নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক অভিশপ্ত গল্পের খলনায়ক

চোখের দেখায় দেখছ যাকেহয়তো কোন মরীচিকা, আঁধার পথেখুঁজছ যাকে হয়তোকোন বিভীষিকা। তাই বারণ করি বারে বারে এসো না এই অন্ধকারে হৃদয় যে মোর কৃষ্ণগহ্বর হারিয়ে যাবে চিরতরে...........

অন্ধকার রাজপুত্র

আসসালামুয়ালাইকুম সবাইকে।অন্ধকার জগতের এক ছদ্মবেশী রাজপুত্র আমি। অন্ধকার আমি খুব ভালোবাসি। মূলত আমি গল্প লিখতে বেশি পছন্দ করি তাই এই ব্লগে গল্প লেখাটাকেই বেশি প্রাধান্য দেব। অন্যদিকে আমি খুব রসিক টাইপের মানুষ আর আমার সম্পর্কে ভালভাবে জানতে চাইলে ফেসবুকে আমার সাথে যোগ দিতে পারেন। www.facebook.com/roxterjojo

অন্ধকার রাজপুত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোস্ত,পেরেছিস কি ক্ষমা করতে ?

১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭



ইউ মাই পামকিন পামকিন হ্যালো হানি বানি হানি বানি............... (রিংটোন)

- হ্যালোওওওওও ( ঘুমের ঘোর)

- কিরে শালা কই তুই ?

- দোস্তওওও ঘুমাইতেসি রে

- হারামির ঘরের হারামি, তুই আমারে টাইগার পাসে দাড় করাই নাক ডাইকা ঘুমাইতেসস। কাইলকা রাতে কইটা বাজে আসতে বলসিলি খবর আছে?

- হ্যাঁ, ১০ টার দিকে বলসিলাম আর কি।এখন তো সবে ৯ টা বাজে।

- শালার শালা ভালো কইরা দেখ। চোখে বাটন লাগাই ঘুমাইলি নাকি। ব্যাটা, ডেটিং করবি তুই আর রোদে দাড়া করাই রাখলি আমি বন্ধুটারে। এই না হলে বন্ধুত্ব! হ্যাঁহ ! তোর বন্ধুত্বের গুষ্টি কিলাই!

- দোস্ত , রাগ করিস কেনু রে ? আর একটু ঘুমাব দোস্ত আর এএএকটু।

- তুই থাক তোর ঘুম নিয়া, আমি গেলাম তোর ডেটিং হ্যান্ডেল করতে। কাল রাতে চ্যাট এ অলরেডি অনেকক্ষণ টাংকি মারসি আর আজকে পারলে নাম্বারটাও নিয়া নিব।

- ওই , ওই ,ওই এইগুলান কি বলস? (বিছানা থেকে হঠাত লাফ দিয়ে উঠে) বন্ধু হইয়া এইরাম একটা দুশমনি করবি তুই? লাইফের প্রথম গার্লফ্রেন্ড আর তাও সবে সম্পর্কটা শুরু হইল আর তুই কিনা ...... আইচ্ছা দোস্ত শোন , আসল কথা হইল যে তুই আমার সবচেয়ে ক্লুজ ফ্রেন্ড সো এমন কিছু করিস না ক্যামন? আমার ভাত মারিস নারে দোস্ত তুই খাড়া আমি ইউ ইউ আসি যাচ্ছি।

