নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলোর নয়া ভণ্ডামি

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার নেপথ্য নায়কদের অন্যতম হিসেবে বার বার বিভিন্ন পর্যায়ে নাম উঠে আসলেও দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্বরোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম হোতা বলে চিহ্নিত জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিনকে যে র্যা ব খুঁজছে, তা তাকে আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও একই পত্রিকার সাংবাদিক টিপু সুলতান। তাজউদ্দিনকে তাঁরা ওই তথ্য জানান দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, বিএনপিকে সহায়তা করার জন্য তাজউদ্দিনকে দিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক দল করার ব্যাপারেও মতিউর রহমান তার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা তাজউদ্দিনের সঙ্গে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের এই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর(জঙ্গি নেতা তাজউদ্দিনের বড় ভাই) জবানবন্দি থেকে। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে পিন্টু আরো বলেছেন, “মতিউর রহমান ও সাংবাদিক টিপুর সঙ্গে তাঁর ও তাঁর ভাই তাজউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাঁরা প্রায়ই মতিউর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতেন।”আব্দুস সালাম পিন্টুর জবানবন্দি থেকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নেপথ্যের আরো অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই জবানবন্দি ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, র্যা বসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের খোঁজার সময় তাজউদ্দিনকে প্রথম আলোর মতিউর রহমান ও টিপ সুলতান সতর্ক করে দেওয়ার পর প্রভাবশালী একটি মহল তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। বিদেশে যাওয়ার আগে মতিউর রহমানের সঙ্গে তাজউদ্দিন একাধিকবার বৈঠক করেছে। ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এসব বৈঠকে মধ্যস্থতা করেন টিপু সুলতান। তদন্তসংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরো মনে করেন, ২১ আগস্টের মাধ্যমে তাজউদ্দিন-হান্নানদের দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করা হয়। কারণ শেখ হাসিনাকে মৌলবাদীরা তাদের চলার পথে একমাত্র হুমকি মনে করেছিল। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অপর গোষ্ঠীটির টার্গেট ছিল শেখ হাসিনা ও গণতন্ত্র। ফলে উদ্দেশ্যে ভিন্নতা থাকলেও দুই পক্ষেরই টার্গেট ছিল এক। প্রথম আলো পত্রিকা ও এর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পেছনে হাত থাকার অভিযোগও আছে বিভিন্ন মহলের। জরুরি অবস্থা জারির পর দেশের শীর্ষ দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরানোর চেষ্টাও করেছিলেন তিনি।

গোয়েন্দা পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে আব্দুস সালাম পিন্টু আরো বলেন, ‘আমার ভাইকে যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়ে র্যা ব খুঁজছে, তা আমাকে প্রথমে মতিউর রহমান সাহেবের বরাত দিয়ে সাংবাদিক টিপুই জানায়। সে বলে যে, তারা তাজউদ্দিনকে সতর্ক করেছে। আমিও যেন তাকে সাবধানে থাকতে বলি।’ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও সামরিক বিষয়ক উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ হাজির করার পরও কোনো এক অজানা শক্তিবলে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, সংবাদপত্রের সম্পাদক হওয়ার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে মতিউর রহমান তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত র্যাকপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যা ব) বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সেটি বিলুপ্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, তার জঙ্গি সম্পৃক্ততা এবং এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে র্যা বের সফল অভিযানই তাকে র্যাংববিরোধী করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর র্যাষবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে দেশে জঙ্গি তৎপরতা নেই বললেই চলে। আর সেটাই হয়তো এই সম্পাদকের মনঃপুত নয়, এমনটাই মন্তব্য অনেকের। উল্লেখ্য, বিগত জোট সরকারের আমলেই এ হামলার তদন্ত শুরু হয়। ঘটনার পরপরই জোট সরকার তার তদন্তের মধ্য দিয়ে জজমিয়া নামের একটি চরিত্র দ্বার করিয়ে তার স্বীকারোক্তি আদায় করে। যাতে ওই হামলার জন্য আওয়ামী লীগ কর্মীদেরই দায়ী করা হয়। তবে এ বক্তব্য ভুল প্রমাণিত হয় ওই হামলার মূলনায়ক মুফতি