নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা ক্ষমতাহীন শক্তি

কিছু লিখতে চেষ্টা করি । যা প্রকাশ করিনি তাই লিখবো । মনের কথা / ক্ষোভ প্রকাশ করবো ।

নব্য ভদ্রলোক

গণতন্ত্রের সৈনিক ।

নব্য ভদ্রলোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাশরের মাঠে বিভিন্ন জনকে প্রশ্ন

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

নবী-রাসুলদের উদ্দেশে প্রশ্ন

কুরআন শরিফে এরশাদ হয়েছেÑ “অতএব আমি অবশ্যই তাদের প্রশ্ন করব, যাদের নিকট রাসুলদের পাঠানো হয়েছে এবং আমি অবশ্যই রাসুলদের পশ্ন করব। [সুরা আ’রাফ : ৬]

এ আয়াতের ব্যাখ্যা অন্য আয়াতে এভাবে করা হয়েছেÑ আর যেদিন তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমরা রাসুলদের কে কি জওয়াব দিয়েছিলে, সেদিন তাদের সব বক্তব্যই হারিয়ে যাবে। এমন কি তারা নিজেরা একে অপরকে জিজ্ঞাসাও করতে পারবে না। [সুরা কাছাছ : ৬৫-৬৬] অর্থাৎ রাসুলদের পৌঁছানো পয়গাম সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে, রাসুলরা বুঝানোর পর তোমরা বুঝেছিলে কিনা? এ প্রশ্নের জওয়াবে তারা কিছুই বলতে পারবে না।

অন্যত্র এরশাদ হয়েছে- “যেদিন আল্লাহ তাআলা রাসুলদের সবাইকে একত্রিত করবেন, অতঃপর প্রশ্ন করবেন, তোমরা কি জওয়াব পেয়েছিলে। তারা বলবেন, আমাদের জানা নেই! নিশ্চয়ই আপনি গায়েবের সব কথাই জানেন। [সুরা মায়েদা : ১০৯]

এ প্রশ্ন আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাতু ওয়াস সালামকে তাদের উম্মতের সামনে করা হবে। জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমরা যখনতাদের নিকট হকের দাওয়াত নিয়ে গিয়েছিলে, তখন তারা কি জওয়াব দিয়েছিল। সে সময় মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলার শক্তিমত্তা, ক্ষমতা ও বড়ত্বের প্রকাশ ঘটবে। তাতে সবাই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। আম্বিয়ায়ে কেরাম ভয়ে আল্লাহ তাআলার সামনে জওয়াবে আমাদের জানা নেই -এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পরবেন না।

রাসুলুল্লাহ সা. এর সাক্ষ্য

সুরা নিসায় এরশাদ হয়েছে- “অতঃপর সে সময় কি অবস্থা হবে, যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে তাদের অবস্থা বর্ণনাকারীকে ডাকব, আর আপনাকে সে সকল লোকের সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সাক্ষী বানিয়ে আনা হবে।” [সুরা নিসা : ৪১]

এ আয়াতে সব উম্মতের নবী এবং নেককার সালেহ, গ্রহণযোগ্য লোক উদ্দেশ করা হয়েছে। তারা কেয়ামতের দিন লোকদের নাফরমানী ও আনুগত্য সম্পর্কে বর্ণনা করবেন এবং সবার অবস্থার ওপর সাক্ষ্য দিবেন। এখানে যে বলা হয়েছে- “আর আমি আপনাকে তাদের ব্যাপারে সাক্ষ্যদাতা বানিয়ে আনব” -এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, আপনি অন্য নবীদের এবং আপনার উম্মতের অবস্থা ও আমলের সাক্ষ্য দিবেন। আবার এও হতে পারে, এর দ্বারা আম্বিয়ায়ে কেরামের দিকে ইশারা করা হয়েছে। যার মর্ম হল, রাসুলুল্লাহ সা. আম্বিয়ায়ে কেরামের সত্যায়ন করবেন। যখন অন্যান্য উম্মত তাদের নবীদের সম্পর্কে মিথ্যা বলবে তখন রাসুলুল্লাহ সা. তাদের পক্ষে সত্য সাক্ষ্য দিবেন।

এ আয়াতের ইশারা কাফেরদের দিকে হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পূর্বে উদ্ধৃত এক আয়াতে বলা হয়েছে- “যেমন অন্য আম্বিয়ায়ে কেরাম তাদের উম্মতের কুফরী, র্শিক এবং পাপাচার সম্পর্কে সাক্ষ্য দিবেন, তেমনিভাবে হুজুর সা.ও তাঁর উম্মতের কুফরী, র্শিক এবং বদ আমলের সাক্ষ্য হবেন। যাতে তাদের অন্যায় অপরাধ আরো বেশি জোরালোভাবে প্রমাণিত হবে।”

হযরত ঈসা আ. কে প্রশ্ন

কেয়ামতের দিন হযরত ঈসা আ. কেও প্রশ্ন করা হবে। আল্লাহ তাআলা সুরা মায়েদায় এরশাদ করেন- “আর যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা ইবনে মারইয়াম, তুমি কি লোকদের বলেছিলে, তোমরা আল্লাহকে, ছেড়ে আমাকে এবং আমার মাকে মাবুদ বানাও। [সুরা মায়েদা : ১১৬]