- হেহ! হেহ! এবার খবর হইসে , শালা আয় তাড়াতাড়ি।



ডেটিং শেষে রিফাত মাঠে ফিরে আসতেই দেখে শাফকাত মাঠের গেইটের মুখে দাড়িয়ে আছে।একখানা শয়তানি ভঙ্গিতে মুচকি হাসি দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।রিফাত তার সদ্য গার্লফ্রেন্ড স্নিগ্ধা থেকে জানতে পেরেছিল আগের রাতে কোন চ্যাট হয় নি।ওটা শাফকাতেরই চালাকি ছিল রিফাতকে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে তুলে দেয়ার জন্য।রিফাত এসে শাফকাতকে গুতা দিয়ে বলে উঠল “শোন ! সামনে থেকে স্নিগ্ধাকে ভাবির চোখে দেখবি আর ......”। “আর কি চ্যাট না করতাম এই তো? আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারস দোস্ত”,এটা বলে শাফকাত পিছন ফিরে হাঁটা শুরু করল।আরে না দোস্ত আমি ঐরকম কিছু বুঝাই নি,রিফাত বলল।রিফাতের কথায় শাফকাত ওর চোখের আড়ালে মিটিমিটি করে হেসে চলছে।বেচারা রিফাত শাফকাতকে অনেক দেখতে পারে। ওরা দুজন ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো বন্ধু।শাফকাতের বয়স যখন ৯ তখন ওর মা মারা যান,আর তারপর থেকেই রিফাত ওর সাথে বেশি সময় কাটাত। পরে অবশ্য বাবা ২য় বিয়ে করে কিন্তু সৎ মা আর কদ্দুর ই বা দেখতে পারে। বাবার উপর কিছুটা রাগ ছিল তবে এ নিয়ে শাফকাতের চেহারায় দুঃখের কোন ছাপ রিফাত কখনো দেখেনি, শুধু একটা মলিন হাসিকে ঠোঁটের কোণে সবসময় আগলে রাখত সে।এমনকি রিফাত ওকে বকাঝকা করলেও ওই শুষ্ক হাসিটা দিয়ে ব্যাপারটা উড়িয়ে দিত। শাফকাত ছিল ভবঘুরে স্বভাবের আর পথে ঘাঁটে খাবার খাওয়া কিন্তু রিফাতের এটা পছন্দ হত না তাই সে শাফকাতকে প্রতিদিন বাসায় নিয়ে গিয়ে মায়ের হাতের রান্না খাওয়াতো।



অন্যদিকে রিফাত ছিল অনেক আবেগি স্বভাবের , কিন্তু উপরে একটু ভাব নিয়ে চলত আর মেয়ে পটানোতে খুব পারদর্শী ছিল।তাইতো সবাইকে দেখানোর জন্য কোচিং এর সবচেয়ে সুন্দরী আর ব্রিলিয়ান্ট মেয়ে সাবরিনার সাথে চুটিয়ে বন্ধুত্ব করেছে।অন্যরা একটু হিংসা দেখালেও শাফকাতের থেকে কোন সাড়া পাওয়া যেত না তাই রিফাত বার বার সাবরিনা আর ওর মধ্যকার সম্পর্কের কথা জানিয়ে হিট লাগানোর চেষ্টা করতো। কিন্তু কোন লাভ নেই কারণ রিফাতের পরে শাফকাত বেশির ভাগ সময় স্নিগ্ধার ছোট বোন চাঁদনীর সাথেই কাটাত।তাছাড়া মাঝে মধ্যে খেয়াল করতো রিফাতের চোখের আড়ালে সাফকাত কার সাথে যেন মোবাইলে কথা বলত।তাই রিফাত এ ব্যাপারে অনেক সন্দেহে ছিল কিন্তু স্নিগ্ধাকে এ ব্যাপারে কিছু জানায় নি, স্নিগ্ধা একটু রাগী স্বভাবের তো তাই।



একদিন ক্লাস শেষে শাফকাত আর চাঁদনী ঘুরতে বের হল কিন্তু পথিমধ্যে বাঁধল বিপত্তি।রাস্তার ভবঘুরে ঘুষখোর পুলিশের হাতে তাদের নাছোড়বান্দা পরিস্থিতিতে পরতে হয়।ভাগ্য ভালো ছিল ঐ মুহুরতে তাদের পাশ দিয়ে কোচিং এর স্যার যাচ্ছিল। তাদেরকে এই অবস্থায় দেখে উনি ছাড়িয়ে নিলেন কিন্তু ওদের প্রতি একটা খারাপ সন্দেহ করে বসে।যার দরুন কথাটা ওদের অভিভাবক থেকে পুরো কোচিং এ খারাপভাবে ছড়িয়ে যায়।অনেক টানাপোড়নের পরে শেষ পর্যন্ত ওরা নিজেদেরকে নির্দোষ বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয় সবার কাছে।কিন্তু সব কিছুর পরও রিফাতের সন্দেহটা থেকেই গেল। এখনও শাফকাতকে লুকিয়ে লুকিয়ে মোবাইলে কথা বলতে দেখা যায়। তাহলে কি শাফকাত আমাকে মিথ্যা বলছে? শাফকাত কি চাঁদনীর সাথে ওর সম্পর্কের কথা আমার কাছ থেকে লুকাচ্ছে? কিন্তু ও এমনটা কেন করছে? আমার কাছে লুকানোর কি আছে? আমি তো ......... আমি তো ওর খুব কাছের বন্ধু, এমনটা চিন্তা করতে করতে রিফাত শাফকাতের বাসায় চলে যায়। উঠোনে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় শাফকাতের হাত ধরে টেনে ওকে মসজিদে নিয়ে এল।



