নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর ওসমানএকজন নিরাপদ ব্লগার ,তিনি লাশের সাথে বসবাস করছেন ।

ডক্টর ওসমান

ডক্টর ওসমান, পি. এইচ. ডি. ইন মানবতা এন্ড শান্তি ফ্রম ইউনিভার্সিতা দি ধাক্কা। বিনম্র এক অপদার্থ।গুড ফর নাথিং ।

ডক্টর ওসমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যদি মনের পশুত্বই কুরবানী দেয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানী দেয়া হতো তবে সবচেয়ে হিংস্র প্রাণীটিকেই কুরবানীর আদেশ আসতো আল্লাহর পক্ষ থেকে

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

ছোট্ট জ্ঞানে যতটুকু জানি কুরবানী বলতে পড়াশুনা করে বুঝেছি : আনুগত্য/আত্মসমর্পণ/আত্মত্যাগ/উৎসর্গীকরণ এই মূল বিষয়গুলো। কিন্তু ( মনের বা আত্মার )পশুত্বের কুরবানী হয় এমন কোনো থিম তো চোখে পড়লোনা। যদি মনের পশুত্বই কুরবানী দেয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানী দেয়া হতো তবে সবচেয়ে হিংস্র প্রাণীটিকেই কুরবানীর আদেশ আসতো আল্লাহর পক্ষ থেকে , সবচেয়ে সুন্দর রিষ্টপুষ্ট আদুরে নিরীহ গৃহপালিত গরু/ছাগলটাই কুরবানীর নির্দেশ আসতোনা।
খেয়াল করুন , ইসলামে কুরবানির মূল উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য হলে আপনার প্রিয় বস্তু আল্লাহ্ কে খুশি করার জন্য কুরবানি দেওয়া। যেটা শিক্ষা দিয়েছেন নবী ইব্রাহীম আঃ এর প্রিয় বস্তু প্রিয় সন্তান কুরবানির মাধ্যমে, সেখানে আল্লাহ্ খুশি হয়ে জান্নাতী দুম্ভা কুরবানি হয়েছিল, ঈসমাইল আঃ এর পরিবর্তে।
প্রিয় বস্তু হলো যার প্রতি আপনার মায়া আছে, যাকে ছাড়া আপনার জীবন অচল, এমন বস্তু সবার ই ত্যাগ করতে কষ্ট হয়। প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্ কে খুশি করার জন্যই প্রিয় বস্তু ত্যাগ করে কুরবানি দিতে হয়। আর এটাই কুরবানির তাৎপর্য ও মাহত্ব্য। অপরদিকে....
খেয়াল করুন, ওরা বলছে মনের পশু কুরবানি দিতে, আপনার প্রিয় বস্তু নয়!
মনের পশু কি? আপনার ভিতর যত খারাপি আছে, কুরবানির পশুর মাধ্যমে মনের পশু কুরবানি দেওয়া। তাহলে কি আল্লাহর কাছে আপনার মনের পশু প্রিয় (নাউজুবিল্লাহ্)। আর এভাবেই আপনার একটি ইবাদত নেক সুরুতে ধোঁকা দিয়ে নষ্ট করছে।
এজন্য ওলামায়ে কেরামগন বলেন, কুরবানির পশু আগে আগে কিনা, তাকে নিজের সন্তানের মত করে পালা, যাতে কুরবানির সময় কষ্ট লাগে।
আর এই কষ্ট এই ত্যাগ ই আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা দেখেন।
তাই যারা বিভ্রান্ত হয়েছেন এখনি বিভ্রান্তি দূর করে খাঁটি নিয়ত করে ফেলুন।
মনের পশু নয় প্রিয় পশুই কুরবানি দিবো। ইনশা-আল্লাহ

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ভাই ঠিক বলছেন। মুসলিমদের সব কিছুই উনাদের খারাপ লাগে। যেন আমরা উনাদের খাবার কেড়ে নিয়েছি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১

ডক্টর ওসমান বলেছেন: মোহেবুল্লাহ অয়ন ভাই ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্যে

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভুল অনুভব জনাব।

আপনার প্রিয় বস্তু আপনার বাড়ী, গাড়ী, সোনার গহনা!
আপনার প্রিয় বস্তু আপনার লোভ, খ্যাতির মোহ, সামাজিক প্রতিপত্তি! পারবেন সে গুলো কোরবান করতে! সহজ সরল সত্যবাদীতায় এক নির্মেোহ জীবন যাপন করতে?

কোরবানীতো মুসলিমের প্রতি হুকুম। আপনি কি মুসলিম?
তবে কিভাবে আপনি ফাইল আটকে কোরবানীর খরচ উঠান?
দূর্নীতি ঘুষ আর অবৈধ মুজদদারীর পয়সায় লাখো টাকার পশু হত্যায় কি আল্লাহর হুকুম প্রতিপালিত হয়?
আর যারা আর্লাহর সত্য পথে চলে তাদের অবস্থাতো নুন আনতে পান্তা ফুরোয়!
কি দারুন ভাইস বার্সা নয়?

সূরা মাউনের চিরুনী চালিয়ে আমাকে কি অল্প কয়জন মুসলিম দেখাতে পারবেন?
যাদের সালাত আল্লাহর হুকুম মতো হয়!!!

লেবাসে যেমন আত্মার পরিচয় হয়না তেমনি লোক দেখানো আচারে ধর্ম খুঁজে পাওয়া যায় না!

