নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মেয়ে থেকে মায়ের জন্মের গল্পগাঁথা, প্রতিদিন নিজের \'ভাল মা\' হয়ে ওঠার চেষ্টার গল্প।

মেয়ে থেকে মা

একজন ডাক্তার মা আমি যে মাতৃত্বের এই রঙ্গিন সময়টাতে সন্তানকে খাঁটি মানুষ করে গড়ে তুলতে চাই আমার পেশাগত জ্ঞ্যান আর স্নেহ মমতার মিশ্রণে

মেয়ে থেকে মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীল সময়ের না বলা কথাগুলো

০৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০১

এর আগেও বেবি ব্লুজ নিয়ে লিখে ছিলাম , অনেকটা মেডিকেলিয় কথা ট্রান্সলেশনের ভঙ্গিতে । বইতে পড়া কথাগুলো অনুবাদ করে গেছি মাত্র, কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু সেটা কতজনের উপকারে এসেছে আমি নিজেই নিশ্চিত নই ।
আজকে আরেকটা না বলা অংশ নিয়ে বলতে চাই।

আমরা ‘বেবি ব্লুজ’ বলতে ধরেই নেই প্রসব পরবর্তীকালীন বিষন্নতার কথাই শুধু আলাপ হবে এই টপিকে, কিন্তু বেবি ব্লুজের লক্ষণসমূহ পড়তে গেলে একটা আরো একটা জিনিস আমরা পাই, EUPHORIA বা সাদা বাঙ্গলায় ‘ফুর্তি ফুর্তি ভাব’ ।
অনেকেই অবাক হচ্ছেন কারণ খুব বেশি জায়গায় বেবি ব্লুজ এর সাথে ইউফোরিয়ার সম্পর্কের কথা লেখা নেই এবং ফুর্তি হলে খারাপ কি সেটা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।
বুঝিয়ে বলি , ঘুম না হলে একটা মানুস খিটখিটে হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক , কাজেই তখন ব্লুজের কথা মনে করে অনেক সচেতন পরিবার স্ত্রী বা ঘরের বৌ কে একটু বাড়তি সময় দেন বা rest / refreshment দেন।
কিন্তু সন্তানের মায়ায় যখন মা ক্লান্তি ignore করেন তখন অনেকেই খুশি হন, এবং ব্যাপারটাকে মহিমাণ্বিত বা glorify করার চেষ্টা করেন। আর 'ভালো বঊ' কিংবা 'বউ সব পারে' এর সুখ্যাতিটাও কিন্তু আর দশটা খ্যাতির মোহের মতই মোহ তৈরী করতে সক্ষম ।
কাজেই সে নতুন মা নিজের শরীরের ক্লান্তি , বিশ্রামের প্রয়োজন সব অগ্রাহ্য করে একই সাথে সন্তানের যত্ন , পরিবারে যত্ন , ঘর গোছানো সব একা হাতে করে যেতে থাকেন এবং সেটাও হাসিমুখে।
কিন্তু সেই মা-ও শারীরিক ভাবে ক্লান্ত হন , তারো শরীরেও হরমোন গুলো প্রভাব বিস্তার করে । কিন্তু তার প্রকাশটা যখন বাহ্যিকভাবে হয় না বা তিনি নিজেই হতে দেন না, তখন সেটার প্রকাশ যেভাবে হয় সেটা আরো আশংকাজনকভাবে হয়।
কারণ তিনি অন্যান্য ছোটখাটো বিষয়ে অভিমান করেন, অতি অল্পতেই কেঁদে দেন, বেঁচে থেকে কি লাভ যদি তার এতো কষ্ট কেউই না বুঝলো এধরণের কথা বলতে শুরু করেন
এবং এতো পরে এই কাজগুলো করতে শুরু করেন, যে সেটার প্রকাশ যখন হয় তখন সেটা অনেকেই relate করতে পারেন না যে 'হঠাত' করে কেন এমন বদলে যাচ্ছেন মা।
কাজেই, আমাদের তখন অবশ্যই বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে যখন সন্তান হবার পরেও হাসিখুশি মেয়েটি ধীরে ধীরে খুতখুতে , over sensitive, অল্পতেই রেগে যান বা কেদে ফেলেন এমন একটি মেয়ে হয়ে যান যখন সন্তান যত বড় হবে ততই তার ভারমুক্ত হবার কথা , সন্তান বড় করতে করতে অনেক বিষয়েই মুক্ত চিন্তার হয়ে যাবার কথা !!
আসলে , এসব বিষয় ছোট শিশু আসা একটা পরিবারের জন্যে সব সময়ে খেয়াল করাও বেশ কঠিন। কিন্তু আমরা যদি সব সময়েই খেয়াল রাখি যে নব্য মায়ের মন ‘বেশি খারাপ’ হোক বা ‘বেশি ভাল’ নিয়ম করে তাকে বিশ্রাম দিতেই হবে , এবং একটা সন্তান জন্মদানের পরে তার শারীরিক ধকল গিয়েছে আর রোজ রাত জাগতে, রাত জেগে বাচ্চার সমস্ত কাজ করতে তার কষ্ট হচ্ছে ।
আর তাকে নিয়মিতই একটু ফ্রি টাইম দেয়া উচিত , একটু ভাল ব্যাবহার করা উচিত তাহলেই কোন সমস্যা হয় না ।
ভাল ব্যাবহার উত্তম বংশের পরিচয় , তাই না?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: মেয়ে থেকে মা।
ব্যতিক্রমী নিক।

আপনার পোস্টগুলো শিক্ষণীয়।
ভাল থাকুন।

০৭ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

মেয়ে থেকে মা বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ ভাই, আমার নিজের মা হবার দিনগুলোতে আসলে বার বার মনে হয়েছে মেডিকেল কলেজে সব পড়েছি কিন্তু কিছু কথা যেন কিছুই জানি না। আমার মত যে মেয়েরা মা হবে আর ভাববে 'কেউ আগে কেন বলেনি, মানসিক প্রস্তুতি থাকলে হয়তো কষ্ট কম হতো' তাদের কথা ভেবেই লেখা শুরু করলাম।
ভালো থাকুন আর সেফ থাকুন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.