রিফাতঃ বল তুই কি লুকাচ্ছিস আমার কাছ থেকে , এই মসজিদে দাড়িয়ে বল। তুই তো আমাকে তোর ভাই বলিস, কিন্তু আজ কি এমন দোষ করে ফেললাম আমি যে তুই আমার কাছ থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখছিস, লুকিয়ে রাখছিস নিজের আবেগকে। প্লিজ , দোস্ত বল, প্লীজ।তুই প্রতিদিন লুকিয়ে লুকিয়ে কার সাথে মোবাইলে কথা বলিস আমার আজ জানতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে,তুই না বললে দোস্ত এই ভাইটা প্রতিমুহূর্তে সন্দেহের আগুনে দগ্ধ হয়ে জ্বলতে থাকবে, প্লীজ বল না!!!

ঠোঁটের কোণায় সেই মলিন হাসিকে আগলে শাফকাত বলে উঠলো, “দোস্ত,যদি আমার বলার ক্ষমতা আর সাহস থাকতো তাহলে ঠিকই সবার আগে আমি তোকেই বলতাম। আমাকে মাফ করে দিস”। এই বলে শাফকাত সাথে সাথে ওখান থেকে বিদায় নিল।



শাফকাতের আচরণে দুঃখ পেয়ে গেল রিফাত,ভেবেছিল চাঁদনীর সাথে কথা বলবে কিন্তু ঐ চিন্তাও মাথা থেকে নামিয়ে নিল এখন।যার যার পার্সোনাল ব্যাপার তাকেই সামলানো উচিত এমনটা ভেবে আগামী মাসের ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষার দিকে মনোযোগী হল। হঠাৎ করে একদিন একটা কল এল রিফাতের কাছে।চাঁদনী। রিফাতকে এক্ষুনি চাঁদনীর বাসায় যেতে হবে। রিফাত ঘটনা বুঝে উঠতে না পেরে চাঁদনীর বাসায় চলে এল। এসেই দেখে ঘর ভর্তি মানুষ । ভেতর থেকে একটা লোক অভদ্রের মত কথাবার্তা বলতে বলতে রিফাতের সামনে এসে দাঁড়ালো।

--- ঐ ছেমড়া, আমার ভাগ্নি কই?

--- আপনার ভাগ্নি মানে? আপনার কথা বুঝলাম না?কি বলতে চান আপনি?কার কথা বলছেন?

--- আরে আমি সাবরিনার কথা কইতাসি, আমি ওর মামা। তোর বন্ধু শাফকাত আজ সকালে আমার ভাগ্নিরে নিয়া পলাইসে।হারামজাদা তোরা ওরে কই লুকাইসস বল?

--- মুখ সামলে কথা বলেন, এটা সোসাইটি এরিয়া, আপনার ভাগ্নি পালিয়ে গিয়েছে তাতে আমার কি দোষ?

--- দোষ আছে কুত্তার বাচ্চা!!! তুই হলি ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু, কেউরে কউক আর কউক তোরে কইব!!

