![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নের পদ্মা এখন আর শুধু স্বপ্ন নয় দিনের আলোর মত দৃশ্যমান। সেতু নির্মাণে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলছে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে পদ্মার দুই পাড়ের সংযোগ সড়কসহ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ৩৩ শতাংশের ও বেশি শেষ হয়েছে। এখন মূল সেতুর নির্মাণে পাইলিং-এর কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজ সম্পন্নের এক বছরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। ধীরে ধীরে পদ্মায় ভেসে উঠছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মাসেতু। মাওয়া জাজিরা অংশে মোট ৫ টি পিলারের পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। মাওয়া অংশে ৬ ও ৭ নম্বর পিলার ও জাজিরা ৩৬, ৩৭ ও ৩৯ নম্বর পিলারের কাজ চলছে। মোট পিলার হবে ৪২টি। এর মধ্যে শুরু ও শেষে ১২টি পিলারের ওপর পাইলিংয়ের কাজ হবে। বাকিগুলোর পাইলিং হবে ৬টি করে পিলারের ওপর। পদ্মাসেতু নির্মাণে মোট বরাদ্দ ২৮ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে মূল ব্রিজের কাজ ২১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নদী শাসনের কাজ ১৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। গাড়ি ও রেল চলাচলের জন্য পদ্মাসেতুতে দুটি স্তর থাকবে। উপরের স্তর দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে, এটি কনক্রিটে তৈরি হবে এবং নিচ দিয়ে রেল চলবে, এটির কাঠামো হবে স্টিলের। সেতুটির নির্মাণ সম্পন্ন হলে এটি হাইওয়ে ও রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে এবং রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ জেলার যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এ সেতু দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ জেলার প্রায় ছয় কোটি লোকের জীবন ও জীবিকায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে। ফলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বেড়ে যাবে প্রায় ১ দশমিক ২৩ ভাগ। একইসঙ্গে পদ্মার ওপারে জেলাগুলোর পরিস্থিতিই পাল্টে যাবে।
©somewhere in net ltd.