হযরত ঈসা আ.-এর জওয়াব

উক্ত প্রশ্নের জবাবে হযরত ঈসা আ. কুরআনের ভাষায় বলবেন- “আমি তো আপনাকে (যাবতীয় ত্র“টি থেকে) পবিত্র বলে ঘোষণা করি, এটা কোনক্রমেই আমার জন্য শোভনীয় নয়, আমি এমন কথা বলি যা বলার কোন অধিকার আমার নেই; যদি আমি বলতাম তাহলে অবশ্যই আপনি তা জানতেন; আপনি তো আমার অন্তরের কথাও অবগত আছেন, আর আপনি যা জানেন তা আমি জানি না; নিশ্চয়ই আপনি গায়েবের সব কথা ভালভাবে অবগত আছেন। আমি তাদের শুধু তাই বলেছি যা বলার জন্য আপনি আমাকে আদেশ দিয়েছেন, আর তা ছিল, তোমরা সেই আল্লাহর এবাদত কর যিনি আমার রব এবং তেমাদেরও রব। আমি তাদের মধ্যে যতদিন ছিলাম ততদিন তাদের সম্পর্কে অবগত ছিলাম। অতঃপর আপনি যখন আমাকে উঠিয়ে নিয়েছেন, তখন থেকে আপনিই তাদের রক্ষক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন এবং আপনি সব বিষয়ে পুরোপুরি অবগত রয়েছেন। আপনি যদি তাদের শাস্তি দেন তাহলে (সেটা আপনার ইচ্ছা) তারা আপনার বান্দা, আর যদি আপনি তাদের মাফ করে দেন তা হলে (সেটাও আপনার ইচ্ছা) আপনি মহাপরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী।” [সুরা মায়েদা : ১১৬-১১৮]

কিন্তু কাফের মোশরেকদের মাগফেরাতের কোন বিধান নেই। অতএব ঈসায়ী তথা খ্রিস্টানরা জাহান্নামে যাবে, তারা তাদের নবীর হেদায়াতের অনুসরণ না করে নিজেরাই গোমরাহ এবং কাফের হয়েছে, তারা অবশ্যই জাহান্নামে জ্বলবে।

ফেরেশতাদের আল্লাহ তাআলার সম্বোধন

আল্লাহ তাআলা ফেরেশদতাদের সম্বোধন করে বলেনÑ “আর যেদিন আল্লাহ তাদের সবাইকে একত্র করবেন, অতঃপর ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করবেন, এ লোকেরা কি তোমাদের পূজা করত? [সুরা সাবা] : ৪০]

দুনিয়াতে অনেক মুশরিক আছে যারা ফেরেশতাদের আল্লাহর কন্যা বলে থাকে আর তাদের পূজা থেকেই মূর্তিপূজা শুরু হয়েছে। কেয়ামতের দিন মুশরিকদের শুনিয়েই আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করবেন, এরা কি তোমাদের পূজা করত? সম্ভবত এ প্রশ্নের উদ্দেশ্য, তোমরা তো তাদের তোমাদের পূজা করতে বলনি এবং তারা যে তোমাদের পূজা করেছে তাতেও তোমরা খুশি হওনি?

এ প্রশ্নের উদ্দেশ্য এও হতে পারে, মুশরিকদের ফেরেশতাদের এ জওয়াব শুনিয়ে দেয়া, আমরা তাদের এমন শিক্ষাও দেইনি এবং তাদের কাজে আমরা খুশিও হইনি। যাতে করে ফেরেশতাদের পূজারী মোশরেকরা ভালোভাবে বুঝে নিতে পারে, তাদের আমলের জন্য তারাই দায়ী।

ফেরেশতাদের জওয়াব

পূর্বের আয়াতের পরেই নিম্নের আয়াত এরশাদ হয়েছে- ফেরেশতারা জওয়াবে বলবে, “আপনার সত্তা পবিত্র, আপনিই আমাদের ওলী (অভিভাবক); বরং তারা জ্বিনদের পূজা করত, জ্বিনদেরই বেশি মানত।” [সুরা সাবা : ৪১]

অর্থাৎ আপনার সত্তা সর্বপ্রকার র্শিক থেকে পবিত্র। কেউ এমন কথা বলবে বা এমন কাজ করবে আর তাতে আমরা খুশি হবে? আপনার খুশিই তো আমাদের খুশি। এ অপদার্থ দুর্ভাগাদের সাথে আমাদের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। আসলে তারা আমাদরে পূজা করত না; বরং আমাদের নামে শয়তানের পূজা করত। শয়তান তাদের যে দিকে ঘুরাত তারা সে দিকেই ঘুরত। কখনও তারা ফেরেশতাদের নামে, কখনও নবীদের নামে, কখনও শহীদ এবং পীর ফকীরের নামে শয়তানেরই পূজা করত।

আল্লাহ পাক এরশাদ করেন- “অতএব আজ তোমাদের কেউ পরস্পরের লাভ-ক্ষতির মালিক নও এবং আমি জালেমদের বলব, আজ তোমরা জাহান্নামে আগুনের শাস্তি আস্বাদন কর, যা তোমরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে।







Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.