নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ড. মশিউর রহমান

ড. মশিউর রহমান

ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে বেড়াই!

ড. মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈজ্ঞানিক থেকে কর্পোরেটে: ৩য় পর্ব : সিভি তৈরী

২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:০৬



গত দুইটি পর্ব লেখার পরে অনেক পাঠক জানালো যে আমার ব্যাকগ্রাউন্ড জানার জন্য। তাহলে এই সিরিজের লেখাগুলি তাদের জন্য বুঝতে সুবিধা হবে। যেহেতু নিজের অভিজ্ঞতা লিখছি তাই সেটা একটু জানা থাকলে পাঠকদের জন্য সুবিধা হবে।

আমার কথা:
আমি বাংলাদেশে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে পড়াশুনা করে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বুয়েটে ভর্তি হই। কিন্তু সেই সময়ে জাপান সরকারের উচ্চশিক্ষার বৃত্তি পাওয়ায় জাপানে পাড়ি দিই। সেখানেই অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি (ডক্টরেট) শেষ করে আমেরিকায় পোস্টডক করি। পরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকতার আহবান করলে, বাংলাদেশে পাড়ি দিই। বাংলাদেশে প্রথম ভিওআইপি ও ন্যানোপ্রযুক্তি বিষয়টি অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে সংযুক্ত করি। সেই সময়ের কিছু কাজ শিক্ষক.com এ পাবেন। শিক্ষাকতার পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন কমিশন, BTRC (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ও কিছু আইটি স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করি। পরবর্তিতে সিঙ্গাপুরে একটি গবেষনাপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিই। বৈজ্ঞানিক হিসাবে কাজ করেছি ন্যানোপ্রযুক্তি, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাটা হেল্থকেয়ারে। কিন্তু পরবর্তিতে বৈজ্ঞানিক ক্যারিয়ার থেকে ইন্ডাস্ট্রি বা কর্পোরেটে যোগ দিই। বর্তমানে ডিজিটাল হেল্থকেয়ার বা ডাটা হেল্থকেয়ার এর জন্য কিছু সলিউশন তৈরী করছি। বর্তমানে যে সিরিজটি লিখছি তা মূলত কিভাবে আমি ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিলাম, সেই ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করছি।

নতুন করে সিভি লেখা
বিজ্ঞানের জগত থেকে যখন ইন্ডাস্ট্রিতে আসার জন্য যখন মনস্থির করলাম, তখন প্রথম কাজ যে কাজটি করলাম তা হল আমার সিভি, বায়োডটা বা রিজুমে-টাকে ঢেলে নতুন করে সাজালাম। এতদিন পর্যন্ত আমার সিভিটিতে গুরুত্ব দিয়েছিলাম বৈজ্ঞানিক গবেষনাগারে আমার দক্ষতা ও ফলাফলগুলো। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির জন্য একেবারেই নতুন করে সিভি লিখলাম। আমার প্রকাশনা লিস্ট থেকে শুরু করে অনেক বৈজ্ঞানিক প্রাপ্তিগুলো সম্পূর্ণভাবে ফেলে বা বাদ দিতে হল। বিজ্ঞানী হিসাবে সেই অর্জনগুলোকে মুছে ফেলে দিতে ভীষণ রকমের কষ্ট হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল আমার শরীরের কোন অঙ্গ কে নিজ হাতে কেটে ফেলে দিচ্ছি। পরে অনেকের সাথে কথা বলে বুঝেছি যে আসলে আমরা আমাদের সিভি থেকে এইভাবে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলিকে আমরা বাদ দিতে পারিনা, এবং অনেক ক্ষেত্রেই সেই মায়া কাটিয়ে উঠতে পারিনা।