পরে রিফাতের বাবাকে ডেকে আনা হল আর এভাবে কথা কাটাকাটি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে। অপমান , রাগ আর ক্ষোভের বসে রিফাতের বাবা ঐ মুহূর্তেই হার্ট-এটাক করে বসেন।সন্দেহের বসে স্নিগ্ধার সাথেও রিফাতের অনেক ঝগড়া হয়, চাঁদনীকেও অনেক কথা শুনতে হয় রিফাতের কাছ থেকে। ফলে সবার মধ্যকার সম্পর্ক ঐ দিন হঠাৎ ভেঙ্গে যায়।



অসুস্থ বাবার শরীরের পাশে বসে ঘটে যাওয়া দুঃস্বপ্নের আরেকবার রোমন্থন করছে রিফাত।এখন ধীরেধীরে ওর কাছে সব পরিষ্কার হতে লাগলো। এতদিন তাহলে সাবরিনার সাথেই শাফকাতের......।কিন্তু রিফাতকে ব্যাপারটা একবার জানালেও তো হত হঠাৎ করে পালিয়ে গিয়ে কি লাভটাই বা হল? মধ্যে সব সন্দেহের বোঝা রিফাতের ঘাড়ে এসে পড়লো,বাবা হার্ট-এটাক করল,স্নিগ্ধা আর চাঁদনীর সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে গেল, মানসম্মান সব মাটিতে মিশে গেল,থানায় ওরা দুই জনের নামেও জিডি হল। এতোগুলো টেনশন আওড়াচ্ছে হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল। রিসিভ করতেই অপাশ থেকে শাফকাতের গলা শুনতে পেল।

--- কেন? কেন এমনটা করলি? এখন খুশি হয়েছিস আমার এতবড় ক্ষতিটা করে? (রিফাত)

--- আমার জায়গায় হলে তুইও এমনটা করতি। (চাপাস্বর)

--- না, মোটেও না, এমনটা করার আগে আমি প্রথমেই আমার বাবা-মার কথা ভাবতাম, তোদের কথা ভাবতাম ,পরিণতিটা ভাবতাম! ( চিৎকার করে)

--- পারতিনা , তুই কখনই তা পারতিনা, তোর ওইটুকু সাহস হয়নি রে দোস্ত!

--- ঐ বেঈমানের মুখে দোস্ত শব্দ শোভা পায় না।শোন! তুই আর আমি আজ থেকে আলাদা। তুই থাক তোর পৃথিবী নিয়ে , আমার এলোমেলো হয়ে যাওয়া পৃথিবীকে আমি আমার মত করে আবার সাজিয়ে নিব। ভালো থাকিস।



(৬ মাস পর) এখন পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক ,রিফাত ঢাকা চলে যাচ্ছে পড়ালেখার তাগিদে। বিদায় মুহূর্তে হঠাৎ শাফকাত এসে ওর সামনে দেখা দিলো।ঐ মুহূর্তে রিফাতের অভিমানটা প্রকাশ করার ক্ষমতা ছিল না তাই যাবার আগে ওর সাথে অনেকক্ষণ কথা হল। জানতে পারলো আসলে ঐ দিন কি হয়েছিল , কীভাবে সাবরিনা ওকে ব্লেকমেইল করেছিল আর কীভাবে শাফকাতকে ছেড়ে আবার বাসায় ফিরে এসেছিল। সবকিছু জানার পর রিফাতের রাগ অনেকটা কমল কিন্তু ক্ষতিতো হয়েই গেল, জাক গে ওসব কথা। বন্ধুকে বিদায় দিয়ে রিফাত নতুন আরেকটি শুরুর জন্য সামনে এগিয়ে গেল, চলে এল ঢাকায়।

(৩ মাস পর)ক্লাসে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মশগুল হঠাৎ কলেজ ফ্রেন্ড আহনাফ কল দিলো।

--- রিফাত, শাফকাত আর নেই রে দোস্ত!!