সত্যের গভীরে আসুন। হয়তো পরিত্রানের আশা করতেও্ পারেন। নচেত কেবলই স্বপ্নকল্পদ্রুম!!!!!!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

ডক্টর ওসমান বলেছেন: অতো গভীরে যেতে পারিনি , ছোট্ট করে একটু আরেকবার বলবেন কি যে তাহলে মনের পশুত্বই সঠিক ? জানতে চাচ্ছি , টক্কর দিচ্ছিনা না জনাব।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি ইব্রাহিম আ: এর সাথে তুলনায় যাওয়াইতো বোকামে!
উনি উনার জীবনের আল্লাহর জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ধৈর্য, বিনয়, সততা, সকল পরীক্ষায় উতরে নবুয়তের ভার বহন করে অলরেডি প্রতিষ্টিত।

তারপরও আল্লাহর প্রেমময়তায় আত্মত্যাগের পরীক্ষা করলেন।

আমরা আমজনতা তো সাধারন মুসলমানিত্বের পরীক্ষায়তেই ফেল! সেই মুসলমানিত্ব অর্জনের প্রথম ধাপই হল মনের পশুত্ব কোরবান করা। সকল ইন্দ্রিয়, রিপুকে দমন করা। আর।লাহর কাছে আত্ম সমপর্ন কারীইতো মুসলিম!
আমি মুসলিম হবার সকল শর্তকে লঙ্ঘন করে
প্রবেশিকা উত্তীর্ন না হয়ে মার্ষ্টাসের পরীক্ষার মাহাত্ব নিয়ে লাফাচ্ছি! কেমন নয়?

ধারাবাহিক ভাবেই ভাবুন-
ইসলামে দাখির হবার, ধাপগুলো-
ঈমাণ ( কলেমা)
সালাত,
সাওম
যাকাত
হাজ্ব

বিশ্বাসের মাপকাঠিতে উর্ত্তীন হয়ে বাক্য পাঠ করলেন! সেই বাক্যানুপাতে সালাত প্রতিষ্ঠার সাধনা! বাকী গুলো বাদই থাক!
আমাদের বিশ্বাসই যদি প্রকৃত হতো- আমরা মিথ্যে বলতে পারতাম না!
মিথ্যে যেহেতু সকল পাপরে জননী- বাকী সব আপনাতেই কমে যেত।
সত্য, সত্য, আর সরল পথে চলতে পারতাম!

কিন্তু বাস্তবে এগুলো পাচ্ছেন কি?

দূরের কথা বাদ দিন- ইসলামের আইকন মসজিদ গুলোর দিকে তাকান। কমিটি গুলোর দিকে তাকান! ইমামদের দিকে তাকান!

নাম বলবো না গীবত হবে, ঘটনা বর্ণ
নায় এক ইমামকে সত্য ‍তুলে ধরে যখন বল্লাম আপনিতো আল্লাহকে ভয় করেন না, করেন কমিটির সভাপতিকে!
তার সুদরে ঘুষের, দূর্নীতির বরিুদ্ধে বলার সাহসতো নাইই- উল্টো সেই সব দানেই গড়ে তুলছেন মসজিদের সকল উপকরণ!
এসি লাগাচ্ছেন!!! নামাজের পবিত্রতার শর্তে নামাজের স্তানকেইতো নাপাক করে রেখেছেন! নামাজ হবে কি করে???
মূখটা কালো করে চলে গেছেন!

বাস্তবতা তেতো হলেও সত্য। আর সত্য খুব নিমর্ম শোনায়!

একন আপনি বলুনতো- ইব্রাহিম আ: এর সুন্নত অনুসরনের আগে কি আমাকে উনার যোগ্য উত্তরসূরীর নূন্যতম মার্কস পেয়ে পাশ করতে হবে কিনা? নাকি অন্ধ অনুকরণে যেখানে ভোগ এবং স্বার্থ সম্মান, ভাব জড়িত সেগুলোই অনুকরণ করে য়াব- অনুভব হীন????

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

কানিজ রিনা বলেছেন: উৎকৃষ্ট মানুষের কুরবান নিকৃষ্টদের কুরবান,
শুধু তিনিই দেখেন। তাইত পূর্ব নির্ধারিত
বেহেস্ত দোজক। শুধু একটু ভাবুন সাত দোজখ
আট বেহেস্ত। হিন্দুরা বলে স্বর্গ নরক। অর্ধেকের
বেশী সংখ্যক মানুষ বেহেস্ত পাবে। কেউ সুদ
ঘুস খেয়ে দুর্নীতি করে অনেক টাকা দিয়ে
বড় গরু উট কিনে কুরবানী করে, আবার
সত্যিকারের সত মানুষ একটা ছাগল কিনে
কুরবানী করে। আসলে পৃথিবীতে আসা হোল
পরিক্ষায় উত্তির্ন হওয়া।
সৎলোক অসৎ লোক তাইত স্বর্গ নরক।
একজন অসৎ নামাজী থেকে একজন সৎলোক
উত্তম তবুও নামাজ মুসলমানদের ফরজ
ইবাদত। একজন অসৎ লোক এসিতে
বসে নামাজ পড়ে। একজন সৎ কৃষক মাঠে
চাষ করতে করতে মাঠেই নামাজ আদাই
করেন। সবই আল্লাহ্ মালুম। তবুও আপনার
লেখা ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.