সিভি থেকে কেন নিজের অভিজ্ঞতাগুলোকে মুঝে ফেলতে পরিনা?
যারা সিভি লিখেছেন কিংবা চাকুরির জন্য চেষ্টা করেছেন, তারা সবাই বুঝেন যে সে পদটির জন্য আবেদন করছি সেই মোতাবেক সিভিকে সাজান উচিত এবং শুধু মাত্র সংশ্লিস্ট অভিজ্ঞতাগুলোকে সিভিতে গুরুত্ব দেয়া উচিত। কিন্তু এই কথা আমরা জানলেও সিভি থেকে নিজের অসম্পর্কিত অভিজ্ঞতাগুলোকে আমরা মুছে ফেলতে পারিনা। কি করতে হবে, কিংবা কি করা উচিত- তা আমরা বুঝি ও জানি, কিন্তু কেন জানিনা নিজেদের সেই অসম্পর্কিত অভিজ্ঞতাগুলোকে মুছে ফেলতে পারিনা।

আমার মনে হয় আমরা অতীতে যে কাজগুলো করেছি, সেগুলো করতে আমাদের অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। অনেক পরিশ্রম করে, অনেক কষ্ট করে, সেই প্রোজেক্টগুলি আমরা সমাপ্ত করেছি, কিংবা অনেক পরিশ্রম করে সেই ফলাফলগুলি করেছি। তাই সেই কাজের অভিজ্ঞতাগুলো সিভি থেকে ফেলে দিতে আমাদের খুব অস্বস্তি হয় এবং অনেক ক্ষেত্রেই আমরা পারিনা। আমাদের সেই কাজগুলির সাথে আমাদের “ভালোবাসা” এমনই গভীর হয় যে, তা থেকে বেরিয়ে আসা মুশকিল হয় বৈকি। শুধুমাত্র সিভিতেই যে এমনটি হয় তা নয়। অনেক সময় আমরা ইন্টারভিউ বা সাক্ষাতকার দিতে যেয়েও এমনই কাজ করি। মূল কাজের সাথে সম্পর্ক নেই সেই সফলতার গল্পগুলি বলা শুরু করি, কেননা সেইগুলি সমন্ধে আমরা খুব বড়াই করি কিংবা এক ধরনের অহংকারও রয়েছে তার প্রতি, কিংবা সেই সমন্ধে আমরা অনেক কিছু বলতে পারি। এই মুছে না ফেলতে পারাটা অস্বাভাবিক নয়, তবে এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
যে জিনিসগুলি আমি গুরুত্ব দিলাম তা হলো,

কি কি করেছি এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কি ফলাফল ছিল। একটি সিভিতে পেশাগত কাজের সফলতা ও প্রাপ্তি সেখানে গুরুত্বপূর্ণ। অনেককেই দেখি সিভি-তে কি কি করেছি তার একটি পুরো লিস্ট তুলে ধরে। মনে করা যাক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেছে। আমরা সিভিতে লিখতে পারি, সেই পদে আমি কতজন ক্লাইন্ট এর সাথে যোগাযোগ করেছি, কোন বছরে কি প্রোজেক্ট করেছি সেই পণ্যটিকে বিক্রি করার জন্য। কিন্তু সেই কাজে কি কি ফলাফল পেয়েছি তা সিভিতে লেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। সৌভাগ্যক্রমে আমি বিজ্ঞানের জগতে কাজ করলেও ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের সাথে জড়িত ছিলাম তাই কিছু প্রাপ্তিগুলিকে সিভিতে লিপিবদ্ধ করলাম যার গুরুত্ব ইন্ডাস্ট্রিতে আছে। কি কি প্রোডাক্ট বের করলাম এবং তার ব্যবসায়িক প্রাপ্তিগুলি লিপিবদ্ধ করলাম। সিভিতে ফলাফল লিপিবদ্ধ করার ক্ষেত্রে নিচের প্রাপ্তি গুলি লেখা যায়,

- কতখানি সেলস বা বিক্রি বাড়াতে পেরেছি।
- কতখানি খরচ কমাতে সক্ষম হয়েছি।
- কতখানি ক্রেতার সন্তুষ্টি বাড়াতে পেরেছি।
- কতখানি টিমের পারফরমেন্স বা কর্মক্ষমতা বাড়াতে পেরেছি।
- প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যতের কর্মপদ্ধতি বা কৌশল কতটুকু বাড়াতে পেরেছি।
- কতখানি রিস্ক কমাতে পেরেছি।

