![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেম হয় মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার যুবক জিয়াউল হকের। দুই বছর প্রেমের পর সেই তরুণীর কাছ থেকেই প্রত্যাখ্যাত হন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিকার এলাকায় এসে উভয়ের ছবি-সংবলিত প্রেমপত্র বিলি করেন ২৫ বছর বয়সী সেই যুবক। এ সময় এলাকাবাসী তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন।
কটিয়াদী থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর (১৯) সঙ্গে জিয়াউল হকের দুই বছর আগে মুঠোফোনে প্রেম হয়। এ সময়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমপত্র ও ব্যক্তিগত ছবি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে জিয়াউল কটিয়াদীতে আসেন। এ সময় ছাপানো প্রেমপত্র বিতরণ শুরু করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে মুঠোফোনে মেয়েটিকে আপত্তিকর কথাবার্তা বলা এবং তাঁর ছবি-সংবলিত প্রেমপত্র বিলি করার অপরাধে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম ফারাহ গুল নিঝুম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় জিয়াউলকে কারাদণ্ড দেন। আজ বুধবার সকালে তাঁকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
জিয়াউল প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মুঠোফোনে দুই বছর আগে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিকা তাঁকে এলাকায় আসতে বলায় তিনি ওই দিন কটিয়াদী আসেন।
কটিয়াদীর লোহাজুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে উত্যক্ত করছে। তিনি মৌলভীবাজার থেকে এসে এলাকায় লিফলেট বিলি করে চলে যেতেন।
ইউএনও ফারাহ গুল বলেন, যুবক লিখিতভাবে তাঁর দোষ স্বীকার করায় তাঁকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ জানান, জিয়াউল হককে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
টাইম কম বলেছেন: জিয়াউল কাছে ইন্টারনেট ছিলো না থাকলে লিফলেট বিলাইতো না।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৮
টাইটান ১ বলেছেন: জিয়াউল হকের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। জেল থেকে বের হয়ে সে একটা ভালো জীবন লিড করতে পারে।