হান্নানের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে। তবে ইন্ধনদাতাদের নাম থেকে যায় আবারো আড়ালে। তদন্তে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করা সম্ভব হচ্ছে কী না তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী ওই সম্পাদকদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তা হলো, এক. তার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। দুই. তার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তিন. তিনি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে র্যা়বকে বিলুপ্ত করার চক্রান্তকারী। এসব অভিযোগগুলো অবশ্যই গুরুতর। ২১ আগস্ট হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায় যার বিরুদ্ধে তিনি কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন। দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চক্রান্তে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহের পর্যায়ে পড়ে। আর জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে তাঁকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সোপর্দ করা যায়। তাহলে কেন আইনের হাতে ওই সম্পাদককে সোপর্দ করা হচ্ছে না। একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদক বলেই কি তিনি আইনের উর্ধ্বে উঠে গেলেন? এ প্রশ্ন এখন অনেকের। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির নানা বাঁকে ওই সম্পাদক ও তার সম্পাদিত পত্রিকাটির অবস্থান ছিল অস্বচ্ছ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ তত্ত্ব দিয়ে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতারোহণে উৎসাহ জুগিয়েছেন তিনি ও তার পত্রিকা। ২০০৭ সালের ১৫ জানুয়ারি এটিএন বাংলার ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েদেশে জরুরি অবস্থার পক্ষে তিনি সাফাই গান, সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি ভূমিকা রাখার উসকানি দেন। এমনকি বিদেশি রাষ্ট্র, বিশেষ করে দাতা দেশগুলোর ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পত্রিকাটির ভূমিকা ছিল কোনো এক ষড়যন্ত্রকারী নেপথ্যশক্তির তল্পিবাহক হিসেবে। ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই ‘ সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই’ এই শিরোনামে তিনি এক মন্তব্য প্রতিবেদনে লেখেন, ‘দেশের সব পরিবর্তনের পেছনে একটি বিষয় লক্ষণীয়, তা হলো সশস্ত্র বাহিনীর সমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উদ্যোগই এখন পর্যন্ত প্রধান। এসব পরিবর্তনের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি বা নাগরিক সমাজের ভূমিক বড় নয়।’ এ প্রতিবেদনে তার সব মন্তব্য প্রতিবেদনরই সারবস্তু ছিল অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক শক্তিকে উসকে দেওয়া। বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে তত্ত্ব প্রথম প্রকাশ করেন এই সম্পাদক। ২০০৮ সালর ১০ মে ‘নির্বাচন চাই’, ১১ জানুয়ারিতে আগের অবস্থায় ফিরতে চাই না’ শিরোনামে এক মন্তব্য প্রতিবেদনে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াস চালান। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওই পত্রিকার রম্য ম্যাগাজিন-এ হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেন। এক পর্যায়ে পত্রিকাটি এই কার্টুন প্রকাশের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ও ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ ফোরামের পক্ষ থেকে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানানো হয় পরিবর্তন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানানো হয় সর্বশেষ ওয়ান ইলেভেনের পর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য ভুল স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন ওই সম্পাদক। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সংবাদপত্র মালিক সমিতির (নোয়াব) নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ওই সম্পাদক বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেন-পরবর্তী আমাদের কিছূ কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এজন্য আমরা দুঃখিত। পরবির্তিত পরিস্থিতিতে এটা করা ছাড়া তখন আমাদের উপায় ছিল না। তবে ওই ভূমিকা ভুল ছিল।’প্রথম আলো বাংলাদেশের পত্রিকা পাঠকের ওপর একটা বিশাল ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হয়। বদলে যাও, বদলে দাও শ্লোগানে মুখর এই পত্রিকা-কর্পোরেট একাত্তরের চেতনা ধূলিস্যাৎ করে দেয়ার জন্য গোচর অগোচরে ভূমিকা রাখছে। মোবাইল কর্পোরেট গোষ্ঠী ও নিওলিব্যারেল এনজিও ব্যবসায়ীদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকা প্রথম আলো জনমতকে বিকশিত না করে সেটাকে রুদ্ধ করে রাখার জন্য স্তম্ভ লেখকদের ভাড়া খাটায়। