেননা রেলপথের দূরত্বের এক তৃতীয়াংশ পড়েছে বাংলাদেশে। এজন্য আয়ের চুক্তিটাও হয়েছে পথের দূরত্ব হিসাব করেই। ঢাকা-কলকাতা রেলপথের দূরত্ব ৩৭৫ কিলোমিটার। এখন ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে বুধবার ও শনিবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে মৈত্রী ছেড়ে যায়। কলকাতার চিৎপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে মৈত্রী ছাড়ে মঙ্গলবার ও শনিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। কিন্তু সামপ্রতিক মাসগুলোতে মৈত্রী এক্সপ্রেসে যাত্রীচাপ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহে ৬ দিন ট্রিপ চালুর দাবি ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের কর্তৃপক্ষ মৈত্রীরেল বাড়ানো নিয়ে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন। ঢাকা ও নয়াদিল্লিতে মৈত্রী এক্সপ্রেসের বাড়তি ট্রেন চলাচল নিয়ে চলতি মাসের শেষার্ধে আরেক দফা আলোচনা হবে নয়াদিল্লিতে। এ বৈঠকে মিলবে উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র। ব্রিটিশ শাসনামলে খুলনা ও কলকাতার মধ্যে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল চালু করা হয়। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় এ ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উভয় দেশের একটি করে ট্রেনও আটকা পড়ে যায় যশোর এবং কলকাতায়। আগে যেমন খুলনা ও কলকাতার মধ্যে রেল চালুর সময় চলন্ত ট্রেনের কামরার মধ্যেই যাত্রীদের পাসপোর্ট-ভিসা পরীক্ষা করা হতো। বাংলাদেশ এবার প্রস্তাবিত মৈত্রী ট্রেনে চলন্ত অবস্থায় কামরার মধ্যেই কাস্টমস-ইমিগ্রেশন সেরে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪১
তারা চাঁন বলেছেন: অভ্যন্তরীণ রুটে ট্রেনের ভাড়া দ্বিগুণ কোন কোন ক্ষেত্রে তারও বেশি বাড়ানোর পরেও যেখানে এখনও লাভের মুখ দেখছেনা সেখানে মাত্র ৭৫ শতাংশের আয়ে ৪ কোটি টাকা লাভ, ব্যাপারটা ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতই মনে হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর সবচাইতে দুর্ণীতিবাজ অদক্ষ অকর্মন্য বাংলাদেশি আমলাদের কারণে এই ট্রেনে যাত্রীদের দুবার লাগেজ নামাতে হয় উঠাতে হয়, কষ্ট হয়।