নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ড. মশিউর রহমান

ড. মশিউর রহমান

ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে বেড়াই!

ড. মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈজ্ঞানিক থেকে কর্পোরেটে - প্রথম পর্ব

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২৬



(আমি আমার ক্যারিয়ারের অর্ধেক সময় গবেষক ও বৈজ্ঞানিক হিসাবে কাজ করে, পরবর্তিতে ইন্ডাস্ট্রি বা কর্পোরেটে যোগদান করি। আমার সেই অভিজ্ঞতা সিরিজ আকারে লিখছি এইখানে। ক্যারিয়ার বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে লিখুন)

একজন গবেষক অন্য ভাবে ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়। তারা একটি সমস্যাকে কিভাবে সামাধান করতে হবে, সেই বিষয়ে নজর দেয়। এবং সাধারণত এই সমস্যাগুলি একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং সময়সাপেক্ষ। যে সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যাবে, সাধারণ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়েই সেই সমস্যা সমাধান করা হয়। কিন্তু যে সমস্যাটি সমাধান করতে একটু বেশী সময় লাগবে, একটু দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা এর প্রয়োজন হয়, সেই ক্ষেত্রে একাডেমিক এর গবেষকরা ভালো করে এবং সেইভাবেই তারা ট্রেনিং পেয়ে থাকে। আমার ক্ষেত্রেও আমিও সেইভাবে ট্রেনিং পেয়েছিলাম এবং সেইভাবেই নিজেকে গড়ে তুলেছিলাম। তুষারপাতে মধ্যে সবাই যখন কফির পেয়ালা হাতে নিয়ে কোন সিনেমা উপভোগ করছে, আমরা গবেষকরা তখন আমাদের প্রিয় ল্যাবে চলে যেয়ে আমাদের সমস্যাটি নিয়ে ভাবছি। কিংবা হাতে কোন গবেষনাপত্র নিয়ে আমরা চলে গিয়েছি পার্কে। নির্জনে বসে সেই সমস্যাটি নিয়ে ভাবছি। পুকুরের নিস্তব্ধ নিরাবতার মাঝে সেই সমস্যাটির মধ্যে ডুবে তার কোন সমাধান করা যায় কিনা তাই নিয়ে ভাবছি, এবং ভাবছি। এই চিন্তা করার প্রক্রিয়াটি কিভাবে করতে হবে তা গবেষকরা ভালো মতন জানে, এবং সেই দিকে তারা অভিজ্ঞ।
কিন্তু আমি যখন গবেষনার সেই পরিবেশ থেকে কর্পোরেটে প্রবেশ করলাম, তখন আমার সেই চিন্তা করার প্রক্রিয়াটি পুরোটাই পরিবর্তন করতে হল। এবং নিজেকে নতুন করে সাজাতে হল। প্রচুর কর্পোরেটে কাজ করা মানুষজনের সাথে কথা বললাম। তাদের কাছে কর্পোরেট কালচার বা কাজ করার প্রক্রিয়াটি শিখলাম। গবেষনাগারে যে কর্মপদ্ধতি শিখেছিলা তা Unlearn বা ভুলে যেয়ে আবার নতুন করে learn করার জন্য নিজেকে সাজিয়ে তুললাম। যেহেতু আমি অনেকগুলি ক্ষেত্রেই কাজ করেছি তাই নতুন করে কোন নতুন বিষয়ে কিভাবে ঝাপিয়ে পড়তে হয় তা মোটামোটি আমি অভিজ্ঞ। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগলো নতুন করেন। আসলে মাঝে মাঝে আমি ভাবি, কি আমাদের জীবনের সবথেকে বড় পাওয়া? আমার মনে হয় আমাদের অভিজ্ঞতাই আমাদের সবথেক বড় পাওয়া।
মনে করা যাক আমরা সুইজারল্যান্ডের কোন ভ্রমণ কাহিনি পড়লাম। সেখানে সেই লেখকের চোখে আমরা দেখা শুরু করি কি ভাবে সেই লেখক সেই দেশটিকে দেখেছে। এইযে আমরা শিখলাম, এটি হল জ্ঞান। কিন্তু আমরা যখন সেই দেশে যাব, সেই দেশের পথঘাট নিজ চোখে দেখবো তখন আমরা সেই দেশটি সমন্ধে একটু সাম্যক অভিজ্ঞ হব। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আরো বাড়বে যখন আমরা সেই দেশে বসবাস করবো। তখন বইয়ে পড়া থেকে পর্যটক হিসাবে সেই দেশকে দেখার থেকেও আরো বড় একটি জিনিস আমরা পাব তা হল নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সেই দেশকে জানা।
তেমনিভাবে জীবনে আমরা অনেক জ্ঞান অর্জন করি, কিন্তু যখন সেই পরিস্থিত ও প্রক্ষাপট এর ভিতর দিয়ে আমরা যাব তখন আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করবো এবং আরো ভালোমতন ব্যাপারটি নিজের মতন করে বুঝবো।

(চলবে)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল জনাব আপনার পোস্টটি পড়ে। সাথেই আছি।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা বই পড়ে পড়ে লেখকদের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করি।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

জগতারন বলেছেন:
সাথে আছি।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩

নাসির ইয়ামান বলেছেন: বাস্তব অনেক অভিজ্ঞতা "নুন আনতে পান্তা ফুরায়"দের অর্জিত হয়ে ওঠে না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.