![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনৈতিক এই ডামাডোলে সাথিয়া র ঘটনাটা কেমন চাপা পড়ে গেল। খুব উচ্চবাচ্য নেই। রিপোর্ট করতে হয় তাই করা। সম্পাদক সাহেব ও জানেন, খুব বেশী লোক এই ঘটনা পড়বে না। সবার নজর এখন ঢাকার দিকে। কখন কে কোন কথা বলছে। কোন কথার মাধ্যমে কি বোঝাতে চাইছে। সমঝোতা হতে যাচ্ছে না সংঘাত? অতি আঁতেল কিসিমের লোকেরা আবার বিদেশী কূটনীতিকদের কথার মানে খোঁজার চেষ্টা করছেন। সবাই কেন ভারত যাচ্ছে? আমেরিকাই বা ঝেড়ে কাশছে না কেন? আর্মি র ইচ্ছা কি? সম্পাদক রাও তাই আপ্রাণ চেষ্টায় আছেন, ‘ব্রেকিং নিউজ’ দেয়ার। ‘সমঝোতার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কি না’ ‘ভোট আদৌ হচ্ছে কি না’। এসব নিউজ ই এখন বাজার মাতাচ্ছে। সেখানে সাথিয়া নেহাতই ‘এলেবেলে’ একটা নিউজ।
টক শো হয়তো একটা হবে। কিছু হিন্দু সমাজকর্মী কিংবা মানধিকার কর্মী সম্ভবতঃ সুযোগ পাবেন। খুব প্রাইম টাইম মনে হয় না পাবেন। রাজনৈতিক নেতারাও মনে হয় না সেই টক শো তে আসবেন। আর কলামিস্টরা? এই বাজারে, এখন এ নিয়ে দুকলম লিখতে খুব একটা আগ্রহী কেউই হবেন না। বিশেষ করে যখন বাজারের এই মুহূর্তের ডিমান্ড, ‘সমসাময়িক রাজনীতি’। আর তাঁদের প্রিয় বিষয়, ‘দুই নেত্রীর ঝগড়া’ যখন নিত্য নতুন খবর তৈরি করছে, তখন সাথিয়া? প্রশ্নই ওঠে না। এখন সময় হচ্ছে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেখানোর। লেখাগুলোতে থাকছে নিদেন পক্ষে একটা ‘ফর্মুলা’ আর রাশি রাশি উপদেশ। ‘এই ঝগড়া না মিটলে দেশের কি হবে’। কেউ কেউ আবার ভয় দেখাচ্ছেন, ‘ঝগড়া না মিটালে কিন্তু তৃতীয় শক্তি হালুম করে ঝাপিয়ে পড়বে’।
বলাই বাহুল্য, কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। এসব লেখালেখিতে কাজ কোনদিন হয় ও নি। তারপরও কেন যেন সবাই লিখে লিখে দিস্তা দিস্তা কাগজ নষ্ট করছেন। আমার মোট যারা ‘অভ্র’ ব্যবহার করে সরাসরি ল্যাপটপে লিখছেন, তারা একটু সাশ্রয়ী। অনলাইন পত্রিকা তেও সেই অর্থে অপচয় কম। অপচয় যা করার তা করছেন ছাপা হওয়া পত্রিকার সম্পাদক আর সেই পত্রিকার মালিক রা। ভালমতোই জানেন, নেত্রীরা এসব কলাম কখনোই পড়বে না, উপদেশও শুনবে না। তারপরও এসব কলাম ছাপায়। এসবের উদ্দেশ্য তবে কি জনগণ? পড়বে আর চায়ের স্টলে আড্ডা মারবে?
রামুর ঘটনাটা যেমনটা হেডলাইন হয়েছিল, তেমনটা হল না। তখন অনেকগুলো ব্যাপার রামুকে হেডলাইন হতে সাহায্য করেছিল। রাজনৈতিক ব্যাপারগুলো তখন এতোটা মজাদার হয়ে ওঠে নি। ঝগড়া চলছিল, তবে বেশ ঢিমেতালে। ছিটে ফোঁটা হরতাল। তাও আবার একদিন বড়জোর দুইদিন। তখন আটচল্লিশ ঘণ্টা র একটা ক্রেজ চলছিল। জ্বালাও পোড়াও হচ্ছিল তবে লাশ পড়ছিল কম। স্প্লিন্টারে চোখ নষ্ট হওয়া তখন প্রথম পাতায় তিন কলাম পেয়েছিল। আর ইদানীং?