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান যেকোনো মূল্যে তাঁর পত্রিকার কাটতি বাড়াতে উন্মুখ। গুজব আছে, যুদ্ধাপরাধী রক্ষাকরণ লবিং গোষ্ঠীর কাছ থেকে আসা মোটা দাগের ফাইনান্স প্রথম আলোকে এই গোষ্ঠীর পক্ষে নানামুখী ভূমিকা পালন করতে এক অর্থে জোর খাটায়। রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতি প্রথম আলো আলোকিতভাবে মুগ্ধ।প্রথম আলো ব্যবসায়ে টিকে আছে টাইমিং-এর যথাযথ ব্যবহারে।প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বাণিজ্যে ক্ষতি একেবারেই মেনে নিতে পারেন না তাই তিনি টাইমিং-এর যথাযথ ব্যবহার করেন গত ১৪ই নভেম্বর দেখা গেল প্রথম আলো তার সেই চির চেনা রূপে আবার ফেরত এসেছে সেনা বাহিনীর পিছনে লেগে তিনি তার পত্রিকার প্রথম পাতাতে ছেপেছেন “সেনা স্থাপনার জন্য জমি অধিগ্রহণ না করার দাবি” নামের একটি সংবাদ যার প্রধান আলোচক হচ্ছেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), নিজেরা করি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যৌথভাবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে প্রধান কয়েকজন আলোচক কিন্তু ধোয়া তুলশী পাতা নন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল যার প্রধান কাজ এ হচ্ছে সেনাবাহিনীর পিছনে লাগা কারন সেনাবাহিনী বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌমত্ত রাখার জন্য দিবা রাত্রি কাজ করে যাচ্ছে। ইহুদী, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও হিন্দু মুশরিকদের মদদপুষ্ট বিশাল গ্যাং এর অন্যতম সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে ‘সুলতানা কামাল চক্রবর্তী’।সুলতানা কামাল চক্রবর্তী সম্পর্কে বেশি কিছু বলার দরকার নেই। ছোট বেলাতে মাদরাসা-মক্তবের বদলে মা-বাবা তাকে লীলা নাগের মন্দিরে পড়ালেখার জন্য পাঠায়। আর তাতেই ছোট বেলা থেকে হিন্দুদের প্রতি মারাত্মক আসক্ত হয়ে পড়ে উক্ত মহিলা, যার প্রতিফলনও পরবর্তী জীবনে স্পষ্ট। ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের অতি ঘনিষ্ঠ গোঁড়া হিন্দু রঞ্জন চক্রবর্তীকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করে সে। পাশাপাশি এই মহিলা গলায় মুক্তিযোদ্ধার লেভেল এঁটে গলাবাজি করে গেলেও ’৭১-এ তার যুদ্ধ সম্পৃক্ততার কোনো ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না। তো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা সেনাবাহিনীর পিছনে উনি লাগবেন এটাই স্বাভাবিক। আর একজন হচ্ছেন বেলার সম্মানিত প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বাবা যুদ্ধাপরাধী আত্মগোপনে থাকা প্রয়াত সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাজাকার সৈয়দ মহিবুল হাসান। কন্যা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশবাদী হয়েও বাবার '৭১-এর অন্ধকার জীবনের ছায়ায় হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণের ইতিহাস আড়াল করেই ঢাকায় ওঠাবসা করেন সুশীলদের সঙ্গে। ওপরতলার মানুষের সঙ্গেই চলেন-ফেরেন। টিভি টকশোয় বড় বড় কথা বলেন পরিবেশ রক্ষার নামে। সেমিনার, গোলটেবিলে আকর্ষণীয় এই বেলার সুন্দরী নেত্রী মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন। বলেন না শুধু হবিগঞ্জের চুনারুঘাট-বাহুবলের কুখ্যাত রাজাকার তার বাবা সৈয়দ মহিবুল হাসানের কলঙ্কিত জীবনের কথা। একাত্তরে নিজ এলাকার ত্রাস, পরিবেশ দূষণকারী মহিবুল হাসান পাক হানাদার বাহিনীর দোসর হওয়ায় স্বাধীনতার পর আত্মগোপনে চলে যান। যুদ্ধাপরাধের মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। '৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে তিনি বের হন। সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিএনপির এমপি-মন্ত্রী হন। ১৯৮৬ সালে এরশাদের জাপায় যোগ দিয়ে আবার '৯০-এর পতনে আত্মগোপনে চলে যান। ভাতিজা সৈয়দ লিয়াকত হাসান এখন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি। আর সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এলাকায় মাঝেমধ্যে গোপনে যাওয়া-আসা করেন। ঢাকায় প্রথম আলো সিন্ডিকেট থেকে তার যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালান।সবচেয়ে মজের ব্যাপার হচ্ছে এই সম্মানিয়া মহিলার প্রানপ্রিয় স্বামী যখন নিরুদ্দেশ হন তখন এই সেনাবাহিনীর লোকজনরাই তাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেন কিন্তু কথায় বলে “The purity of our origins always comes out, and the blood never betrays” জামাইকে ফিরে পেয়েই উনিও লাগলেন সেনাবাহিনীর পিছনে। আসলে প্রথম আলো গঙেরা সব পারে মিথ্যাকে সত্য আর সত্যকে মিথ্যা ভালত ভাল না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.