আমি যেহেতু বৈজ্ঞানিক গবেষনাগারে কাজ করেছি তাই এই ধরনের প্রাপ্তি এর প্রচুর ঘাটতি ছিল। কেননা আমরা বিজ্ঞানীরা কোন সমস্যার উত্তর ও সমাধানের উপায় এর জন্য কাজ করতাম। ইন্ডাস্ট্রিতে যে ধরনের ফলাফলকে গুরুত্ব দেয়া হয় (টাকার অংক), সেরকম কোন ফলাফলই আমাদের থাকেনা। তাই সেই ধরনের ফলাফল সিভিতে লেখাটা আমার জন্য অনেক কষ্টকর ছিল। তবে অনেক ঘষামাজা করে সেখান থেকে যেসব ফলাফল উল্লেখ করা যায় সেসবই উল্লেখ করলাম।

একটু বিস্তারিত ভাবে বলি কিভাবে আমি এই সমস্যা থেকে উত্তরণ পেলাম। আমি মূলত টার্গেট করছিলাম, প্রোজেক্ট ম্যানেজার বা লিডারশিপের পজিশনগুলিতে। সেই থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে সবথেকে গুরুত্ব থাকে কোন টিম কে চালনা করার কাজ করেছি কিনা। বৈজ্ঞানিক গবেষনাগারে তেমন সুযোগ খুবই কম। তাই অনেক ভেবে কি করা যায় তা নিয়ে ভাবলাম। অনেক খুজে খুজে পেলাম যে আমাদের ল্যাবে কিছু ইন্টার্নকে আমরা নিয়েছিলাম। সেই সময়ে তাদের তত্বাবধানের কাজ আমি করেছিলাম। তাই সেই নবিন ইঞ্জিনিয়ারদের পরিচালনা করার অভিজ্ঞতাকে ইন্ডাস্ট্রির ভাষাতে সিভি তে যোগ দিলাম। এইভাবে বৈজ্ঞানিক সিভি থেকে ইন্ডাস্ট্রি এর সিভিতে রূপান্তরিত করলাম।

সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক
সিভি লেখার সময়ে আমাদের মনে রাখা উচিত যে তা যেন সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক হয়। আমি যখন বৈজ্ঞানিক হিসাবে কাজ করতাম তখন অনেক ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছিলাম, তাই সে কারণে আমার সিভিটি বেশ অনেক বড় ছিল। খুব সম্ভবত ছয় (৬) পাতার ছিল। এখন চিন্তা করলে যদিও ব্যাপারটি হাস্যকর। আমরা জানি যে যারা সিভি পড়ে তাদের অত সময় নেই। অনেকে বলেন যে ১০ সেকেন্ডের বেশী কেউ সিভি দেখেনা। সুতরাং এমন বিশাল সিভি সত্যিই বিরক্তিকর। যদিও সেই বিশাল সিভির প্রতিটি শব্দের সাথে আমার জীবনের একটা বিশাল অংশ জুড়ে আছে। কিন্তু বাস্তবতার দিকে তাকিয়ে তাকে আমি কাটতে কাটতে ৩ পাতায় নিয়ে আনলাম। পরে আরো কষ্ট করে সময় নিয়ে দুই পাতাতে নিয়ে এনেছিলাম। এমন নিজের ভালোবাসার প্রতি ক্রূর ও নিষ্ঠুর হতে হয়েছিল। যারা এই অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় আছে তারা বুঝবেন কেমন কষ্টকর এই সিভিকে ছোট করার।

প্রিন্ট করে এডিট করা
আমি সেই সময়ে সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (National University of Singapore) এ কাজ করি। আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু মাত্র বিশ্বে পরিচিত শুধু নয়, এর ভিতরের ক্যাম্পাসটি সত্যিই মনমুগ্ধকর। একটু পাহাড়ি টিলা চোখে পড়বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টগুলির মাঝে। আমি সেই সময়ে সিভি এডিট করার জন্য সিভিটি প্রিন্ট করে নিয়ে চলে যেতাম কোন নির্জনে বসবার জায়গাতে। সেখানে বসেই এই এডিট করার কাজটি সারতাম। যদিও সিভি লেখার কাজটি কম্পিউটারে করতাম। তবে এই এডিট ও চিন্তা করার কাজের জন্য বাহিরে বসে করতেই আমি সাচ্ছন্দ বোধ করতাম। অনেক সময়ে একটি সুন্দর শব্দ বসাবার জন্য অনেক সময় ধরে বসে থেকেছি এবং চিন্তা করেছি।

