নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জামাই হিসাবে অতুলনীয়, তাই ঘর জামাই ।

ঘর জামাই

জাতীয়তাবাদী ব্লগার

ঘর জামাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্ত্রী-এমপিদের এড়িয়ে চলছেন আমলারা

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

ভোল পাল্টে ফেলেছেন আমলারা। দলবাজি ছেড়ে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছেন তারা। মনোযোগী হয়েছেন নিজ-নিজ মন্ত্রণালয়ের কাজে। রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত বলে এখন মন্ত্রী-এমপিদেরসহ দলীয় এড়িয়ে চলছেন তারা। অক্টোবরেই মহাজোট সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই পুরোপুরি প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হয়ে নিজেদের অবস্থানে ফিরে গেছেন তারা। এ সময় প্রশাসনিক জটিলতা এড়িয়ে শুধু রুটিন কাজ করবেন কর্মকর্তারা।

১ অক্টোবরে আমাদের সময়ে প্রকাশিত ‘কেউ কিছুই জানে না’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল— ‘‘আমলারা খোলস পাল্টাবেন অক্টোবরেই’।



অক্টোবরেই আমলারা পুরোপুরি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে যাবেন। সরকারি দলের হয়ে, দলের নেতা হয়ে যে কাজ এত দিন তারা করেছেন, সেই ফাইল গুটিয়ে ফেলা হবে ঈদের আগেই। একজন সংসদ সদস্য কোনও সচিবের কাছে গেলে ‘আপনি চা খান’ বলেই নিজের কাজে মনোযোগ দেবেন দলকানা সচিবও। নিজ দপ্তরের মন্ত্রীর বাইরে অন্য মন্ত্রীর ডাককে এড়িয়ে যাবেন কৌশলে, এমন প্রস্তুতি আমলারা নিয়ে রেখেছেন।’



নির্বাচন ও সরকারের উন্নয়ন নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের হাঁক-ডাক থাকলেও আমলাদের মধ্যে এর কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। বিষয়টি মন্ত্রিসভার সব সদস্যই ইতোমধ্যে টের পেয়েছেন। কারণ আমলারা এখন আগের মতো কথা শুনছেন না। কথা বলছেন না রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সরকারের শেষ সময়ে আমলাদের অবস্থা নিয়ে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে বলেছেন, সচিবরা এখন সুযোগ বুঝে ক্ষমতা দেখাচ্ছেন।



এক কর্মকর্তা জানান, এমপিরা সচিবালয়ে দপ্তরে-দপ্তরে ঘুরছেন নিজ এলাকার তদবিরের জন্য। সচিবদের দপ্তরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেও সুযোগ পাচ্ছেন না কথা বলার জন্য। আগের মতো সময়ও দিচ্ছেন না কর্মকর্তারা।



জানা গেছে, এলজিআরডি, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, ভূমি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে মন্ত্রী-এমপিদের দেওয়া শত-শত ডিও লেটার অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। শেষ সময়ে তাতে কেউ হাত দিচ্ছেন না।



গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সব বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষোভও প্রকাশ হবে এ অক্টোবরে। তাই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে সবাইকে। কারণ কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের আগুনে তেল ঢালা শুরু করেছেন বিএনপিপন্থী সাবেক আমলারা। এছাড়া বিএনপি-জামায়াত সমর্থক দলকানা কর্মকর্তারাও সরকারবিরোধী প্রচারণায় নেমেছেন। একজন সিনিয়র সচিব জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নাসিমের কথা না শুনলে বাড়ি ফেরত পাঠানো হবে— বক্তব্যে সারা দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।



তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. আকবর আলি খান এ প্রসঙ্গে আমাদের সময়কে বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সংবিধান ও সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী চলবেন। এটাই তাদের দায়িত্ব। কারও ব্যক্তিবিশেষের কথায় তারা চলবেন না। তবে সরকারের শেষ সময়ে কাজ করার ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।



তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সরকারি কর্মচারীরা সরকারি আদেশ শুনবেন কিন্তু কোনও দলের আদেশ শুনবেন না। কারণ কর্মচারীরা এখন আদেশ শুনছেন। নির্বাচনকালীন কোনও আদেশ তারা শুনবেন না।



সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সরকারের আদেশ অনুযায়ী চলবেন। তবে শেষসময়ে কাজের চাপ থাকে বেশি। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফাইল ছাড়তে হয়। এসব বিষয়কে জটিল বললেও কাজ করছে না বললে হবে না। কারণ কর্মকর্তারা নিজ-নিজ দপ্তরের কাজ সম্পন্ন করবেন, এটিই তার দায়িত্ব। রুলস অব বিজনেসে তা উল্লেখ রয়েছে। তবে কারও চাপে কোনও অনৈতিক কাজ তারা করবেন না।



মন্ত্রিপরিষদসচিব মোশাররাফ হোসেন ভূঁইঞা বর্তমানে দেশের বাইরে। তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দেশে ফিরে এ বিষয়ে কথা বলব।



জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, কর্মকর্তারা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চলছেন। এখানে কেউ কোনও নির্দেশনা না মানলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীই সরকারের নির্দেশনার বাইরে যেতে পারেন না। তবে আদালত অবমাননার ভয়ে অনেক কাজ নিষ্পন্ন করা যাচ্ছে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.