![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড্ড ঝামেলা করে দিয়েছে এই সংবিধান। মানে ২৫ তারিখের ডেড লাইন। মনে হচ্ছে না ২৫শে অক্টোবরের আগে বড় ধরনের কোন ঝামেলা হবে। আপাতত কাজ হচ্ছে দিন গোনা। আরেকটা ছোট্ট কাজ ও আছে। কি হতে পারে সেইদিন, তাঁর ওপর ছোট খাট গবেষণা করা। ‘বিএনপি আওয়ামী লীগের মত আন্দোলন করা দল না’ ফলে ‘লগি বৈঠা’ ইমপ্যাক্ট তৈরি করতে পারবে না। তাঁদের আন্দোলনে সেই আগ্রেসিভ ভাব হয়তো পাওয়া যাবে না। কিন্তু কি হবে এই প্রশ্নে সবাই একটু হোঁচট খাচ্ছে। কিছু ভবিষ্যৎবাণী করছে, তবে আমতা আমতা করে। ১৫ই ফেব্রুয়ারী না ১১ই জানুয়ারী? নাকি আবার নতুন কোন তারিখ?
নেতারাও কম যান না। কি করবেন বা কি করার ইচ্ছা আছে, এ নিয়ে কেবল সাসপেন্স ই তৈরি করে যাচ্ছেন। হুমকি ধামকি ছাড়া তাঁদের বক্তব্যে এমন কিছু নেই। এবং বেশ অলীক সব হুমকি। যার কোনটাই হওয়ার সম্ভাবনা নেই। খুব বিশ্বাসযোগ্য কোন সম্ভাবনার কথাও আবার কেউ বলছেন না। দেশ বাসীর অবস্থা এখন সাইন্স ফিকশানের পাঠকের মত।
সাইন্স ফিকশানে যেমন অসম্ভব কোন ঘটনা ঘটানো হয়। এরপরে যুক্তি দিয়ে বোঝানো হয়, ঘটনাটা ঘটা সম্ভব। অবিশ্বাস্য হলেও পাঠক তখন ঘটনাকে বিশ্বাসযোগ্য ভাবতে শুরু করে। এখন দেশবাসীর কাজ হচ্ছে সেটা। সবচেয়ে উর্বর যুক্তিগুলো জড়ো করে ভাববার চেষ্টা করা, ‘আওয়ামী লীগ ছাড় দিবে’ কিংবা ‘বিএনপি ছাড় দেবে’। আর যারা তা ভাবতে পারছেন না তাঁদের কাজ চিন্তা চালিয়ে যাওয়া ‘কি হতে পারে’।
নেতারা যে কাজটা ইচ্ছে করে করছেন, তা কিন্তু না। ‘ঐদিন’ কি হবে, এমন একটা সাসপেন্স তৈরি করে রাখা ছাড়া তাঁদের নিজেদেরও কোন উপায় নেই। কি বলবেন? বিরোধী দলকে বলতে হবে, ‘কিছু করতে পারবার ক্ষমতা তাঁদের আছে, তারপরও তারা করছেন না’ বেজায় অলীক শোনাবে। সরকারী দলকে বলতে হবে ‘বিরোধী দলের মতামতের কোন তোয়াক্কা করব না’ তাহলে সেকথা আর বলার দরকার কি? আসলে নিরুপায় দুই দলই। এক দল প্রাণপণে অস্বীকার করে যাচ্ছে, ‘আন্দোলন করবার লোক নেই’। আর অন্য দলের চেষ্টা ‘ইভ্রিথিং আন্ডার কন্ট্রোল’ প্রমাণ করা।
নেতারা হয়তো ভাবছেন, এই সাসপেন্স ফর্মুলায় এক ঢিলে অনেক পাখিই মারা পড়ছে। আন্দোলন না করার একটা ব্যাখ্যা দেয়া যাচ্ছে। নেতা কর্মীদের প্রশ্ন থেকে বাঁচা যাচ্ছে। সাংবাদিক থেকে শুরু করে টক শো সব জায়গায় এই কথা বলে পার পাওয়া যাচ্ছে। ‘যা করার ২৫ তারিখেই করে দেখাবো’।
জনগণও ধরে নিয়েছে এর মাঝে খুব একটা কিছু ঘটবে না। দু একটা রায় হয়তো আরও হবে, তবে কোন রায়েরই এক্সিকিউশান হবে না। ওটা পরবর্তী নির্বাচনের জন্য তোলা থাকবে। যা কিছু পাওয়া যাচ্ছে, তা বামদের কাছ থেকে। লং মার্চ কিংবা নেতা পেটানো। তবে খুব বেশী বাড়াবাড়ি হয়তো আর হবে না। সেলিম সাহেবের ওপর আঘাত টা একটু দৃষ্টি কটু হয়ে গেছে। বিশেষ করে এতো দুর্বল এক দলকে এভাবে আঘাত করা, ‘ডিস প্রপোরশনেট ইউজ অফ ফোর্স’ হয়ে গেছে। ফলে অযথাই বাম দলগুলো একটু মিডিয়া কাভারেজ পেয়ে গেল। বামদের কে মনে হয় না আর খুব বেশী ঘাঁটাবে।