--- মানে!!!! কি ফাজলামো এগুলা? প্লীজ এই ধরণের কথা বলিস না।

--- আমি সত্যি বলছি।বিশ্বাস কর!শুনেছি লেকের পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিল কিন্তু পা পিছলে নাকি পানিতে পড়ার পর ওকে আর পাওয়া যায় নি। পরে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর ওর লাশ ভেসে উঠে।

সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীর যেন অবশ হয়ে যাওয়া শুরু করল,ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না শুরু করল রিফাত।লেখক ঠিক পাশেই বসে ছিল তাই ব্যাপারটা লক্ষ্য করে রিফাতকে ধরে ক্লাসের বাইরে নিয়ে যায়।লেখককে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর জন্য আর্তনাদ করল। দুর্ভাগ্যবশত ঐদিন হরতাল পড়ে গেলেও রিফাত জিদ করল ওইদিন রাতেই সে বাড়ি যাবে।তাই দেরি না করে লেখক রিফাতকে গভীর রাতের একটা নিরাপদ ট্রেনে তুলে দেয়।



লাশের পাশে দাড়িয়ে শাফকাতের মলিন চেহারাটুকু বার বার দেখছিল রিফাত।কলিজার টুকরাটাকে মাটি দেয়ার সময় বার বার হাত কাঁপছিল। মনের মাঝে তীব্র চিৎকার দিয়ে জানতে ইচ্ছে হচ্ছিল, দোস্ত ! তুই কি আমাকে মাফ করতে পেরেছিস! আমি তোকে ভুল বুঝে কত কিছুই না বলেছি তারপরও তুই ঐদিন শেষবারের মত আমাকে দেখতে এসেছিলি আর সে আমি কিনা তোর ভালবাসা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিরে দোস্ত! ভাবতাম তোর জন্য আমি অনেক কিছুই হারিয়েছি কিন্তু কখনো এটা ভাবিনি যে তুই আজীবন সব সুখ থেকে বঞ্চিত ছিলি, তবুও আমার কাছ থেকে কিছু চাস নি। কিন্তু যখন আমার দেয়ার কথা, তোকে বোঝার কথা তখন আমি নিজ স্বার্থে অন্ধ হয়ে তোর ভেতরের দুঃখ গুলো বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম রে দোস্ত।পারলে ক্ষমা করে দিস আমায়।আমি ক্ষমার যোগ্য না রে। আমার কলিজার টুকরা কোথায় গেলি রে তুই?আমি তো তোর সাথে একদিনও মন ভরে কথা বলতে পারলাম না সে দিনের পর থেকে, জানি না কি অপরাধটুকু করেছিলাম ।আমি কি তোকে একদিনও মন থেকে ভালবাসি নাই? একদিনও কিবুকে জড়িয়ে ধরি নাই?তোর কি একটুও মনে পড়ে নি আমার সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তোদের সেই পাহাড়ের উপর আড্ডা দেওয়ার কথা? একটুও কি মনে পড়ে নি আমার সাথে কাটানো সেই ৬ টা বছরের কথা? সবাইকে তো ভালো সময় দিয়ে গেলি আমাকে কি দিলি তোর মায়ের পাশে রেখে আসার কাজটুকু? আমি বুঝি আমার সাথে যে কয়দিন কথা বলিস নাই কি যে চাপা কষ্টে ছিলি,আমিও কি কম কষ্টে ছিলাম নাকি! যখনি বেলকনি থেকে নিচে তাকাই মনে হয় তুই দাড়িয়ে আছিস,সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় মনে হয় এই বুঝি তুই আমার মাথায় থাপ্পড় দিবি আড়াল থেকে,গলিতে দাঁড়িয়ে থাকি দেখি তুই দেয়ালে পা ঠেকে আমার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছিস. এই স্মৃতিগুলোকে কি আমায় অনুভব করতে দিয়ে

গেলি ? নারে দোস্ত আমি পারব না এখানে আর এক মুহূর্ত থাকতে,তাই আবার ঢাকা চলে এলাম।কে বলেছে তুই নেই ,তুই আছিস আমার সাথে ছায়া হয়ে আছিস ঠিক যেমনটা আগে ছিলি.শুধু একটা প্রশ্ন থেকে যাবে আমার মাঝে , “দোস্ত,পেরেছিস কি ক্ষমা করতে......?”



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প।ভালোলাগা তোমার পোষ্টে...

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৬

অন্ধকার রাজপুত্র বলেছেন: ধন্যবাদ তোমাকে আলু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.