যেহেতু আমি সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিকে টার্গেট করছিলাম, তাই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও পদার্থবিজ্ঞানি হিসাবে যে কাজ করেছিলাম, তা ঘসাৎ করে কেটে ফেললাম। সেই দুই পাতাতে আমার সিভি হাল্কা হল বটে, তবে মনে হল যেন আমার শরীরের সব কিছুই কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে। একবার সিলিকনের পদার্থের উপরিভাগের ভৌত ধর্ম জানার জন্য জাপানের একটি প্রোজেক্টে অংশ নিয়েছিলাম। মাটির নিচে গভীর টানেলে নেমে কাজ করতে হয়েছিল। দুটি বছর সেখানে কাজ করে কিছু বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ আমি প্রকাশিত করেছিলাম, যেটা পিএইচডি পাবার জন্য সাহায্য করেছিল। কিন্তু সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে সেই কাজের কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই, তাই সেটাকে মুফে ফেলতে হল। কিন্তু সিস্টেম তৈরী করতে কিছু কাজ করেছিলাম যার সাথে সফটওয়্যার তৈরীর সম্পর্কছিল। প্রাসঙ্গিক বলে সেটিকে রেখে দিলাম। এইভাবে প্রাসঙ্গিক অংশগুলিকের সিভিতে রাখার কৌশলগুলি এডিট করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বুঝতে শেখলাম।

সিভি রাইটার
এখন অনেকেই সিভি লেখার কাজে সাহায্য করে। পয়সা দিলেই আমার হয়ে সেই সিভি রাইটার আমার সিভি লিখে দিবে। আমার কাছে নিজের প্রেমপত্র অন্যকে দিয়ে লেখার মতনই মনে হয়। আমার সিভি আমাকেই লিখতে হবে। আমার কি অভিজ্ঞতা আছে, তা আমার থেকে ভালো কেউ জানেনা। সেই সিভিটি যখন যে পদের আবেদনের জন্য তৈরী করবো, তখন সেই পদের সংশ্লিস্ট অংশগুলি সিভিতে লিখতে হবে। সেই প্রক্রিয়াটি নিজেকেই করতে হবে। একজন সিভি রাইটার যেটা করে, তা হল তার ভান্ডারে অসংখ্য সুন্দর সিভি থাকে, সেখান থেকেই সে কপি পেস্ট করে। তার সেই শব্দগুলি পড়তে সুন্দর হলেও তা আমাকে প্রকাশিত করেনা। আমার সিভি আমাকেই আমার মতন করে লিখতে হবে। এইখানে কোন সর্টকাট নেই। আপনার প্রিয়তমাকে কিভাবে ভালোবাসা নিবেদন করবেন তা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। কিছু সাজেশন বা পরামর্শ নেয়া যেতে পারে, কিন্তু অন্যকে দিয়ে সেই ভালোবাসা নিবেদন করা চলবেনা। কোন আলসেমি চলবেনা। আর আলসেমি করলে সাজন Saajan সিনেমার মতন গন্ডগোল করে ফেলবেন।

আগের পর্বগুলি
- বৈজ্ঞানিক থেকে কর্পোরেটে - ২য় পর্ব
- বৈজ্ঞানিক থেকে কর্পোরেটে - প্রথম পর্ব

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ভাই পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে লেখা পড়া করেছেন।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুবই ভালো। দেশের জন্য কাজ করুন।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। একটি ভাল সিভি চাকুরির পাওয়ার ক্ষেত্রে বিড়াট ভুমিকা রাখে। অর্ধেক ইন্টারভিউ এর কাজ সিভিই করে দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.