এক দিক দিয়ে প্রশান্তি। হরতাল হবে না, ভাংচুর হবে না। হলেও ‘দুধভাত’ টাইপের হবে। ‘অ্যাকশানে’ ভরপুর কোন নাটক দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ থাকলে, সেখানে পৌঁছানো নিয়ে টেনশান করতে হবে না। বাস, ট্রেন মনে হয় ঠিকঠাক মতই চলবে। এদিকে সামনে ঈদ, তারপরে শুরু হবে হজ্ব যাত্রীদের ফেরত আসা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি শান্ত থাকবারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন যেন অবস্থাটা খুব একটা উপাদেয় লাগছে না। কেমন যেন বিরক্তিকর আর অস্বস্তিকর ঠেকছে।
সরকারের শেষ সময়, পুলিশ থেকে শুরু করে আমলাদের এখন রঙ বদলাবার সময়। হঠাৎ করে বিবেক জাগবার সময়। বিরোধী দলের মিছিলে লাঠিচার্জের বদলে পাহারা দেয়ার সময়। ভাংচুরের সময় দর্শক সেজে থাকা। অথচ এরপর ও মিছিল মিটিং এ দেশ এর তোলপাড় অবস্থা হচ্ছে না, ভালো লাগে?
আসলে এই পাঁচ বছরে রাজনৈতিক কথাবার্তায় সত্যিকারের কোন পরিবর্তন দেখা যায় নি। ‘পূর্ববর্তী সরকারকে গালাগাল করা’ সরকারী ভাষণ আর ‘বর্তমান সরকারকে গালাগালি করা’ বিরোধী দলের ভাষণ। মাঝে কিছুদিনের জন্য নতুনত্ব দিয়েছিল ‘গণ জাগরণ’। এরপরে আরও বড় সাসপেন্স এনে দিয়েছিল ‘হেফাজত’। তারপর থেকে ঘটনার বেজায় ক্ষরা।
যা কিছু চার্ম ছিল তা ছিল বেসরকারী টিভি চ্যানেল গুলোর খবর। বেশ কিছু চ্যানেল বন্ধ করায় বাকীগুলোতেও শিকল এর ছায়া দেখা যাচ্ছে। এক সময় ‘টক শো’ ছিল আলোচনার মধ্যমনি। না দেখার মানে সে ‘আনকালচার্ড’। দেশ নিয়ে তার কোন দরদ নেই। দেশ নিয়ে সে ভাবে না। সেই ‘টক শো’ ও তার চার্ম অনেক আগেই হারিয়েছে। ফলে বেশীর ভাগ সময় এখন কাটাতে হচ্ছে রিমোট টেপাটেপি করে। চ্যানেল পালটিয়ে।
ফাইনাল হয়তো আপনারা খেলবেন ২৫ তারিখে। তার আগে কি আর একেবারেই খেলবেন না? আমাদেরকে কি এভাবেই থাকতে হবে? আর তো ভালো লাগছে না। তরঙ্গহীন, বিনোদনহীন এক জীবন নিয়ে? হরতাল নেই, ভাংচুর নেই। পিটিয়ে নেতাদের মাথা ফাটানো নেই। গালি গালাজ নেই। দেশ ছেড়ে পালানো নেই। সত্যি করে বলুন তো, আপনাদেরও কি খুব ভালো লাগছে? তাহলে? কেন শুধু শুধু এমন করছেন? শুরু করুন না। খুব নাটক দেখতে ইচ্ছে করছে। প্লিজ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
মো কবির বলেছেন:
আপনার মতের সাথে আমার মতের অনেক মিল আছে আবার অমিলও আছে তবে সবচেয়ে মিলের ব্যাপারটা হল আপনিও এই বিষয়টা নিয়ে ভেবেছেন, আর আমিও ভেবেছি।
আর অমিল হচ্ছে দুজনের চিন্তার পথটা ভিন্ন।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আমার লেখাটা আমার এই ব্লগেও পড়তে পারেন আবার এখানে দেশপ্রেমিক নামের ফেবু গ্রুপে গিয়েও পড়তে পারেন।
এই গ্রুপটি নিয়ে কোন মন্তব্য থাকলেও করতে পারেন।
.