একে তো ৬০ ঘণ্টার কমে হরতাল ডাকা হচ্ছে না। ‘পনের ষোল’ টা লাশ এও আজকাল হেডলাইন জোটে না। আহত নিয়ে তো আজকাল কেউ মাথা ই ঘামায় না। ‘গুরুতর আহত’ লিখলে অনেক সময় পাঠক একটু চোখ বোলায়। ‘চোখে স্প্লিনটার’ এর আঘাত আজকাল বেশ দেখা যায়। ফলে এর জন্য ইদানীং ‘এক চোখে ব্যান্ডেজ বাঁধা’ ছবি সহ একটা রিপোর্ট এর জায়গা রাখতে হয়। এলেবেলে লোক হলে তার জন্য ‘এক কলাম’। একটু ভালো ফ্যামিলির এবং কন্যা হলে ‘দুই কলাম’।
এমন সময় মাত্র বিশটি পরিবারের ওপর হামলা। তাও কেউ মরে নি, কেবল কিছু ভাংচুর আর দোকান লুটপাট। ‘পূর্ণিমা’ র মোট রেপ নেই। ‘কয়েকজন আমার কাছে আসো’ টাইপ ইমোশানাল ডায়ালগ নেই। খুব সেনসেশান কেউই খুঁজে পাচ্ছেন না। এ নিয়ে রাজনীতি করা যায় কি না এই মুহূর্তে তা ভেবে দেখবার ইচ্ছা ও কারো নেই। ওদিকে কারণেও নতুনত্ব কিছু নেই। সেই পুরোনো রামু ফর্মুলা। এবার কোরআন এর বদলে রসুল। ফলে সব মিলিয়ে খুব একটা উপাদেয় খবর এটা না। এ নিয়ে বড়জোর একটা এক কলাম এর রিপোর্ট করা যায়।
আমিই বা কেন লিখছি। হিন্দুদের প্রতি খুব দরদ জেগেছে? কিংবা আমি কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য খুব সচেষ্ট কর্মী? সেই হিন্দু পরিবারে পরিচিত কেউ আছে? আসলে তেমন কিছুই না। নতুন খবরের বেশ আকাল। কি নিয়ে লিখবো বলেন? পরীক্ষা বন্ধ নিয়ে ‘আহা’ ‘উহু’ টাইপ লেখা? না হলেও বিশ খানা পাবেন আগামিকালের পত্রিকায়। ‘হরতাল’ বন্দনা? কিংবা নিন্দা? এ নিয়ে আলাপের কিছু বাকী আছে? ‘তত্ত্বাবধায়ক’ অন্তর্বর্তী’ ‘নিরপেক্ষ ব্যক্তি’? আর ভালো লাগছে এসব নিয়ে পড়তে?
টপিক যে পাল্টাবো, পাল্টিয়ে লিখবো কি নিয়ে? নির্বাচন ঘটিত ঘ্যানঘ্যান ছাড়া আর কোন বিষয় আছে? তাই বিষয়টা পছন্দ করলাম। যদিও বিষয়টা নিয়ে লেখা একটু রিস্কি। রামুর ইমপ্যাক্ট দেয়া কোন ভাবেই সম্ভব না। এতগুলো মন্দির ভাঙ্গা আর পুথি পোড়ানোর তুলনায় মাত্র বিশটি পরিবারের ওপর আঘাত তো একেবারেই ‘পান্তা’ ভাত টাইপ ব্যাপার। এই মুহূর্তে এই টপিকে লিখে পাঠক পাওয়া যাবে না। তারপরও কেন যেন লিখতে ইচ্ছে করছে। হয়তো একঘেয়ে বিষয় থেকে বেরিয়ে আসবার চেষ্টা। দারুণ ‘সেক্সি’ একটা হেডলাইন দিতে পারলে কিছু পাঠক পড়তেও পারে।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
বেনিটিশ গাঙচিল বলেছেন: ঘটনাটা দৃষ্টিকটু। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আন্তরিকভাবে যথাযথ বিচারের দাবী জানানো উচিত। এখানে সেক্সি শব্দটিও দৃষ্টিকটু লেগেছে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭
ডা: আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: খুবই আকর্ষণীয় হেডলাইন কে বলা হয় 'সেক্সি হেডলাইন'। কথাটা একসঙ্গে-- আলাদা আলাদা না।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
জনাব মাহাবুব বলেছেন: ইয়াহু! ভাই এই মাত্র সেফ (জেনারেল) হইলাম। এখন মন ভরে লিখতে পারবো।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯
দিশার বলেছেন: আরে ভাই টেনশন মাত লিজিয়ে, কিসু মালাউন এর ঘর বাড়ি পুরাইসে তো কি হইসে? ওরা কবে ভালো ছিল এই বাংলাস্থান য়ে? . গুরুত্বপূর্ণ বেপার হচ্ছে নবীজির ইজ্জত তো ঠিক থাকলো, জোরে বলেন সুবাহান্ল্লাহ। সাহস কত মালাউন গুলার, ফেসবুক য়ে নবীকে অকমান!! মর্দে মুসলমান আমরা বেছে থাকতে তা হতে পারে না . যদিও প্রতি মিনিটে ইসলাম এর পুঙ্গা মেরে যাচ্ছি।
(যাদের মাথায় নিরেট গোবর, ইহা একটি ফান রিপ্লাই)
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১
ডা: আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: মাথায় নিরেট গোবর নাই। ফানটা বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯
খাটাস বলেছেন: লজ্জার ব্যাপার, আমি নিজে অ জানি না ঘটনা। লিঙ্ক অনুগ্রহ করে। ভাল লিখেছেন।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
ডা: আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: লেখাটা আজকে ছেপেছে
Click This Link
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: নির্মম এবং অপ্রিয় সত্য লিখেছেন।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
ডা: আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
হেডস্যার বলেছেন: